<p>সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) শুক্রবার আলজাজিরা রাজ্যের একটি গ্রামে হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১২৪ জন হয়েছে। স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্টদের বরাত দিয়ে রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ১৮ মাসের যুদ্ধে এটি সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর একটি এবং রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতার সবচেয়ে বড় ঘটনা।</p> <p>ওয়াদ মাদানি রেজিস্ট্যান্স কমিটি শনিবার জানিয়েছে, রাজ্যের উত্তরে আল-সিরেহা গ্রামে সাম্প্রতিক সহিংসতার সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা ঘটেছে। সেখানে আরএসএফের হামলায় অন্তত ১২৪ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ছবি ও ভিডিওগুলোতে শতাধিক মৃতদেহ ও গণকবর খননের দৃশ্য দেখা গেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৭০" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729614712-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সুদানে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ৭০</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/22/1438023" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ হামলার বিষয়ে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার এক বিবৃতিতে আরএসএফ দাবি করেছিল, সেনাবাহিনী জাজিরা অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের অস্ত্র দিচ্ছে, যার প্রতিক্রিয়ায় তারা হামলা চালাতে পারে।</p> <p>সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে আরএসএফ সুদানের অনেক অংশ দখল করে নিয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এ যুদ্ধ বিশ্বের অন্যতম গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। এই যুদ্ধ এক কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত করেছে, দেশের অনেক অংশকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং উভয় পক্ষকে সহায়তা দেওয়া বিভিন্ন বিদেশি শক্তি এতে জড়িয়েছে।</p> <p>২০২৩ সালের এপ্রিলে এ সংঘাত শুরু হয়। সেই সময় সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে উত্তেজনা খোলাখুলি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর আগে তাদের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি ছিল। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর সুদানে বেসামরিক শাসনে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছিল।</p>