<p>গাজায় বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তির জন্য আরো প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে তেল আবিবের রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন সরকারবিরোধী ইসরায়েলিরা। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।</p> <p>আলজাজিরা শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে গাজা থেকে ছয় বন্দির লাশ উদ্ধারের পর ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহের বিক্ষোভে আনুমানিক সাড়ে সাত লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল।</p> <p>বিক্ষোভকারীরা শনিবার সেনা সদর দপ্তর ও অন্যান্য সরকারি ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে বন্দি প্রায় ১০০ জনকে ফিরিয়ে আনতে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তারা।</p> <p>বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বন্দিদের পরিবার জানিয়েছে, বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কর্মকাণ্ডে তারা হতাশ। অনেকে চুক্তিতে পৌঁছতে না পারার জন্য তারা নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করেছেন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধ করতে চান না বলে অভিযোগ তাদের।<br />  <br /> গাজায় বন্দি ইসরায়েলি সেনা নিমরোদ কোহেনের ভাই বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, যত দিন নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকবেন, এই যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকবে এবং কোনো জিম্মি চুক্তি হবে না। জিম্মিদের জীবন বাঁচাতে নেতানিয়াহুকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।</p> <p>এদিকে ইসরায়েলি হামলায় পশ্চিম তীর ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে গাজা উপত্যকায়। জেনিনে তেল আবিবের তাণ্ডবে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।</p> <p>গত ২৮ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম তীরের জেনিনে নজিরবিহীন অভিযান চালায় ইসরায়েল। হতাহতের পাশাপাশি অনেক শরণার্থী ক্যাম্প বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। বাঁচার তাগিদে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে চলে যেতে বাধ্যও হয়েছেন বহু ফিলিস্তিনি।<br />  <br /> গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ইসরাইলের ১১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহু বাহিনীর বর্বরতায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা</p>