<p>রাশিয়াকে ব্যালেস্টিক মিসাইল সরবরাহ করার অপরাধে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। লুক্সেমবুর্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানেই এই সিদধান্ত নেওয়া হয়েছে।</p> <p>ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে মিসাইল দিয়েছে ইরান, এই অভিযোগ সামনে রেখে নতুন করে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইরানের ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা এবং তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা এই মিসাইল রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল, যারা ওই মিসাইল রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।</p> <p>এর আগে ব্রাসেলস একাধিকবার ইরানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে। রাশিয়াকে ব্যালেস্টিক মিসাইল সরবরাহের ক্ষেত্রে ইরানকে বার বার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, ইরান কখনোই তা কানে তোলেনি।</p> <p><strong> ইরান কি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে?</strong></p> <p>ইরান জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের সামরিক চুক্তি আছে। ইরান যা করেছে, তার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই। </p> <p>ইরানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল ও ইউক্রেন। যে কোনো আক্রমণকারী দেশকে অস্ত্র পাঠানো আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ইরান ঠিক সেই কাজটিই করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, ইরানের কাছে একটি বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসকে মদত দিলে তার ফল ভুগতেই হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গণমাধ্যমে জীবিত প্রাণীর ছবি প্রকাশ নিষিদ্ধ করছে তালেবান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728968670-4b69c2e27800846d4e132ea608c2a660.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গণমাধ্যমে জীবিত প্রাণীর ছবি প্রকাশ নিষিদ্ধ করছে তালেবান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/15/1435312" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>চীনে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী</strong></p> <p>এদিকে তাইওয়ানের সীমান্তে নতুন করে যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে চীন। যার জেরে ওই এলাকায় প্রবল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারমধ্যেই চীন সফরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাশিয়ার গণমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ ওই মহড়ায় রাশিয়া এবং চীনের যুদ্ধ জাহাজ থেকে সাবমেরিন ধ্বংসকারী গোলা বর্ষণ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সামরিক নীতি নিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।</p> <p>বস্তুত, মস্কো কিয়েভ আক্রমণের ঠিক আগে রাশিয়া এবং চীন নিজেদের সামরিক চুক্তির নতুন দিগন্ত নিয়ে ঘোষণা দেয়। সেখানে বলা হয়, সামরিক ক্ষেত্রে দুই দেশ একের অপরকে সবরকম সাহায্য করবে।</p>