<p>দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল গতকাল সোমবার বিজেপির বিরুদ্ধে জাঠদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে সোমবার বিধানসভা ভোটে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচার শুরু করেই লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী নিশানা করেছেন দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।</p> <p>উত্তর-পূর্ব দিল্লির সীলামপুরে কংগ্রেসের সমাবেশে রাহুল বলেন, ‘আপনারা কেজরিওয়ালকে প্রশ্ন করুন, তিনি জাতগণনা এবং অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ চান কি না। আমরা যখন জাতগণনার কথা বলি, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেজরিওয়াল, কারো কাছ থেকে একটি শব্দও শুনি না। কেজরিওয়াল এবং মোদির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দুজনই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন।’</p> <p>রাহুলের এই মন্তব্যের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ‘জবাব দেন কেজরিওয়াল। তিনি এক্সের পোস্টে লেখেন, ‘আজ রাহুল গান্ধী দিল্লিতে এসেছেন। তিনি আমাকে অনেক গালাগালিও করেছেন। কিন্তু আমি তাঁর বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তাঁর লড়াই কংগ্রেসকে বাঁচানোর জন্য। আমার লড়াই দেশকে বাঁচানোর জন্য।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫ দিনে ঝরেছে ৭০ শিশুর প্রাণ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/13/1736741643-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫ দিনে ঝরেছে ৭০ শিশুর প্রাণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/13/1468131" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অন্যদিকে হরিয়ানা রাজ্যে গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে জাঠ সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এবার বিধানসভা ভোটের আগে সেই বিতর্কই দেখা দিয়েছে দিল্লিতেও। </p> <p>কেজরিওয়াল গতকাল বিজেপির বিরুদ্ধে দিল্লির জাঠদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার জাঠদের ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) তালিকাভুক্ত না করার ফলেই তাঁরা সংরক্ষণের কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না।’ </p> <p>আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এক দফায় বিধানসভার ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি হবে গণনা। সেখানে ক্ষমতাসীন আপের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ইতিমধ্যেই দিল্লির ভোটে বিজেপিকে হারাতে আপকে সমর্থন করেছেন।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>