<p>গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন বন্ধের জন্য হংকং-এ জাতীয় সুরক্ষা আইন চালু করেছে চীন, সেই আইনেই ৪৫ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। আজ মঙ্গলবার হংকং-এর হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে।</p> <p>জাতীয় সুরক্ষা আইন ভাঙার অপরাধে তাদের এই সাজা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে হংকং-এ চালু করা এই জাতীয় সুরক্ষা আইনের তীব্র সমালোচনা হয়েছিল।</p> <p>আইন বিশেষজ্ঞ বেনি তাই-কে সবচেয়ে বেশিদিনের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ, তিনিই এই আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ। নতুন আইন চালু করে গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন গুঁড়িয়ে দেয়ার পর এটাই হংকং-এর সবচেয়ে বড় জাতীয় সুরক্ষা মামলা ছিল।</p> <p>গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা আন্দোলন করে হংকং সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অচল করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সরকার নিযুক্ত বিচারপতিদের সামনে কিছু আন্দোলনকারী দোষ স্বীকার করে নেন, কিছু আন্দোলনকারীকে দোষী বলে সাব্যস্ত করে আদালত।</p> <p>পশ্চিম কাউলুন হাকিম আদালতে ১১৮ দিন ধরে চলা বিচারের পর গত মে মাসে ১৪ গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী দোষী সাব্যস্ত হন। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক গর্ডন এনজি এবং আন্দোলনকারী ওয়েন চাও অন্যতম। বিচারের মুখোমুখি হওয়া ৪৭ আন্দোলনকারীর মধ্যে ৩১ জন দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। বাকি দুইজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।</p> <p>এদিকে অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, যেভাবে গণতন্ত্রকামীদের শাস্তি দেয়া হলো, তাতে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক গর্ডন এনজি-ও আছেন। </p> <p>অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং বলেছেন, যেভাবে এই আইন চালু করা হয়েছে এবং তা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রবল আপত্তি আছে।</p> <p>সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা, বিবিসি</p>