<p>ন্যাটোর প্রধান মার্ক রুটা সোমবার ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সাহায্য করতে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি এই পদক্ষেপকে সংঘাতের বিপজ্জনক বিস্তার এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘ক্রমবর্ধমান বেপরোয়া ভাবের’ ইঙ্গিত বলেও উল্লেখ করেছেন।</p> <p>ব্রাসেলসে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর রুটা জানান, উত্তর কোরিয়ার সামরিক ইউনিটগুলো রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতার এই বৃদ্ধি ইন্দো-প্যাসিফিক ও ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। কুরস্কে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন পুতিনের ক্রমবর্ধমান বেপরোয়া ভাবেরও ইঙ্গিত দেয়।’</p> <p>ইউক্রেনীয় বাহিনী আগস্ট থেকে কুরস্কে স্থল অভিযান চালাচ্ছে এবং কয়েক শ বর্গকিলোমিটার রুশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। রুটা আরো জানান, সংঘাত শুরুর পর থেকে ছয় লক্ষাধিক রুশ সেনা হতাহত হয়েছে এবং বিদেশি সমর্থন ছাড়া ক্রেমলিনের পক্ষে এই আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।</p> <p>অন্যদিকে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে বাড়তে থাকা সামরিক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ পুতিন পশ্চিমাবিরোধী জোট গড়তে চাইছেন। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করেছিলেন, রাশিয়া কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। তার দাবি, উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে ১০ হাজার সেনাকে রাশিয়ার জন্য প্রস্তুত করছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, হাজারো উত্তর কোরীয় সেনা রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।</p> <p>এই মাসে ন্যাটোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী রুটা মস্কো ও পিয়ংইয়ংকে ‘অবিলম্বে এই কার্যকলাপ বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ন্যাটোর ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদার, যেমন অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও নিউজিল্যান্ডকেও এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>