<p>রাশিয়া মঙ্গলবার স্বীকার করেছে, তারা একজন ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করেছে, যিনি ইউক্রেনের পক্ষে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধে লড়াই করছিলেন। কুরস্ক অঞ্চলের একটি আদালত জানান, সোমবার তারা জেমস স্কট রিস অ্যান্ডারসনকে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ‘কুরস্ক অঞ্চলের ভূখণ্ডে সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণ করেছেন’ বলে অভিযোগ রয়েছে।</p> <p>এটি ছিল অ্যান্ডারসনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাশিয়ার প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। এর আগে সপ্তাহান্তে ক্রেমলিনপন্থী টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে এক ব্যক্তি নিজেকে জেমস অ্যান্ডারসন হিসেবে পরিচয় দেন। ভিডিওতে তার হাত বাঁধা ছিল বলে মনে হয়েছে। </p> <p>অযাচাইকৃত ভিডিওটিতে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি ২০২৩ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।</p> <p>এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সোমবার জানান, লন্ডন এ বিষয়ে ‘তথ্য পেয়েছে’ এবং ‘এই ব্রিটিশ নাগরিককে যতটা সম্ভব সহায়তা প্রদান করা হবে’।</p> <p>ইউক্রেন তার পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রে চাপে থাকায় আগস্ট মাসে কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে। সেখানে তারা ডজনখানেক বসতি দখল করে এবং এখনো সেই অঞ্চলের একটি অংশ তাদের দখলে রয়েছে। এ ছাড়া অনেক বিদেশি যোদ্ধা রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার সামরিক আক্রমণ প্রতিহত করতে সহায়তায় ইউক্রেনে গেছেন।</p> <p>কুরস্কের লেনিনস্কি আদালত জানিয়েছেন, অ্যান্ডারসনের বিরুদ্ধে ‘সমাজের জন্য বিপজ্জনক গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে’। তাকে ইউক্রেনের ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য’ এবং ‘রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অবৈধভাবে অতিক্রম করা ও সশস্ত্র সংঘাতে অংশগ্রহণের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে আদালত তাকে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগে বা কত দিন আটক রাখা হবে, তা উল্লেখ করেননি।</p> <p>রাশিয়া সাধারণত ইউক্রেনের হয়ে লড়াই করতে যাওয়া বিদেশি যোদ্ধাদের ‘ভাড়াটে সেনা’ হিসেবে বিবেচনা করে। এই শ্রেণিবিভাগের মাধ্যমে মস্কো তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের আওতায় মামলা করতে পারে, জেনেভা কনভেনশনের অধীনে যুদ্ধবন্দিদের জন্য নির্ধারিত সুরক্ষা ও অধিকারের বদলে। ২০২২ সালে রুশ অধিকৃত পূর্ব ইউক্রেনের একটি আদালত ইউক্রেনের পক্ষে লড়াই করা দুই ব্রিটিশ যোদ্ধাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য তারা বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি পান।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>