<p>ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। তার আগেই পর্যটকদের সতর্ক করে পুরী শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। এই ঘোষণায় নীলাচল নামে পরিচিত শহরটি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে পর্যটকদের মধ্যে।</p> <p>বছরের এই সময়টাতে প্রচুর পর্যটক পুরীতে বেড়াতে যান। অনেকে আবার যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এখন অনেক পর্যটকই পুরী ছাড়ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। পর্যটকদের কাছে রাজ্য প্রশাসন অনুরোধ করেছে, নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবারের মধ্যে তারা যেন পুরী ছাড়েন। এ ছাড়া ২৪ ও ২৫ অক্টোবরের মধ্যে যেসব পর্যটক পুরীতে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন, ওই সময় তারা এই সফর এড়িয়ে গেলেই ভালো—এমনও বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে।</p> <p>এদিকে অনেক পর্যটকের অভিযোগ, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে কিছু ট্রাভেল এজেন্সি। পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা বলেছেন, ‘প্রশাসনের পরামর্শ মতো আমরা পুরী ছাড়ছি। কিন্তু কিছু ট্রাভেল এজেন্সি পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া চাইছে। এই সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে তারা। বিপদ যখন দোরগোড়ায়, এমন পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়া উচিত নয় স্থানীয়দের।’</p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরীর সমুদ্র ক্রমে উত্তাল হচ্ছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। সাইরেন বাজিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করার পাশাপাশি মাইকে ঘোষণাও চলছে। পুরীর সৈকতে লাইফগার্ডের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতাও বাড়ছে। এক পর্যটকও জানিয়েছেন, পুরীর সমুদ্র এখন উত্তাল। লাইফগার্ডরা পর্যটকদের সমুদ্রের ধারে যেতে নিষেধ করছেন।</p> <p>আবহাওয়া ভবনের কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এই ঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে। স্থানীয় সময় ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গের পুরী ও সাগরদ্বীপের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। সেই সময় ঝড়রে গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০-১১০ কিলোমিটার হতে পারে। সর্বাধিক গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>