<p>ভারতের নৌবাহিনী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে লক্ষ্য করে একটি সাবমেরিন ও দুটি যুদ্ধজাহাজ চালু করেছে।</p> <p>মুম্বাইয়ে বুধবার দেশীয়ভাবে নির্মিত জাহাজগুলোর কমিশনিং অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, তার দেশ ‘বিশ্বের একটি প্রধান সামুদ্রিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে’। তার দেশ দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে কৌশলগত প্রভাবের জন্য চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি ক্রমেই গুরুত্ব পাচ্ছে।</p> <p>মোদি আরো বলেন, ‘আমরা এই শতাব্দীতে নৌবাহিনীকে প্রস্তুত করার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নিচ্ছি।’</p> <p>এ ছাড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, আটলান্টিক মহাসাগর শাসিত কৌশলগত গুরুত্ব এখন ভারত মহাসাগরের দিকে চলে এসেছে। এ কারণে এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।</p> <p>এই প্রতিযোগিতার মধ্যে ভারত তার প্রধানত সোভিয়েত যুগের অস্ত্রসামগ্রী আধুনিকীকরণ ও তার প্রতিরক্ষা শিল্প সম্প্রসারণে তৎপর। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৪ সালে দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশটি রেকর্ড ১৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। এই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বিনিয়োগের অংশ হিসেবে ভারত তার নৌবাহিনীর বহর সম্প্রসারণে দ্রুততর পদক্ষেপ নিচ্ছে। বুধবার চালু হওয়া জাহাজগুলো ভারতের রাষ্ট্রীয় শিপইয়ার্ডে নির্মিত।</p> <p>মোদি বলেন, ‘তিনটি প্রধান নৌযুদ্ধের যান চালু করা ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও সামুদ্রিক নিরাপত্তায় বৈশ্বিক নেতা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’</p> <p>নয়াদিল্লি পরিকল্পনা করছে, আগামী দশকে যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন বহর প্রায় ১৫০ থেকে ১৭০ পর্যন্ত বাড়ানোর। ২০২২ সালে ভারত প্রথম দেশীয়ভাবে নির্মিত বিমানবাহী রণতরি কমিশন করেছিল, যা আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের অনেক বেশি বিস্তৃত ও বাড়তে থাকা বহরকে মোকাবেলায় ছিল।</p> <p>তবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে মোদির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারকদের মধ্যে একটি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, স্পেনসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লি বৃহৎ অস্ত্র চুক্তি সই করেছে এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন উদ্যোগ অনুমোদন করেছে। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারত কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান ও স্করপিন-শ্রেণির সাবমেরিন কেনার চুক্তি।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা</p>