<p>ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় সৃষ্ট আগুন নেভাতে রাশিয়ার অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও চেষ্টা চালাচ্ছেন। দুই দিনে পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশে ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।</p> <p>প্রথমে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সারাটভ অঞ্চলের এঙ্গেলস শহরের একটি তেল ডিপোতে বুধবার ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় আগুন ধরে যায়। এঙ্গেলস শহরটি দুই দেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মস্কো জানিয়েছে, আগুন নেভানোর সময় দুজন অগ্নিনির্বাপণকর্মী নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ড্রোন হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়া ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া শহরে হামলা চালায়, যেখানে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়।  </p> <p>সারাটভ অঞ্চলের গভর্নর রোমান বুসারগিন টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘জরুরি পরিষেবার সংস্থাগুলো ড্রোন হামলার পরিণতি সামাল দিতে কাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোপুরি আগুন নিভে যেতে কিছুটা সময় লাগবে।’  </p> <p>তবে বুসারগিন আশ্বস্ত করেছেন, আবাসিক ভবনগুলোর জন্য কোনো হুমকি নেই। এ ছাড়া বুধবার এঙ্গেলস শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে শহরের ওপর দিয়ে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। শহরটির জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার।</p> <p>এদিকে ইউক্রেন জানিয়েছে, ডিপোতে হামলা মস্কোর বিমানবাহিনীর জন্য ‘গুরুতর সরবরাহগত সমস্যা’ তৈরি করবে। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়া দক্ষিণ ইউক্রেনের মস্কো অধিকৃত অঞ্চলের কাছাকাছি জাপোরিঝিয়া শহরে আঘাত হানে, যেখানে ১৩ জন নিহত হয়। পরে কিয়েভ বৃহস্পতিবার জানায় জাপোরিঝিয়ায় হামলায় ১১৩ জন আহত হয়েছে।  </p> <p>এ ছাড়া ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার বৃহস্পতিবারের হামলায় দক্ষিণ খেরসন অঞ্চলে দুজন নিহত হয়েছেন। প্রসিকিউটরদের তথ্য অনুসারে, বোরিস্লাভ গ্রামের ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও খেরসন শহরের পশ্চিমে নেজলামনে গ্রামের ৬০ বছর বয়সী এক নারী মারা গেছেন।  </p> <p>তিন বছর ছুঁই ছুঁই করা ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। উভয় পক্ষই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের আগে কৌশলগত সুবিধা পেতে মরিয়া।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>