<p>জিম্বাবুয়ের চিভেরো হ্রদের দূষিত পানি পান করে চারটি সাদা গণ্ডার মারা গেছে। হ্রদটি রাজধানী হারারেতে পানি সরবরাহের প্রধান উৎস। দেশটির বন্য প্রাণী সংস্থা শনিবার এক ঘোষণায় এই তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>এ ছাড়া সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, হারার থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিভেরো হ্রদের পানি থেকে সায়ানো ব্যাকটেরিয়ার বিষক্রিয়ায় গত সপ্তাহে তিনটি জেব্রা, চারটি ওয়াইল্ডবিস্ট, চারটি ফিশ ঈগল এবং বেশ কয়েকটি ছাগল ও গরু মারা গেছে।সায়ানো ব্যাকটেরিয়া মানুষ ও প্রাণী—উভয়ের জন্য বিষাক্ত। জিমপার্কসের মুখপাত্র তিনাশে ফারাও বলেন, ‘পানির দূষণই সায়ানো ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টির মূল কারণ। হারারের সিটি কাউন্সিল চিভেরো হ্রদে অপরিশোধিত পয়ঃপ্রণালী ফেলে এই দূষণ ঘটাচ্ছে।’</p> <p>এদিকে বন্য প্রাণীর আরো মৃত্যু এড়াতে লেক চিভেরো রিক্রিয়েশনাল পার্ক থেকে বাকি গণ্ডারগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটিতে নিরাপত্তার কারণে গেম রিজার্ভে থাকা সাদা ও বিপন্ন কালো গণ্ডারের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয় না। কারণ এরা শিকারিদের লক্ষ্যবস্তু।</p> <p>তবে দূষণ থেকে বন্য প্রাণীদের রক্ষা করতে চিভেরো হ্রদের দূষিত পানি থেকে তাদের দূরে রাখার চেষ্টার পরও গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ায় এ কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। ফারাও বলেন, ‘আমরা প্রাণীদের দূষিত পানি থেকে বিরত রাখতে পার্কের চারপাশে লবণের ব্লক, খাবারের জন্য গেম নাট (বিকল্প খাবার) ও কৃত্রিম পানীয় রাখার ব্যবস্থা করেছিলাম। তবে দুঃখজনকভাবে এগুলো যথেষ্ট ছিল না। কারণ প্রাণীগুলো হ্রদের পানি পান করতেই থাকল।’</p> <p>সাদা গণ্ডার আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) মতে ‘প্রায় হুমকির সম্মুখীন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত, যাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে আফ্রিকায় প্রায় ১০ হাজার ৮০টি সাদা গণ্ডার রয়েছে। বিপরীতে কালো গণ্ডার ‘অতিসংকটাপন্ন’ অবস্থায় রয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে মাত্র তিন হাজার ১৪০টি টিকে আছে।  </p> <p>জিম্বাবুয়েতে ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, ৪৯৬টি কালো গণ্ডার ও ৩৭৪টি সাদা গণ্ডার ছিল। বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে দেশটিতে কালো গণ্ডারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ বলে জিমপার্কস জানিয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>