<p>ইন্দোনেশিয়ার অশান্ত পাপুয়া অঞ্চলে ১৮ মাসেরও বেশি সময় বন্দি থাকার পর নিউজিল্যান্ডের সেই পাইলট ফিলিপ মেহরটেনসকে মুক্ত করা হয়েছে। গত শনিবার ওয়েলিংটনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক বিবৃতির সূত্রে  এ কথা বলা হয়েছে। </p> <p>পাইলট ফিলিপ মেহরটেনস ইন্দোনেশিয়ার তিমিকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতায় যারা তাকে মুক্ত করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘তিনি বাড়ি যেতে পেরে খুব খুশি।’</p> <p>মেহরটেনস বলেছেন, ‘আজ অবশেষে আমি মুক্তি পেয়েছি। আমি খুব খুশি যে খুব শিগগিরই আমি বাড়িতে গিয়ে আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারব।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা আমাকে সাহায্য করেছে তাদের ধন্যবাদ, আমি সুস্থ অবস্থায় নিরাপদে বের হতে পেরেছি।’</p> <p>স্বাধীনতাকামী পশ্চিম পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিপিএনপিবি)-এর একটি সশস্ত্র দল ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মেহরটেনসকে অপহরণ করেছিল। একটি ছোট বাণিজ্যিক বিমান নিয়ে এনডুগার দূরবর্তী পাহাড়ি এলাকায় অবতরণের পরেই তাকে অপহরণ করা হয়। </p> <p>পাপুয়াকে ইন্দোনেশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী টিপিএনপিবি। পাইলট মেহরটেনসকে তারা আটকে রেখেছিল, যাতে নিউজিল্যান্ড ইন্দোনেশিয়াকে চাপ দেয়। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে এটি ছিল অসম্ভব একটি দাবি। প্রাথমিকভাবে নিউজিল্যান্ডের এই পাইলটকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল, যদি না তার দেশ তাদের বিচ্ছিন্নতার দাবি মেনে নেয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এক বছর আগে অপহৃত পাইলটের মুক্তি চায় নিউজিল্যান্ড" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/02/07/1707300904-1d307d55902e24534bcd73fbffa51d1f.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এক বছর আগে অপহৃত পাইলটের মুক্তি চায় নিউজিল্যান্ড</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/02/07/1361551" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্বাধীনতার পক্ষের সশস্ত্র যোদ্ধাদের নেতৃত্বে আছেন এগিয়ানাস কোগেয়া। তিনি টিপিএনপিবি-এর ফ্রি পাপুয়া আন্দোলনের সশস্ত্র শাখার সদস্য। টিপিএনপিবি-কে ইন্দোনেশিয়ার সরকার একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। অতীতে এ কারণকে অনেকে তারা জিম্মি করেছিল। </p> <p>ইন্দোনেশিয়া ১৯৬৯ সালে পশ্চিম পাপুয়ার নিয়ন্ত্রণ পায় নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে। একটি বিতর্কিত গণভোটের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দোনেশিয়ার দখলে চলে যায় পাপুয়া। তবে পাপুয়ান স্বাধীনতার প্রবক্তারা বলছেন, ভোট অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না। এর পর থেকেই সেখানকার নাগরিকরা স্বায়ত্তশাসন ও নিজস্ব ভোটব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। যেসব গোষ্ঠী আন্দোলন করছে, তার মধ্যে ওয়েস্ট পাপুয়া ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি উল্লেখযোগ্য। </p> <p>সূত্র : সিএনএন<br />  </p>