<p>ইতালির কর্তৃপক্ষ সোমবার আলবেনিয়াতে পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের প্রথম দলকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রথম দফায় আলবেনিয়ায় দিকে যাত্রা করা অভিবাসীদের মধ্যে ১০ বাংলাদেশি ও ছয় মিশরীয় নাগরিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রোম।</p> <p>এদিন ইতালি-আলবেনিয়া বিতর্কিত চুক্তির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো সদস্য দেশ প্রথমবারের মতো ১৬ জন অভিবাসীকে তৃতীয় দেশে পাঠাচ্ছে। যেখানে তাদের পুরো আশ্রয় প্রক্রিয়া যাচাই করা হবে। একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইতালীয় নৌবাহিনীর টহল বোট লিব্রা ১৬ জন অভিবাসীকে নিয়ে আলবেনিয়ার দিকে যাচ্ছে। ইতালির দ্বীপ লাম্পেদুসা থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজটি বুধবার আলবেনিয়ায় পৌঁছনোর কথা রয়েছে।</p> <p>এর আগে রবিবার ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে এই ১০ বাংলাদেশি ও ছয় মিশরীয়কে উদ্ধার করে ইতালির কর্তৃপক্ষ। তারা লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু ইতালি পৌঁছনোর পরিবর্তে তাদের এখন আলবেনিয়ায় যেতে হচ্ছে।</p> <p>২০২৩ সালের সালের শেষের দিকে ইতালির ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামার সরকারের মধ্যে সই করা একটি ‘বিতর্কিত’ চুক্তির অধীনে প্রথমবারের মতো আলবেনিয়ায় যাচ্ছে এসব অভিবাসী। এই চুক্তি আগামী পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ রয়েছে। অভিবাসীদের আলবেনিয়ার নেওয়ার পর শেনজিন বন্দরের কেন্দ্রটিতে তাদের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করা হবে। পরে তাদের নেওয়া হবে গজদারের তিনটি ভিন্ন অবকাঠামোতে। তিনটি অবকাঠামোর একটিতে রাখা হবে যেসব অভিবাসীদের ‘ডিপোর্ট’ করা হবে, দ্বিতীয়টিতে রাখা হবে আশ্রয়প্রার্থীদের এবং সবশেষ কেন্দ্রে রাখা হবে অপরাধে যুক্ত অভিবাসীদের।</p> <p>এই কেন্দ্রগুলো উঁচু প্রাচীরে ঘেরা এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। যেসব কক্ষে আশ্রয়প্রার্থীদের রাখা হবে সেগুলো একেকটি ১২ বর্গমিটার আয়তনের বলে জানিয়েছে রোম ও তিরানা। </p> <p>ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ অংশটি ইতালির সেনাদের দায়িত্বে এবং বাহ্যিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আলবেনিয়ান নিরাপত্তা বাহিনী। এই প্রকল্পে মাধ্যমে প্রতি বছর ৩৬ হাজার অভিবাসীর আশ্রয় আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। এই চুক্তিটির সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে ইতালি। পাঁচ বছরে এই প্রকল্পে ৬৭ কোটি ইউরো খরচ ধরা হয়েছে, যা বর্তমানে ইতালির অভিবাসী অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলোর মোট ব্যয়ের ৭.৫ শতাংশ। ভূমধ্যসাগরে অনিয়মিত অভিবাসন কমাতে আলবেনিয়া ছাড়াও তিউনিশিয়া ও লিবিয়ার সঙ্গেও চুক্তি করেছে ইতালি।</p> <p>সূত্র :  ইনফোমাইগ্রেন্টস</p>