<p>দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মঙ্গলবার তার দেশে জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, পার্লামেন্টে বাজেট বিল নিয়ে চলমান টানাপড়েনের মধ্যে ‘কমিউনিস্ট শক্তি’ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল।</p> <p>জাতির উদ্দেশে এদিন সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইওল বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি ও রাষ্ট্রবিরোধী উপাদান নির্মূল করতে উদার দক্ষিণ কোরিয়ার সুরক্ষার জন্য...আমি জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের জীবিকার তোয়াক্কা না করে, বিরোধী দল অভিশংসন, বিশেষ তদন্ত ও তাদের নেতাকে ন্যায়বিচার থেকে রক্ষার জন্য শাসনব্যবস্থাকে অচল করে দিয়েছে।’</p> <p>এই পদক্ষেপ এমন সময় নেওয়া হলো, যখন ইওলের পিপল পাওয়ার পার্টি ও প্রধান বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা গত সপ্তাহে একটি পার্লামেন্টারি কমিটিতে বাজেট পরিকল্পনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে অনুমোদন করেন।</p> <p>দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সংসদ অপরাধীদের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। এটি একটি আইন প্রণয়নের একনায়কত্বের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে তারা বিচার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে অচল করে দিয়ে আমাদের উদার গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ভেঙে দিতে চায়।’</p> <p>তিনি আরো অভিযোগ করেন, বিরোধী আইন প্রণেতারা ‘মাদকসংক্রান্ত অপরাধ মোকাবেলা ও জননিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজেট কেটে দিয়েছেন, যা দেশকে মাদকের অভয়ারণ্য ও জননিরাপত্তার বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’</p> <p>পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা বিরোধী দলকে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি বলে আখ্যা দিয়ে ইওল বলেন, তারা শাসনব্যবস্থাকে উল্টে দিতে চায়। পাশাপাশি তিনি তার এই সিদ্ধান্তকে ‘অপরিহার্য’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি যত দ্রুত সম্ভব রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোকে নির্মূল করব এবং রাষ্ট্রকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।’</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>