<p>দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের প্রেসিডেন্ট অফিসে অভিযান চালাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়,  সামরিক আইন জারির চেষ্টার সঙ্গে সম্পর্কিত নথি–প্রমাণ জোগাড়ের জন্য এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট এবং তার সহযোগীরা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজনের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। </p> <p>এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সদ্য সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) একই দিনে ঘটনা দুটি ঘটেছে।</p> <p>সংসদে বিষয়টি জানিয়েছেন দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা। এসব ঘটনা দেশটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কোরিয়া সংশোধন পরিষেবার কমিশনার জেনারেল শিন ইয়ং হে সংসদীয় শুনানিতে জানান, সাবেক মন্ত্রী কিম আত্মহত্যার চেষ্টার পর বেঁচে গেছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।</p> <p>অভিযোগ উঠেছে, গত ০৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন চাপিয়ে দেয়ার যে ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল সেখানে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিদ্রোহের অভিযোগে সিওল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের আদেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পরেই নাটকীয় এ ঘটনা ঘটেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট।</p> <p>কারাগারেই সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে তিনি কীভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এবং কখন খবরে তা উল্লেখ করা হয়নি।</p> <p>সামরিক আইন জারি এবং জনগণের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করার পর প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। তবে শনিবার বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে হওয়া এ সংক্রান্ত ভোটে উতরে গেছেন তিনি।</p> <p>তারপরও প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন ঘোষণার জন্য তাকে অভিশংসনের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি দ্বিতীয় অভিশংসন প্রচেষ্টা সফল হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু অস্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।</p> <p>এর আগে, ৩০০-সদস্যের জাতীয় সংসদে প্রথম অভিশংসনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। যখন, ইউনের পিপলস পাওয়ার পার্টির সদস্যরা ভোট বর্জন করেছিল। তবে দ্বিতীয় অভিশংসন প্রস্তাব সফল হলে, প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। এরপর সাংবিধানিক আদালত সিদ্ধান্ত নেবে ইউন সুক-ইওলকে অপসারণ করা হবে কিনা। </p> <p>এদিকে কোরিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির কমিশনার জেনারেল চো জি-হো এবং সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সির প্রধান কিম বং-সিককেও বিদ্রোহের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টার জন্য আটক রাখা হয়েছে।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স   </p>