<p>একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা শুক্রবার বলেছেন, লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যেকোনো স্থল অভিযান দ্রুত সময়ে শেষ করা হবে। কারণ প্রায় এক বছর ধরে চলা আন্ত সীমান্ত যুদ্ধের কারণে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা দ্রুত বেড়ে চলেছে।</p> <p>এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন শীর্ষ ইসরায়েলি মন্ত্রীরা প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও সহযোগীদের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। পরিকল্পনাটি সর্বাত্মক যুদ্ধ প্রতিরোধের প্রচেষ্টা ছিল।</p> <p>নাম না প্রকাশের শর্তে ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ইসরায়েলি বাহিনী একটি সম্ভাব্য স্থল অভিযানের জন্য প্রতিদিন প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা বা স্থল অভিযানের লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, ‘আমরা এটি (অভিযান) যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করব।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের লক্ষ্য হলো হিজবুল্লাহর ইসরায়েলের ওপর হামলার ক্ষমতা কমানো, গোষ্ঠীটির সামরিক নেতৃত্বকে নির্মূল করা এবং সীমান্ত এলাকাকে তাদের যোদ্ধাদের থেকে মুক্ত করা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিজয় না হওয়া পর্যন্ত লেবাননে পূর্ণ শক্তি দিয়ে হামলা চালাবে ইসরায়েল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727362026-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিজয় না হওয়া পর্যন্ত লেবাননে পূর্ণ শক্তি দিয়ে হামলা চালাবে ইসরায়েল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/26/1429189" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধ শুরু করে, যা এখনো চলছে। অন্যদিকে হামাসের হামলার পরপরই হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ওপর হামলা শুরু করে। ইরান সমর্থিত লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলে, তারা তাদের মিত্র হামাসকে সমর্থনে এটি করছে। অন্যদিকে ইসরায়েল এই মাসের শুরুতে তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে লেবাননের সীমান্ত বরাবর যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের নিরাপদে ফেরত আনা। কিছু মন্ত্রী ও কর্মকর্তা দক্ষিণ লেবানন থেকে হিজবুল্লাহকে পুরোপুরি বিতাড়িত করার আহ্বানও জানিয়েছেন।</p> <p>ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা আরো জানান, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় অনেক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন এবং সংগঠনটির সামরিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, তারা অনেক ক্ষমতা হারিয়েছে।’</p> <p>এর আগে ইসরায়েলি সামরিক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি এই সপ্তাহে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন। নিরাপত্তা কর্মকর্তাও শুক্রবার বলেন, ‘সব বিকল্প আলোচনায় রয়েছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লেবাননে সংঘাত বাড়ছে, ইসরায়েলের লক্ষ্য কী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/26/1727359530-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লেবাননে সংঘাত বাড়ছে, ইসরায়েলের লক্ষ্য কী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/26/1429180" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সোমবার থেকে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে, ফলে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার মানুষ সরে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। তবে ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বেসামরিক লোকদের বড় সংখ্যায় হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এই অভিযান ‘খুবই সুনির্দিষ্ট ও নিখুঁত’।</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘তাদের অনেকেই (নিহত) ছিল হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।’ পাশাপাশি একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>