<p>মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাউমের সঙ্গে বুধবার বৈঠক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বৈঠকের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, আলোচনা সদর্থক হয়েছে। অনুপ্রবেশ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী দিনে অনুপ্রবেশ বন্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ ব্যবস্থা নেবেন।</p> <p>ট্রাম্প আরো জানিয়েছেন, সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অনুপ্রবেশের পাশাপাশি মাদক নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই নেতার। মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশের রাস্তা কিভাবে বন্ধ করা যায়, সে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার সূত্রেই যুক্তরাষ্ট্রে মাদক বিক্রির বাজার বন্ধ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।</p> <p>ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ক্লদিয়াও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। কিন্তু এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি আবার জানান, সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প যা বলেছেন, তা সত্য নয়। এমন কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি।</p> <p>তবে অনুপ্রবেশের পাশাপাশি মাদক নিয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট।</p> <p>গত আর্থিক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মেক্সিকো সীমান্তে প্রায় ১০ হাজার কিলোগ্রাম মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। তার আগের বছরও প্রায় সমপরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।</p> <p>তবে এদিনের বৈঠকের অন্যতম কারণ ছিল সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি ঘোষণা। ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের অফিসে বসেই তিনি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসাবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হয় ট্রাম্পের। তবে এই বিষয়ে দুই নেতা কোনো সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পেরেছেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মেক্সিকোর অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার জানিয়েছেন, ট্রাম্প যদি সত্যিই এই কাজ করেন, তাহলে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ তাদের কাজ হারাবেন।</p>