<p>লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি লেবাননে পূর্ণ শক্তি দিয়ে হামলা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলি বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ‘বিজয় না হওয়া পর্যন্ত’ হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেল আবিব।</p> <p>লেবাননে ইসরায়েলের হামলাকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং বেশ কয়েকটি আরবদেশ গত বুধবার লেবাননে ২১ দিনের ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানায়। পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রতিও সমর্থন জানিয়েছে তারা। লেবাননে গত সোমবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ব্যাপক হামলা শুরু করার পর এ পর্যন্ত ৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। লেবাননের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, লেবানন  ও ইসরায়েল সীমান্তে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে একটি কূটনৈতিক মীমাংসার সময় এসেছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট লেবাননে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বলেন, প্যারিস ও ওয়াশিংটন ‘আলোচনা এবং আরো টেকসই যুদ্ধবিরতির অনুমতি দিতে তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লেবাননে সংঘাত বাড়ছে, ইসরায়েলের লক্ষ্য কী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727359530-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লেবাননে সংঘাত বাড়ছে, ইসরায়েলের লক্ষ্য কী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/26/1429180" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস লেবাননে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ইসরায়েল লেবাননের কূটনীতিক ইস্যুকে স্বাগত জানালেও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়নি।</p> <p>এ ছাড়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানায়, যুদ্ধবিরতির খবর সত্য নয়। নেতানিয়াহু লেবাননে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।</p> <p>এদিকে লেবাননে বিমান হামলার মধ্যেই স্থল হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এ কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, তারা দুই ব্রিগেড রিজার্ভ সেনাকে ডেকেছে। লেবাননে গত বুধবার রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলেছে, হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ৭৫টি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। লেবানন কর্তৃপক্ষ এদিন দেশজুড়ে অন্তত ২৬ জন নিহতের কথা জানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ৪৫টি রকেট ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পড়েছে। হিজবুল্লাহ বাহিনী জানিয়েছে, তারা হাইফা শহরের কাছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে।</p> <p>ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘উত্তরে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। বিজয় ও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের সব শক্তি দিয়ে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।’</p> <p><strong>গাজায় হামলা চলছেই</strong><br /> অন্যদিকে লেবাননের পাশাপাশি গাজায়ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। জাবালিয়ায় একটি স্কুলে হামলা চালায় তারা। এতে বহু হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় অন্তত ৪১ হাজার ৫৩৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি, এএফপি</p>