<p>ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সোমবার ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রতি দেশটির সমর্থনের কারণে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত জাহাজ ও বন্দরগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।</p> <p>ব্লকের ২৭টি সদস্য দেশ জানিয়েছে, তারা ইইউ থেকে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) তৈরির জন্য ব্যবহৃত উপাদানগুলোর রপ্তানি, স্থানান্তর, সরবরাহ বা বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে।</p> <p>অন্যদিকে তেহরান ইইউর এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘাই সোমবার জানিয়েছেন, তেহরান কিভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানাবে তা তারা সিদ্ধান্ত নেবে।</p> <p>ইউনিয়ন আরো ঘোষণা করেছে, নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন, পরিচালিত বা নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলোর সঙ্গে যেকোনো লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাশিয়াকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বা এ সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও উপাদান সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হওয়া বন্দরগুলোর জন্যও এটি কার্যকর হবে।</p> <p>ব্রাসেলসে ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রীরা এক সভায় এদিন জানান, এই ব্যবস্থা আমিরাবাদ, আঞ্জালির মতো বন্দরের সুবিধা ও জলপথের অবকাঠামোগুলোতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং জাহাজের প্রতি কোনো সেবা প্রদান নিষিদ্ধ করেছে।’</p> <p>আমিরাবাদ ও আঞ্জালি হলো কাস্পিয়ান সাগরের দুটি ইরানি বন্দর। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন সমুদ্র নিরাপত্তার কারণে জাহাজকে সহায়তা প্রদান করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ ছাড়া ইইউ ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত শিপিং কম্পানি আইআরআইএসএল ও এর পরিচালক মোহাম্মদ রেজা খিয়াবানি এবং তিনটি রুশ শিপিং কম্পানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যারা কাস্পিয়ান সাগরের মধ্য দিয়ে অস্ত্র পরিবহনের জন্য অভিযুক্ত। </p> <p>এর আগে ব্রাসেলস ইরানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে মস্কোকে কিয়েভের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন সরবরাহের পশ্চিমা অভিযোগগুলো তেহরান অস্বীকার করেছে।</p> <p>নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি রবিবার জানিয়েছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ‘ক্ষেপণাস্ত্রসংক্রান্ত অস্তিত্বহীন অজুহাত’ ব্যবহার করে তাদের শিপিং লাইনের ওপর আঘাত করছে। তিনি এক্সে লিখেছিলেন, ‘এ ধরনের আচরণের জন্য কোনো আইনি, যুক্তিগত বা নৈতিক ভিত্তি নেই। জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা হলো সমুদ্র আইনের একটি মৌলিক নীতি।’</p> <p>এদিকে ইরানের অর্থনীতি ২০১৮ সালে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। </p> <p>সূত্র : এএফপি</p>