<p>ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে একজন সুপরিচিত ইরানি মানবাধিকারকর্মী আত্মহত্যা করেছেন।</p> <p>এ ঘটনার আগে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টে কিয়ানোশ সানজারি একটি পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টে তিনি জানান, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার মাঝে চারজন রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি না দিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। এর ঘণ্টাখানেক পরেই তার সহকর্মীরা জানান, সানজারি মারা গেছেন। </p> <p>মৃত্যুর আগে তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন, আমি আশা করছি, ‘একদিন ইরানিরা জেগে উঠবে’ এবং ‘দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসবে।’ সানজারি ইরানের নেতাদের একজন সোচ্চার সমালোচক এবং গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন।</p> <p>মৃত্যুর আগে তিনি বলে গেছেন, ‘কারো মতপ্রকাশের জন্য তাকে বন্দি করা উচিত নয়। প্রতিবাদ করা প্রতিটি ইরানি নাগরিকের অধিকার।’ বুধবার সকালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আজ সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যদি ফাতেমে সেপেহরি, নাসরিন শাকরামী, তোমাজ সালেহি এবং আরশাম রেজায়ীকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে আমি খামেনি ও তার সহযোগীদের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আত্মহত্যা করব।’</p> <p>মাশা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই বিক্ষোভে সমর্থন জানানো এবং বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে রাজনৈতিক সক্রিয়তার জন্য সানজারিকে বারবার গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গত ১ মাসে ইসরায়েলি হামলায় ২০ ত্রাণকর্মী নিহত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/14/1731557496-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গত ১ মাসে ইসরায়েলি হামলায় ২০ ত্রাণকর্মী নিহত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/14/1446468" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এরপর তিনি ২০০৭ সালে ইরান ছেড়ে নরওয়েতে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভয়েস অব আমেরিকার পার্সিয়ান বিভাগে যোগ দেন। তিনি ২০১৬ সালে তার পিতা-মাতার সঙ্গে থাকার জন্য ইরানে আবার ফিরে আসেন। তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এভিন কারাগারে ১১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, যেখানে রাজনৈতিক বন্দিদের প্রায়ই বন্দি রাখা হয়।</p> <p>এরপর ২০১৯ সালে তিনি চিকিৎসার কারণে জামিনে মুক্তি পান এবং পরবর্তী সময়ে একটি মনোরোগ হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছিলেন, তাকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল সেখানে। একটি বিছানায় শিকলবন্দি করা হয়েছিল এবং তার শরীরে বিভিন্ন পদার্থ পুশ করা হয়েছিল।</p> <p>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা মানবাধিকারকর্মী হোসেইন রোনাগি বলেছেন, ‘কিয়ানোশ সানজারি শুধু একটি নাম নয়। এটি বছরের পর বছর ধরে চলমান দুর্দশা, প্রতিরোধ ও স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতীক।’</p> <p>সূত্র : বিবিসি <br />  </p>