<p>ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের দুটি জেলায় কারফিউ এবং অন্য আরেকটি জেলায় চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। পাঁচটি জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার নতুন সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও গত মঙ্গলবার সারা দিনই ছাত্র আন্দোলনকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলেছে।</p> <p>মণিপুর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আইজি কে কবিব স্থানীয় সময় গত বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইম্ফল উপত্যকায় বহু বিক্ষোভ হয়েছে। ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, কাকচিং এবং ইম্ফল পশ্চিমে বিক্ষোভ মিছিলগুলো মূলত শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে ইম্ফল পশ্চিমের কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে ওঠে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সহিংস সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/09/1725893830-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সহিংস সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/09/1423766" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত বছরের মে মাসের ৩ তারিখ থেকে মেইতেই ও কুকি—দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল, তা বেশ কয়েক মাস ধরে এক রকম বন্ধই ছিল। কিন্তু চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে মণিপুরের পরিস্থিতি। রাজ্যটিতে গত ১০ দিনে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে।</p> <p>সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে যেসব সহিংসতা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ড্রোন থেকে বোমা হামলার ঘটনা। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেটও ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানাচ্ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রূপাচন্দ্র সিং। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোও বলছে, শুধু মণিপুরে নয়, পুরো ভারতেই এই প্রথমবার ড্রোন থেকে বোমা ফেলা হলো।</p> <p>এই মাসে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার আগে গত মাসে দুই দফায় একটা অডিও টেপ ফাঁস হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের কথিত এক কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়ে যায় বলে দাবি করা হয়। প্রথম দফায় কুকিদের একটি সংগঠন এবং তারপর একটি জাতীয় স্তরের ইংরেজি সংবাদ পোর্টাল ওই অডিওটি ফাঁস করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মধ্য প্রদেশে সেনা কর্মকর্তাদের মারধর, বান্ধবীকে ধর্ষণ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/12/1726138978-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মধ্য প্রদেশে সেনা কর্মকর্তাদের মারধর, বান্ধবীকে ধর্ষণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/12/1424735" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ক্ষমতাসীন বিজেপির কয়েকজন কুকি জনগোষ্ঠীর বিধায়কসহ ওই জনজাতির বিভিন্ন সংগঠন ফাঁস হয়ে যাওয়া অডিও কথোপকথনের সূত্র ধরে অভিযোগ করে, গত বছর থেকে মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে, তা মূলত মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়েরই মস্তিষ্কপ্রসূত। তবে রাজ্য সরকার ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনের বিষয়ে অত্যন্ত কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। তারা বলেছিল ওই ‘জাল’ অডিও টেপের মাধ্যমে কোনো একটি অংশ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মণিপুরকে শান্ত করতে রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/08/1725795137-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মণিপুরকে শান্ত করতে রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা চান মুখ্যমন্ত্রী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/08/1423365" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রূপাচন্দ্র অবশ্য মনে করছেন, যেকোনো একটি কারণে যে সাম্প্রতিকতম সহিংসতাগুলো হচ্ছে বিষয়টি সে রকম নয়। তিনি বলেন, ‘অডিও কথোপকথন ফাঁস হওয়া, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে মিছিল-বিক্ষোভ আর তার পরটাই নতুন করে সহিংসতা—এ সবই একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এটা বলা যাবে না যে কোনো একটা কারণে নতুন করে সহিংসতা ছড়াল। এর সঙ্গে রয়েছে ভুয়া তথ্য, ভুয়া ভিডিও এবং ভুল খবর ছড়ানোর ব্যাপারগুলো তো আছেই। তবে সবই যে ভুয়া খবর বা ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, তা-ও নয়, সত্য ঘটনাও আছে। তাই কোনো একটি বিষয়কে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে চলবে না।’</p> <p>তবে এই সহিংসতা কবে থামবে, তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুরজিৎ সিং গুলেরিয়া মনে করেন, শুধু নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাজনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ে তার সমাধান খুঁজতে হবে।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>