জাপানে বিশাল সিংকহোলে পড়ল চালকসহ ট্রাক, চলছে উদ্ধার অভিযান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জাপানে বিশাল সিংকহোলে পড়ল চালকসহ ট্রাক, চলছে উদ্ধার অভিযান
ছবিসূত্র : এএফপি

সুইমিংপুল আকৃতির বিশাল এক সিংকহোল থেকে জাপানে উদ্ধারকর্মীরা একজন ট্রাকচালককে কয়েক দিন ধরে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে। রাজধানী টোকিওর কাছে সাইতামা প্রিফেকচারের ইয়াশিও শহরে হওয়া ওই সিংকহোলটি আস্ত একটি ট্রাক গিলে ফেলেছে। 

সিংকহোল তৈরি হওয়ায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

কর্মকর্তারা এলাকার অনেক পরিবারকে তাদের বাড়িঘর খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়া জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে ৭৪ বছর বয়সী ড্রাইভারকে শেষবার উদ্ধারকারীদের সাড়া দিতে শোনা গিয়েছিল। এরপর আর শোনা যায়নি।

আরো পড়ুন
উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সামরিক হেলিকপ্টারের, কমপক্ষে ১৮ মৃতদেহ উদ্ধার

উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সামরিক হেলিকপ্টারের, কমপক্ষে ১৮ মৃতদেহ উদ্ধার

 

জরুরি বিভাগের কর্মীরা সুইমিংপুল আকারের সিংকহোলটি থেকে ট্রাকের অর্ধেক উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ড্রাইভারের কেবিনটি ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে।

প্রথম গর্তটি ছিল প্রায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট) চওড়া এবং ৫ মিটার গভীর। ভূগর্ভস্থ সুয়্যারেজ পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে এটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ থেকে বর্জ্য পানি বের হয়ে গর্তটি প্লাবিত হয় এবং এর পরেই বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সিংকহোলটি দেখা দেয় এবং রাস্তাটি তখন আরো ধসে পড়ে। এরপর দুটি সিংকহোল একত্রিত হয়ে ২০ মিটার চওড়া গর্তে পরিণত হয়।

ফলে উদ্ধার অভিযান আরো জটিল হয়ে পড়ে। 

বিশাল সিংকহোলে একটি গ্যাস পাইপলাইনও রয়েছে, ফলে আরো একটি গর্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশপাশের এলাকার ২০০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া শহরের আশপাশের বাসিন্দাদেরও কম পানি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাপানের শহরগুলোতে সিংহোল সাধারণ ঘটনা, কারণ পয়োনিষ্কাশন পাইপলাইন অবকাঠামো।

২০১৬ সালে ফুকুওকার একটি দৈত্যাকার সিংকহোল শহরটির একটি পাঁচ লেনের রাস্তাকে গ্রাস করেছিল। এর ফলে বিদ্যুৎ, পানি এবং পরিবহন ব্যাহত হয়েছিল। তবে কোনো গুরুতর হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ ধরনের দুর্যোগটি ‘সিংকহোল’ ছাড়াও সিনোট, সিংক, সোলেলেট, গিলে গর্ত বা ডোলিন নামে পরিচিত। আমেরিকার ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থার মতে, ভূগর্ভস্থ পানি অথবা খনিজ উত্তোলন করা হলে মাটির অভ্যন্তরে ফাঁপা জায়গা তৈরি হয়। নিচের স্তরের মাটি যখন ভূমির ওপরের চাপ নিতে পারে না তখনই ধসে পড়ে আর তৈরি হয় বিশালাকার গর্ত বা সিংকহোল।

সূত্র : বিবিসি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চরম ঝুঁকিতে : হামাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি চরম ঝুঁকিতে : হামাস
সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েল লিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি স্থগিত করায় পুরো যুদ্ধবিরতি চুক্তি চরম ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম। তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে মধ্যস্থতাকারীদের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের অবশ্যই ইসরায়েলকে চাপ দিতে হবে। খবর আলজাজিরার।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অবজ্ঞা ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নোংরা খেলায় মেতেছেন।

এদিকে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তির নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত এবং অপমানকর আচার-অনুষ্ঠান বাদ না দিলে গত শনিবারের পরিকল্পিত ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি স্থগিত করা হবে।

যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী গত শনিবার গাজা থেকে ছয় জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে ইসরায়েল সরকার মুক্তি দেবে বলে আশা করা হয়েছিল। ফিলিস্তিনি বন্দিদের গ্রহণ করতে রেড ক্রসের গাড়ি ইসরায়েলের কারাগারের সামনে এদিন অপেক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ মার্চের শুরুর দিকে শেষ হবে। পরবর্তী ধাপের বিস্তারিত শর্তাবলি নিয়ে এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি।

 

মন্তব্য

নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানে বোমাতঙ্ক, রোমে জরুরি অবতরণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানে বোমাতঙ্ক, রোমে জরুরি অবতরণ
ছবিসূত্র: এএফপি

নিউ ইয়র্ক থেকে নয়াদিল্লিগামী একটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান বোমার হুমকির কারণে ইতালিতে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার ফ্লাইট ইমার্জেন্সি সাইট এবং বিমানবন্দর সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

ফ্লাইট ইমার্জেন্সি, ফ্লাইট-ট্র্যাকিং অ্যাকাউন্ট এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছে, ‘বোমার হুমকির কারণে আমেরিকান ফ্লাইট এএ২৯২ দিল্লি যাওয়ার পথে রোমে নামবে।’

বিমানবন্দর সূত্র অনুসারে, প্রায় ২০০জন যাত্রী নিয়ে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার বিমানটি রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সূত্র আরো জানিয়েছে, বিমান সংস্থা যখন বিমানের ক্রুদের বোমার হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে, তখন বিমানটি ক্যাস্পিয়ান সাগরের ওপরে ছিল। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এবিসি নিউজ উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ই-মেলের মাধ্যমে বোমার হুমকি পেয়েছে, তবে এটি ভিত্তিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমেরিকান এয়ারলাইন্স তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া বিমানটি নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।

সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য

জার্মানিতে নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়ী সিডিইউ

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
জার্মানিতে নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়ী সিডিইউ
পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে পারেন ফ্রিডরিখ মের্জ। ছবি: এএফপি

মিলে গেল বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল। জার্মান নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সিডিইউ-র পক্ষে ২৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট। ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে এএফডি।

ভোট গণনার শেষে প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে জার্মানিতে।

সিডিইউ এবং সিএসইউ পেয়েছে ২৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলেও এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। বিপুল পরিমাণ ভোট কমেছে চ্যান্সেলর  ওলাফ শোলজের দল এসপিডির। প্রায় নয় শতাংশ ভোট কমে তারা পেয়েছে ১৬ দশমিক চার শতাংশ ভোট।
দ্বিতীয় জায়গায় আছে অতি দক্ষিণপন্থি দল এএফডি। তারা পেয়েছে ২০ দশমিক আট শতাংশ ভোট।

জোট সরকার

পরিস্থিতি যা, তাতে কোনো দলের পক্ষেই এককভাবে সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে সিডিইউ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে তারা এএফডির সঙ্গে সরকার গড়বে না।

ফলে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েও সরকারে থাকতে পারবে না অতি দক্ষিণপন্থিরা।

অন্যদিকে, দুইটি জোট তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এক সিডিইউ এসপিডিকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সরকার তৈরি করবে। অথবা তারা গ্রিন পার্টি বা সবুজ দলকেও জোটসঙ্গী করতে পারে। তবে সিডিইউ নেতা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, জোট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হবে।

এএফডি জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি দল যে 'ফায়ার ওয়াল' তৈরি করেছিল, ভোটাররা তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। পার্লামেন্টে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তারা তাদের ভূমিকা পালন করবে।

উল্লেখ্য, নিজেদের মধ্যে বিরোধ থাকলেও সংরক্ষণশীল এবং ডেমোক্র্যাট সমস্ত দলই এবারের নির্বাচনের আগে জানিয়েছিল, তারা কোনোভাবেই অতি দক্ষিণপন্থি এএফডিকে সমর্থন করবে না। যা 'ফায়ার ওয়াল' রাজনীতি হিসেবে আলোচিত হয়েছিল।

নতুন চ্যান্সেলর কে

পরিস্থিতি যা তাতে নতুন চ্যান্সেলর হতে পারেন সিডিইউ নেতা  ফ্রিডরিখ মের্জ। তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ইউরোপকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ম্যার্ৎসকে অভিনন্দনবার্তা পাঠিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ। শক্তিশালী ও সার্বভৌম ইউরোপীয় ব্লক গড়ে তোলার কথা বলেছেন ম্যার্ৎস। ম্যাখোঁ তার বার্তায় সেই বিষয়টির উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারও অভিনন্দন জানিয়েছেন ম্যার্ৎসকে। স্টারমার বলেছেন, ‘জার্মানির সঙ্গে আমাদের বরাবরই শক্তিশালী সম্পর্ক। নতুন সরকারের আমলে সেই সম্পর্ক আরো মজবুত হবে বলেই আশা করছি।’

নেতারা কেমন করলেন

সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিখ মের্জ নিজের কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৭ দশমিক সাত শতাংশ ভোট। তার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন এএফডি প্রার্থী ডার্ক ওয়াইজ। তিনি পেয়েছেন, ২১ দশমিক চার শতাংশ ভোট।

ওলাফ শোলজ ২১ দশমিক আট শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তিনি সিডিইউ প্রার্থীকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। এই কেন্দ্র থেকেই দাঁড়িয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং গ্রিন পার্টির নেত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনিও পরাজিত হয়েছেন।

গ্রিন পার্টির নেতা তথা ওয়াইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক পরাজিত হয়েছেন। তাকে হারিয়েছেন সিডিইউ প্রার্থী পেট্রা নিকোলাইজেন।

মন্তব্য

উদ্বেগের মুখে আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন জার্মানরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উদ্বেগের মুখে আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন জার্মানরা
সংগৃহীত ছবি

নিম্নমুখী অর্থনীতি ও ধারাবাহিক প্রাণঘাতী হামলার কারণে উদ্বেগের মুখে আগাম নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন জার্মানির নাগরিকরা। জোরালো প্রচারণার পর গতকাল রবিবার শুরু হওয়া এই নির্বাচনের দিকে কেবল জার্মানরাই নয়, গভীর নজর রাখছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রও। 

বিবিসির খবরে বলা হয়, নির্বাচনে চারজন প্রার্থী বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, বিরোধীদলীয় নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ, বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হাবেক ও কট্টর ডানপন্থী দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনের অন্যতম প্রধান ইস্যু হচ্ছে অভিবাসী নিয়ন্ত্রণ এবং জার্মানির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা।

জরিপে পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পার্টির (সিডিইউ) ফ্রেডরিখ মার্জ। ৬৯ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল নেতা জার্মানিকে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা থেকে শুরু করে একটি ক্রমবর্ধমান অবকাঠামো নির্মাণসহ চার বছরের মধ্যে দেশের বেশির ভাগ সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তবে সিডিইউ জিতে গেলেও সরকার গঠন করতে মার্জকে অন্তত একটি দলের সঙ্গে জোট করতে হবে। বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের সঙ্গেই জোট করতে পারেন মার্জ।

নির্বাচনের প্রাক্কালে মার্জ দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি কোনো অবস্থায়ই কট্টর ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) সঙ্গে জোট করবেন না।

জার্মানির জন্য এবারের নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। সামনে তাদের দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই, বিশ্ব মঞ্চেও বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম এ দেশের নতুন সরকারকে তাল মেলাতে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে, যিনি ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে বলছেন, স্বৈরাচার আর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান এরই মধ্য টলিয়ে দিয়েছেন।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স চ্যান্সেলর পদে এএফডির প্রার্থী এলিস ভাইডেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় জার্মান রাজনীতিকরা সম্প্রতি আরো একটি ধাক্কা খেয়েছেন। এএফডি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জার্মানিকে প্রত্যাহার, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পদক্ষেপ বাতিল, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, রুশ গ্যাস সংযোগ মেরামত ও মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আরো পড়ুন
হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহকে শেষ বিদায় জানাতে বৈরুতে জনসমুদ্র

হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহকে শেষ বিদায় জানাতে বৈরুতে জনসমুদ্র

 

জার্মান পার্লামেন্টে আসনসংখ্যা ৬৩০, এএফডি এবার দেড় শর বেশি আসন পেতে পারে বলে জনমত জরিপগুলোতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কট্টর বাম লেফট পার্টির পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ