<p>গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা রবিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি অঞ্চলে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনী বলেছে, গত দুই দিনে তারা ‘১০০টিরও বেশি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।</p> <p>বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, গাজার শেইখ রাদওয়ান এলাকায় একটি বাড়িতে বোমা হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া পাঁচজনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।</p> <p>বাসাল বলেন, ‘আমরা সঠিক সরঞ্জাম না থাকায় হাত দিয়েই কাজ করছি।’</p> <p>ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মুখপাত্র আরো বলেন, ‘(তারা) প্রতিরোধ যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করার দাবি করে গৃহহীন শরণার্থীদের আশ্রয় নেওয়া বাড়িগুলোর ওপর সহিংস বিমান হামলা পরিচালনা করছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হামাস-ইসরায়েলের একে অপরকে দোষারোপ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/25/1735140747-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হামাস-ইসরায়েলের একে অপরকে দোষারোপ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/25/1461304" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ ছাড়া নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে আবু জারবু পরিবারের বাড়ি লক্ষ্য করে পৃথক আরেকটি হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংস্থাটি। পাশাপাশি তৃতীয় আরেকটি হামলায় জাবালিয়া শহরে চারজন নিহত হয়েছে।</p> <p>এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার বলেছে, তারা গত দুই দিনে গাজা উপত্যকায় ১০০টিরও বেশি ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তু’তে হামলা চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি হামলা এমন স্থানগুলোতে হয়েছে, যেখান থেকে সম্প্রতি ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের দিকে রকেট ও গোলাবারুদ ছুড়েছিল। হামলায় কয়েকজন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলেও তারা জানিয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গাজায় তীব্র ঠাণ্ডায় জমে শিশুদের মৃত্যু" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/26/1735213198-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গাজায় তীব্র ঠাণ্ডায় জমে শিশুদের মৃত্যু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/12/26/1461618" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ সতর্ক করেছিলেন, গাজা থেকে রকেট হামলা অব্যাহত থাকলে ইসরায়েলি হামলা আরো তীব্র হবে। কিন্তু গাজা থেকে নতুন রকেট হামলা ইসরায়েলের এমন এলাকায় সাইরেন বাজিয়ে তোলে, যেগুলো ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়েছিল। যুদ্ধের প্রায় ১৫ মাস পর হামাসের অঞ্চল থেকে রকেট হামলা অব্যাহত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে এমন হামলাগুলোর সংখ্যা কমেছে।</p> <p>গাজায় সর্বশেষ এ সহিংসতা কাতারে জিম্মি মুক্তি চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির জন্য পরোক্ষ আলোচনার সময় হলো। মধ্যস্থতাকারী কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের অবসান ও গাজায় এখনো জিম্মি অনেককে মুক্তি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছনোর প্রচেষ্টায় কয়েক মাস ধরে নিযুক্ত রয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>