<p style="text-align:justify">টাইটানিক জাহাজের সাত শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করেছিলেন ব্রিটিশ একটি নৌ-যানের ক্যাপ্টেন স্যার আর্থার রসট্রন। উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা ক্যাপ্টেনকে একটি সোনার পকেট ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর ঘড়িটি নিলামে তোলা হয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) নিলামে আকাশছোঁয়া দাম উঠেছে ঘড়িটির। শেষ পর্যন্ত রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে সেটি। ১.৯৭ মিলিয়ন ডলার দাম উঠেছিল এটির। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা সাড়ে ২৩ কোটি টাকারও বেশি।</p> <p style="text-align:justify">ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওই ঘড়িটি ১৮ ক্যারেটের টিফানি অ্যান্ড কোম্পানি ব্র্যান্ডের। ১৯১২ সালে স্যার আর্থার রসট্রনকে সেটি উপহার দিয়েছিলেন টাইটানিকের বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী।</p> <p style="text-align:justify">এখন পর্যন্ত টাইটানিক সংক্রান্ত স্মারকের মধ্যে অনেক কিছুই নিলামে উঠেছে। তবে সবচেয়ে বেশি দাম উঠেছে এই ঘড়িটির। রেকর্ড দামে ঘড়িটি কিনে নিয়েছেন একজন মার্কিন ব্যক্তিগত সংগ্রাহক।</p> <p style="text-align:justify">চলতি বছরের এপ্রিলে টাইটানিকের সবচেয়ে ধনী যাত্রীর পরিহিত একটি সোনার পকেট ঘড়ি বিক্রি হয়েছিল ১৫ লাখ ডলারে।</p> <p style="text-align:justify">১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল টাইটানিক জাহাজ যখন ডুবে যাচ্ছিল, তখন স্যার আর্থার রসট্রন আরএমএস কারপাথিয়া জাহাজ নিয়ে ইউরোপের পথে যাচ্ছিলেন। টাইটানিক জাহাজ থেকে বিপদের সংকেত পাওয়ার পর স্যার আর্থার রসট্রন দিক পরিবর্তন করেন। তিনি দ্রুত সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">ঘড়িটি স্যার রসট্রনকে উপহার দিয়েছিলেন টাইটানিকের ধনী যাত্রী জন জ্যাকব অ্যাস্টরের স্ত্রী এবং আরো দুই ধনী ব্যবসায়ীর স্ত্রী, যারা তাদের স্বামীদের হারিয়েছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফিফথ অ্যাভিনিউয়ে অ্যাস্টর পরিবারের প্রাসাদে এক ভোজসভায় স্যার রসট্রনকে এই ঘড়িটি উপহার দেওয়া হয়েছিল।</p> <p style="text-align:justify">ঘড়িটির পেছনে লেখা আছে- ‘১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল টাইটানিক থেকে বেঁচে যাওয়া জন বি থায়ের, মিসেস জন জ্যাকব অ্যাস্টর এবং জর্জ ডি ওয়াইডেনারের পক্ষ থেকে ক্যাপ্টেন রোসট্রনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাসহ উপহার।’</p> <p style="text-align:justify">নিলামকারী অ্যান্ড্রু অ্যালড্রিজ বলেন, ‘স্যার রসট্রনের সাহসিকতার জন্য এটি উপহার দেওয়া হয়েছিল। তিনি ৭০০ মানুষকে বাঁচিয়েছিলেন।’</p>