<p>লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী শনিবার নিশ্চিত করেছে, তাদের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন। এর আগে ইসরায়েল দাবি করেছিল, তারা একদিন তাকে একটি বিমান হামলায় হত্যা করেছে। এএফপির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।</p> <p>হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘৩০ বছর ধরে নেতৃত্ব দেওয়া হিজবুল্লাহর মহাসচিব সায়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ মহান ও অমর শহীদ সহযোদ্ধাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।’</p> <p>বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নাসরাল্লাহ ‘দক্ষিণ বৈরুতের উপশহরে বিশ্বাসঘাতক ইহুদিদের হামলার’ পর গোষ্ঠীর অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/28/1727515768-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/28/1429756" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এএফপির এক সাংবাদিক জানান, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর এই ঘোষণার পরপরই এক পথচারীকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘হে আল্লাহ!’ এবং নারীদের রাস্তায় কাঁদতে দেখা যায়। এ ছাড়া গুলির শব্দও শোনা গেছে, যা এই প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতার জন্য শোক প্রকাশের ইঙ্গিত। তিনি হিজবুল্লাহ সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ছিলেন।</p> <p>একজন এএফপি প্রতিবেদক দেখেছেন, রাস্তায় কালো ঘোমটা পরা একজন নারী চিৎকার করে বলছিলেন, ‘ওদের কথা বিশ্বাস করবেন না, ওরা মিথ্যা বলছে, সায়্যেদ ভালো আছেন।’</p> <p>ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে, তাদের অন্যতম ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। তবে গোষ্ঠীর অন্য শীর্ষ নেতারাও লক্ষ্যবস্তুতে থাকবেন। ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নাসরাল্লাহ ছিল সর্বকালের অন্যতম বৃহৎ ইসরায়েলবিরোধী শত্রু...তার অপসারণ বিশ্বের নিরাপত্তা আরো মজবুত করেছে।’ অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহর দেখানো পথ ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার হত্যার পরও অব্যাহত থাকবে।</p> <p>এদিকে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান দিয়ে বৈরুতের দক্ষিণ ও এর উপকণ্ঠে  তীব্র হামলা চালানো হয়েছে, যা ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে প্রবল হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।</p> <p>নাসরাল্লাহ ২০০৬ সালের পর থেকে জনসমক্ষে খুব কমই দেখা দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে তিনি হিজবুল্লাহর মহাসচিব নির্বাচিত হন, যখন ইসরায়েলি হেলিকপ্টারের গুলিতে তার পূর্বসূরি আব্বাস আল-মুসাভি নিহত হন।</p>