<p>সুদানে বোমা হামলায় অন্তত ১২৭ জন নিহত হয়েছে। গত সোম ও মঙ্গলবারের এ হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। আজ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটিতে সামরিক বাহিনীর (এসএএফ) সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সংঘাত বাড়ছে। যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টাও স্থবির হয়ে পড়েছে।</p> <p>আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ করে এমন অর্ধেক অংশে বিমান হামলা বাড়িয়েছে সেনাবাহিনী। আর আরএসএফও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। উভয়ই ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। গত সোমবার উত্তর দারফুর শহরের কাবকাবিয়ার বাজারে আটটিরও বেশি বোমা হামলা চালানো হয়।</p> <p>উত্তর দারফুরের একটি শহরের বাজারটিতে সুদানের সামরিক বিমান হামলায় ১০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। সেনাবাহিনী কাবকাবিয়ার হামলার দায় অস্বীকার করে বলেছে, সামরিক উদ্দেশ্যে আরএসএফ দ্বারা ব্যবহৃত যেকোনো অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করার অধিকার রাখে তারা।</p> <p>ওই সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কেনাকাটা করতে বাজারে এসেছিল। এতে শতাধিক নিহত এবং নারী, শিশুসহ কয়েক শ লোক আহত হয়েছে। এই শহরটি গত মে মাস থেকে আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) হামলার কবলে পড়েছে। </p> <p>গণতন্ত্রপন্থী আইনজীবী দল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে ২০ মাস ধরে চলা সংঘর্ষকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। সোমবারের হামলার কিছু ভিডিও এএফপির হাতে এসেছে। ভিডিও ফুটেছে দেখো যায়, শিশুদের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ মাটিতে পড়ে আছে। মানুষ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তা উদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে ভিডিও ফুটেজটি সিভিল সোসাইটি গ্রুপ দারফুর জেনারেল কো-অর্ডিনেশন অফ দ্য ডিসপ্লেসড অ্যান্ড রিফিউজিস সরবরাহ করেছিল এবং এএফপির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।</p> <p>দারফুর সুদানের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশের আবাসস্থল। তবে এ অঞ্চলের ১০ মিলিয়নের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। সুদানে গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে এসএএফের সঙ্গে আরএসএফের সংঘাত চলে আসছে। দেশটির সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন আধাসামরিক বাহিনীর প্রধান। এরপর নিজ বাহিনী নিয়ে সেনাপ্রধানের ওপর আক্রমণ চালান তিনি। এ থেকেই লড়াই শুরু হয়।</p> <p>সূত্র : রয়টার্স</p>