<p>ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সোমবার বলেছেন, ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, বরং মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া উচিত। তিনি গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইরত সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিয়ে আসছেন।</p> <p>আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং হামাস নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর খামেনি এই মন্তব্য করলেন।</p> <p>ইসরায়েলি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে খামেনি বলেন, ‘তারা (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, এটা যথেষ্ট নয়...এই অপরাধী নেতাদের জন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া উচিত।’</p> <p>আইসিসির বিচারকরা তাদের সিদ্ধান্তে বলেছেন, নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গালান্ট হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ক্ষুধা ব্যবহারের মতো কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী—যা গাজার বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে একটি ‘ব্যাপক ও পদ্ধতিগত আক্রমণের’ অংশ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ও দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/21/1732197801-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ও দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/21/1449164" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আইসিসির সিদ্ধান্তে ইসরায়েলে ক্ষোভের জন্ম হয়। তারা একে লজ্জাজনক ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। পাশাপাশি তারা হেগভিত্তিক আদালতের এখতিয়ার অস্বীকার এবং গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে গাজার বাসিন্দারা আশা প্রকাশ করেছে, এটি সহিংসতা শেষ করতে ও যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করতে সহায়তা করবে।</p> <p>ইসরায়েলি নেতাদের পাশাপাশি হামাস নেতা ইব্রাহিম আল-মাসরির বিরুদ্ধে পরোয়ানায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে তার গোষ্ঠীর হামলার সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও জিম্মি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই হামলার পর দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলটিতে যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।  </p> <p>ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা জুলাই মাসে একটি বিমান হামলায় মাসরিকে হত্যা করেছে, যিনি মোহাম্মদ দেইফ নামেও পরিচিত। তবে হামাস বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার—কোনোটিই করেনি।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>