<p>ভারত মহাসাগরের ফরাসি অঞ্চল মায়োতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় চিডো আঘাত হানায় রবিবার পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে হতাহতের পুরো সংখ্যা জানতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন।</p> <p>এদিকে উদ্ধারকর্মী ও ত্রাণ আকাশ ও সমুদ্রপথে পৌঁছানো হচ্ছে। তবে বিমানবন্দর ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষতির কারণে তাদের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার সুপেয় পানির সংকট ছিল।</p> <p>একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ১৪ জনের মৃতদেহ একটি প্রাথমিক তালিকায় গণনা করা হয়েছে। এ ছাড়া মায়োতের রাজধানী মামুদজু শহরের মেয়র আম্বদিলওয়াহেদু সৌমায়িলা জানিয়েছেন, গুরুতরভাবে আহত ৯ জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে এবং ২৪৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘূর্ণিঝড় চিডোর আঘাতে ফ্রান্সের মায়োতে নিহত ২" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/14/1734191128-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘূর্ণিঝড় চিডোর আঘাতে ফ্রান্সের মায়োতে নিহত ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/14/1457472" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে মায়োতের উত্তর-পশ্চিমে কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি জায়গায় শুক্রবার থেকে লাল সতর্কতা জারি ছিল। সেসব জায়গায়ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছে।</p> <p>ফ্রান্সের আবহাওয়া পরিষেবা মেটিও ফ্রান্সের আবহাওয়াবিদ ফ্রান্সোইস গুরান্ড জানিয়েছেন, সাইক্লোন চিডো একটি ‘বিশেষ’ ঘূর্ণিঝড় ছিল, যা বিশেষভাবে উষ্ণ ভারত মহাসাগরের পানির কারণে শক্তিশালী হয়েছিল। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) শুক্রবার জানিয়েছে, এটি ২০২২ সালের গোম্বে ও ২০২৩ সালের ফ্রেডির মতো শক্তিশালী, যার আঘাতে মোজাম্বিকে যথাক্রমে ৬০ জনের বেশি ও কমপক্ষে ৮৬ জন নিহত হয়েছিল।</p> <p>ওসিএইচএ সতর্ক করেছে, প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বিপদে রয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মালাওয়িতেও ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার পর্যন্ত ঝড় বয়ে যাওয়ায় আকস্মিক বন্যাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়াতেও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>