<p>লেবাননে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের দাবি, এক শটি রকেট লঞ্চার ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলের সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই ঘণ্টা ধরে দক্ষিণ লেবাননে রকেট লঞ্চার লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়। এই লঞ্চারগুলো থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিয়েছিল হিজবুল্লাহ বলে তারা দাবি করে। স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর থেকে এই আক্রমণ শুরু হয়।</p> <p><strong>হিজবুল্লাহর বক্তব্য</strong></p> <p>হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লা টিভি ভাষণে বলেছেন, ‘পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’ তিনি বলেছেন, ‘এই আক্রমণ যাবতীয় আইন, নৈতিকতা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এটাকে যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধকালীন অপরাধ বলা যেতে পারে।’</p> <p>ইসরায়েল এখনো পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। জাতিসংঘে লেবাননের মিশনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, ইসরায়েল এই কাজ করেছে। জাতিসংঘ যেন ইসরায়েলের এই ‘প্রযুক্তি যুদ্ধ ও আগ্রাসন’ বন্ধ করে।</p> <p>লেবাননের সরকারি বার্তাসংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, গত বছর অক্টোবরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এটাই সবচেয়ে বড় আক্রমণ। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ।</p> <p>ইসরায়েলের সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের হামলায় এক শটি রকেট লঞ্চার ও অন্য লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করা হয়েছিল। তারা এই আক্রমণ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।</p> <p><strong>ইসরায়েলের বক্তব্য</strong></p> <p>হিজবুল্লাহ নেতার ভাষণ যখন টিভিতে চলছিল, তখনই বৈরুতে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক কার্যকলাপ অব্যাহত রাখবে ইসরায়েল।</p> <p>তিনি বলেছেন, তাদের লক্ষ্য হলো উত্তর ইসরায়েলে যারা বসবাস করেন, তাদের নিরাপদে নিয়ে আসা। আর যত দিন যাবে, ততই হিজবুল্লাহকে তাদের কার্যকলাপের মূল্য দিতে হবে। চ্যানেল ১৩ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, তাদের দুইজন জওয়ান সংঘর্ষে মারা গেছে।</p> <p><strong>সংযত হতে বলল যুক্তরাষ্ট্র</strong></p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন প্যারিসে বলেছেন, গাজা নিয়ে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা আরো কঠিন হয়ে উঠুক তা তারা চান না। তাই এই সময় সংযম দরকার।</p>