<p>দিল্লির বাতাসের গুণগত মান আরো নিচে নামল। বুধবার সকালে ঘন ধোঁয়াশায় ঢাকল রাজধানী। কম দৃশ্যমানতার কারণে বাতিল করতে হয়েছে একাধিক ফ্লাইটও। দিল্লিতে উত্তরোত্তর দূষণ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।</p> <p>আবহাওয়া ভবনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন সকালে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ছিল ৩৭০, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। আগের দিন মঙ্গলবার একিউআই ছিল ৩৬১। সেই তুলনায় বাতাসের গুণগত মানের আরো অবনতি হয়েছে। স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টা থেকেই শহর ঘিরে ছিল ঘন ধোঁয়াশার আস্তরণ। দৃশ্যমানতা হ্রাস পাওয়ার কারণে দিল্লিগামী একাধিক বিমানের অভিমুখ বদলেছে। যদিও দুপুরের দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য সংলগ্ন এলাকায় বিকেল পর্যন্ত দৃশ্যমানতা কমই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া ভবন।</p> <p>এর আগে মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে দিল্লিগামী তিনটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের সময়সূচি বদলেছে। এমনকি ধোঁয়াশার কারণে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের ফ্লাইটও লুধিয়ানায় অবতরণ করতে পারেনি। শেষমেশ তার বিমান অমৃতসরে নামে। এ ছাড়া ধোঁয়াশায় ঢেকেছে দিল্লি-মীরট এক্সপ্রেসওয়ে। যার জেরে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচলও। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে এসেছে। রাস্তায় চলাচলের জন্য ‘ফগ লাইটের’ সাহায্য নিতে হচ্ছে গাড়ি চালকদের।</p> <p>গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, নভেম্বরের মাসের শুরু থেকেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান পড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালেও রাজধানী ছিল ধোঁয়াশায় মোড়া। সকাল ৭টা নাগাদ বাতাসের গুণগত মান ছিল (একিউআই) ৩০০-এরও বেশি। বুধবারও একই দৃশ্য। শহরের কোথাও কোথাও একিউআই ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার সকালে দিল্লির অক্ষরধাম ও আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণগত মান ছিল ৩৮৯, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। বিমানবন্দর এলাকায় ওই একই সময়ে একিউআই ছিল ৩৬৮, যার জেরে ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবা।</p> <p>উল্লেখ্য, দীপাবলির আগে থেকেই খারাপ হতে শুরু করেছিল ভারতের রাজধানীর দূষণ পরিস্থিতি। দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান আরো খারাপ হতে শুরু করেছে। যদিও দীপাবলির আগে ও পরে দূষণ রোধের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছিল দিল্লি সরকার। গত মাসের শেষেই মুখ্যমন্ত্রী অতিশী ও পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দূষণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। দূষণ ঠেকাতে ৯৯টি দলও গঠন করা হয়। ২০০টি ‘অ্যান্টি স্মগ গান’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ত দপ্তর। দিল্লি পৌরসভার পাশাপাশি দূষণ রোধে কোমর বেঁধে নামে এনসিআরটিসি ও দিল্লি মেট্রোও।</p>