<p>পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি বৃহস্পতিবার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে তার দল জানিয়েছে। ৯ মাস আগে ইমরান খানের সঙ্গে তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল।</p> <p>ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ঠিক আগে বিরোধী নেতা ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে দুর্নীতি ও অবৈধ বিয়ের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। নির্বাচন থেকে দূরে সরানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব মামলা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।</p> <p>ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই চেয়ারম্যান গওহর আলী খান সাংবাদিকদের জানান, ‘ইমরান খানের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্যই বুশরা বিবিকে জেলে রাখা হয়েছিল। তার মুক্তির জন্য আমি পিটিআইয়ের সব সমর্থককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’</p> <p>নির্বাচনের পর এ দম্পতির অবৈধ বিয়ের মামলাটি আপিলে বাতিল হয়ে যায় এবং দুর্নীতির মামলায় বিবির শাস্তি স্থগিত করা হয়। আরেকটি বিচারাধীন মামলায় তাকে বুধবার জামিন দেওয়া হয়। এরপর তিনি আদিয়ালা জেল থেকে মুক্ত হলেন, যেখানে ইমরান খান এখনো বন্দি আছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়ে যত রহস্য-জিজ্ঞাসা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/02/03/1706959828-781cad3260c3d6fc556087e7b66214c9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়ে যত রহস্য-জিজ্ঞাসা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/02/03/1360416" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পিটিআই চেয়ারম্যান জানান, মুক্তির পর বুশরা বিবি রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে অভিজাত বানিগালা এলাকায় নিজের বাড়িতে যাবেন।</p> <p>বুশরা বিবিকে অনেকে একজন ‘আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী’ মনে করেন, যাকে সাধারণত প্রকাশ্যে খুব কমই দেখা গেছে। ইমরান খান ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার ঠিক আগে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইমরান খান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানে সেনাবাহিনী প্রায়ই গণতান্ত্রিক রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে বিশাল ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>