<p>ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আলোচনা করছে, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান চালাচ্ছে। ইসরায়েলের সরকারি রেডিওকে বুধবার তিনি বলেন, ‘আলোচনা চলছে, তবে এখনো সময় লাগবে।’</p> <p>এ ছাড়া ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রীদের সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনা করেন। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে হিজবুল্লাহকে ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে লিতানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নেওয়া, লেবাননের সেনাবাহিনীকে সীমান্তে মোতায়েন করা, যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের ব্যবস্থা এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি দেখা দিলে তারা যেন পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে।</p> <p>কোহেন এর আগে গোয়েন্দামন্ত্রীও ছিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘গত কয়েক মাসে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের জন্যই ইসরায়েল শক্ত অবস্থানে এসেছে। কারণ হিজবুল্লাহর পুরো নেতৃত্বকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং হিজবুল্লাহর দুই হাজারের বেশি সন্ত্রাসী স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।’</p> <p>এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক ও বিশেষ দূত আমোস হকস্টেইন বুধবার ইসরায়েলে যাচ্ছেন। তারা হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্তাবলির বিষয়ে নেতানিয়াহু ও অন্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।</p> <p>এই যুদ্ধ গত মাসের শেষের দিকে শুরু হয়। এর আগে প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে স্বল্প মাত্রার সংঘর্ষ চলে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে গাজা উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধ শুরু করে নেতানিয়াহুর সরকার। সেই যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে এই যুদ্ধের কারণে অন্তত এক হাজার ৭৫৪ জন নিহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। যদিও তথ্যের ঘাটতির কারণে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে স্থল অভিযান শুরুর পর তাদের ৩৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>