<p>জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার ইউক্রেনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অ্যান্টি পারসোনেল’ বা মানুষ নিধনকারী স্থলমাইন সরবরাহ করার ‘নতুন হুমকির’ নিন্দা করেছেন। রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইউক্রেনীয় বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্র এই অস্ত্র সরবরাহ করবে বলে জানানোর কয়েক দিন পর তিনি এ নিন্দা করলেন।</p> <p>অ্যান্টি পারসোনেল মাইন নিষিদ্ধ চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে কম্বোডিয়ায় একটি সম্মেলনে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বিশ্বজুড়ে স্থলমাইন অপসারণ ও ধ্বংসের প্রশংসা করেছেন। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ‘তবে হুমকিটি রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সমঝোতায় উপনীত হওয়া কিছু পক্ষের নতুন করে অ্যান্টি পারসোনেল মাইনগুলোর ব্যবহার, সেই সঙ্গে কিছু পক্ষের এই অস্ত্রগুলো ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি থেকে পিছিয়ে পড়া।’</p> <p>জাতিসংঘপ্রধান সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী ১৬৪টি দেশের প্রতি ‘তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ ও সমঝোতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। এই সমঝোতায় সম্মত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে ইউক্রেনও রয়েছে। তবে রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র এ সমঝোতায় সম্মত হয়নি।</p> <p>জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা গুতেরেসের পক্ষ থেকে তার এ বক্তব্যটি প্রদান করেন। মন্তব্যটি বিশেষভাবে ইউক্রেনের দিকে ইঙ্গিত করেছে কি না, তা জানতে এএফপি গুতেরেসের অফিস ও মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সম্মেলনে ইউক্রেনীয় দল মার্কিন স্থলমাইন সরবরাহ সম্পর্কে এএফপির প্রশ্নের জবাব দেয়নি।</p> <p>গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ঘোষণা করে, তারা কিয়েভে অ্যান্টি পারসোনেল ল্যান্ডমাইন পাঠাবে। তাৎক্ষণিক মানবাধিকারকর্মীরা এর তীব্র নিন্দা জানান। </p> <p>সম্মেলনটি কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশটি বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে তিন দশকের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত। বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বোমা ও  মাইন বিস্ফোরিত দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়া অন্যতম। ১৯৭৯ সাল থেকে কম্বোডিয়ায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ স্থলমাইন ও অবিস্ফোরিত বিস্ফোরকের বিস্ফোরণে নিহত ও এর দ্বিগুণ লোক আহত হয়।</p>