<p>এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ, ড্রোন ও রকেট হামলায় অন্তত ১১ জন হয়। তার জেরে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজ্যের তিন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউয়ের চলাকালে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উত্তাল মণিপুরের পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে। যদিও রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। </p> <p>এ ছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তাই পুরো বিশ্ব থেকেই এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন মণিপুর। গতকাল কারফিউয়ের মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা গভর্নরের বাসভবন অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।</p> <p>টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর মণিপুরের গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য বুধবার ইম্ফল থেকে গুয়াহাটি চলে যান। তিনি সকাল ১০টার দিকে ইম্ফল ছেড়ে যান। লক্ষ্মণ প্রসাদ আসামের গভর্নর হলেও অতিরিক্ত হিসেবে মণিপুরের দায়িত্বও পালন করেন। চলমান পরিস্থিতির জেরে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।</p> <p>মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার জন্য ডিজিপি এবং রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টার অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে রাজভবনের কাছে সংঘর্ষের কয়েক ঘন্টা পর, গভর্নর মঙ্গলবার রাতে ১১ জন ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।</p> <p>পুলিশ জানিয়েছে, ইম্ফলে বুধবার নতুন করে কোনো বিক্ষোভ ও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যটিতে কারফিউ জারি করার পাশাপাশি পাঁচদিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।</p> <p>সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন</p>