<p>হামাসের সশস্ত্র শাখা শনিবার গাজায় এক মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মির ভিডিও প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে গোষ্ঠীটির হামলার পর থেকে তিনি জিম্মি রয়েছেন।</p> <p>জেরুজালেম থেকে এএফপি জানিয়েছে, ভিডিওতে এডান আলেকজান্ডারকে মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইংরেজিতে ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হিব্রু ভাষায় সম্বোধন করতে দেখা যায়। তবে ভিডিওটির তারিখ যাচাই করা যায়নি। তিনি ৭ অক্টোবর আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইসরায়েলিদের প্রতি আহ্বান জানান।</p> <p>এডানের মা ইয়ায়েল আলেকজান্ডার শনিবার সন্ধ্যায় তেল আবিবে জিম্মিদের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘এই ভিডিও আমাকে বিচলিত করেছে, এটি আমাদের আশার অন্তরালে এডান ও অন্য জিম্মিরা বাঁচার প্রত্যাশায় কতটা চিৎকার করছে এবং কতটা খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে তা দেখায়।’</p> <p>তিনি জনগণকে জানান, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনকলে বলেছেন, ‘অবশ্যই আপনার প্রতিশ্রুতি রাখবেন ও তাদের মুক্ত করবেন। রাষ্ট্রটি যুদ্ধ শেষ করতে ও আমার এডানসহ তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট শক্তিশালী।’</p> <p>অন্যদিকে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘তাদের ফোনকলের সময় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, শত্রুদের হাতে বন্দি সকল জিম্মিকে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইসরায়েল প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।’ পাশাপাশি ভিডিওটির প্রকাশকে ‘নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছেন নেতানিয়াহু।</p> <p>যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র শন সাভেট ভিডিওটিকে ‘হামাসের সন্ত্রাসের একটি নিষ্ঠুর অনুস্মারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়, তবে গাজা যুদ্ধ আগামীকাল বন্ধ ও গাজবাসীর দুর্ভোগ শেষ হবে।’</p> <p>এদিকে জিম্মি পরিবার ফোরাম প্রচারাভিযান গ্রুপ জিম্মিদের মুক্তির জন্য তাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘প্রথম একমাত্র চুক্তির এক বছর পর এটি সবার কাছে পরিষ্কার, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা শুধু একটি চুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব।’</p>