<p style="text-align:justify">নাটকীয় প্রত্যাবর্তন হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউস ছাড়ার চার বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">ভোটের ফল আসার মধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে ট্রাম্পের জয়। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেই অঙ্গরাজ্যগুলোতে হয়েছে, সেসব অঙ্গরাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">ভোটারদের অনেকেই ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার পেছনে অর্থনীতি ও অভিবাসনের মতো বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">২০২০ সালে জো বাইডেনের কাছে হারলেও নির্বাচনের ফল মেনে নিতে চাননি ট্রাম্প। হারের পরও প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকার জন্য সেবার তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেসব কার্যক্রমের সমালোচনা এখনো হয়ে থাকে।</p> <p style="text-align:justify">২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলের সহিংস হামলার দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। পাশাপাশি ব্যাবসায়িক নথি জাল করার দায়ে গত বছর অভিযুক্ত হওয়ায় তিনি প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন, যাকে আদালত অপরাধী হিসেবে রায় দিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">এসব কারণে ট্রাম্পকে নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হওয়ার বিষয়টি খুব একটা অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয়। প্রচারণার পুরোটা সময় ট্রাম্প বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন, তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হেয় করে কৌতুক করেছেন ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">অর্থনৈতিক মন্দা বা মূল্যস্ফীতির মতো অর্থনৈতিক সংকটের জন্য বাইডেন প্রশাসন দায়ী বলে মনে করে ভোটারদের একটা বড় অংশ। বাইডেন প্রশাসনের অধীনে রেকর্ড মাত্রার অবৈধ অভিবাসন নিয়েও ভোটারদের একটা বড় চিন্তিত। ট্রাম্প বা তার সমর্থকদের মতো এই ভোটারদের অনেকেই সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের পক্ষপাতী।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া এবারের প্রচারণায় ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগান ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ডানপন্থী ও বামপন্থীরা মনে করেন ইউক্রেনে যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে তা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে খরচ করা হতো তাহলে তা অর্থনীতিকে অনেক শক্তিশালী করতে পারত।</p> <p style="text-align:justify">এই বিষয়টি মাথায় রেখে অনেকেই কমলা হ্যারিসকে ভোট দিতে পারেননি, যিনি চার বছর জো বাইডেনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা মনে করেছেন যে কমলা হ্যারিসকে ভোট দিলে ইউক্রেনবিষয়ক নীতি অনেকটা এক রকমই থাকত। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে মার্কিন নীতির কতটা পরিবর্তন হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের মধ্যে।</p> <p style="text-align:justify">এবারের নির্বাচনে ভোটারদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি দিক তুলে ধরা হয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটারদের বলেছিলেন যে তাদের দেশ ক্রমাগত ধ্বংসের পথে যাচ্ছে এবং শুধু তিনি দেশকে ‘আবারও মহান দেশে পরিণত’ করতে পারবেন।</p> <p style="text-align:justify">অন্যদিকে কমলা হ্যারিস সতর্ক করেছিলেন যে যদি ট্রাম্প নির্বাচিত হন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রই অস্তিত্বের সংকটে পড়বে। ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের মতো কর্তৃত্ববাদী নেতাদের প্রশংসা করেছেন। বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘তারা তাদের ক্ষেত্রের শীর্ষে রয়েছেন, আপনার ভালো লাগুক আর না লাগুক।’</p> <p style="text-align:justify">গণমাধ্যমে সমালোচনা বন্ধ করার বিষয়েও কথা বলেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের কয়েক দিন আগে তিনি এমন মন্তব্যও করেছেন যে গণমাধ্যমের কর্মীরা মারা গেলেও তিনি খুব একটা ব্যথিত হবেন না।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র : বিবিসি</p>