ট্রাম্প-মোদির আলোচনায় যেসব বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে

  • দিল্লির পক্ষ থেকে আগাম সংকেত
  • দুই নেতাই ইতিবাচক সুর বজায় রাখতে চাইবেন
  • ভারত সফরের বিষয়ে সম্ভবত আগ্রহী হবেন ট্রাম্প
বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
ট্রাম্প-মোদির আলোচনায় যেসব বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে
নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি : এএফপি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি সপ্তাহে যখন ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, তখন তাদের একে অপরকে উষ্ণ আলিঙ্গন করতে দেখা যাবে, হাসি-ঠাট্টাও হবে। কিন্তু বিষয়টা এখানেই শেষ হয়ে যাবে না। তারা দুজন বছরের পর বছর ধরে একটা দৃঢ় ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এর প্রতিফলন দেখা যায় তাদের হাই প্রফাইল বৈঠকগুলোয় ও যৌথ উপস্থিতিতে।

ওয়াশিংটনে ২০১৭ সালে ট্রাম্প ও মোদির প্রথম বৈঠকের পর থেকে তাদের একাধিক সমাবেশে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। এই যৌথ উপস্থিতির হাত ধরেই তাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়েছে। এই তালিকায় হিউস্টন ও আহমেদাবাদের বিশাল সমাবেশও রয়েছে। দুই নেতার সম্পর্কের রসায়নের নেপথ্যে রয়েছে তাদের অভিন্ন বিশ্বদর্শন ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং চীনকে মোকাবেলা করার পারস্পরিক কৌশল।

দুই দেশের কাছেই চীন উদ্বেগের কারণ এবং এটা বৃহত্তর মার্কিন-ভারতীয় অংশীদারিকে শক্তিশালীও করে তুলেছে।

এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই ভারতের সমালোচনা করেছেন, কিন্তু তিনি কখনো নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেননি। আর তাই প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের সময় তারা সম্ভবত মার্কিন-ভারতীয় কৌশলগত অংশীদারির পরবর্তী পদক্ষেপগুলোকে ম্যাপ করার বিষয়ে ব্যস্ত থাকবেন। দুই দেশের এই অংশীদারি ইতিমধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, সফরকালে নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ছাড়াও শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃত্ব ও ভারতীয়-মার্কিন সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি তিনি স্পেসএক্স ও টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈদ্যুতিক যানবাহনের সেক্টরের আয়তন বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহী নরেন্দ্র মোদি। যদি ইলন মাস্ক ভারতে টেসলার একটা কারখানা স্থাপন করেন, তাহলে তিনি খুশিই হবেন।

বাণিজ্য ও শুল্ক
তবে ট্রাম্প-মোদি সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব ও কৌশলগত অংশীদারির বিষয়ে আলাপ-আলোচনাকে ঢেকে দিতে পারে এমন একটা বাস্তবতা, যেখানে দুই পক্ষই লেনদেনের বিষয়টাকে প্রকাশ্যে আনবেন।

বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি একগুচ্ছ দাবি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন। তবে নয়াদিল্লি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভালোভাবেই চেনে। কারণ নরেন্দ্র মোদির বর্তমান মন্ত্রিসভার অনেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের মেয়াদের সময়ে মোদি প্রশাসনের অংশ ছিলেন। গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই এর প্রতিফলন দেখা গেছে। দিল্লির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একাধিক সংকেত পাঠানো হয়েছে, যেমন আমদানি শুল্ক কমানো, নথিহীন ভারতীয় অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং আরো বেশি পরিমাণে মার্কিন তেল কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করা।

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের শুল্কারোপের হুমকিতে উদ্বিগ্ন ভারত?

ট্রাম্পের শুল্কারোপের হুমকিতে উদ্বিগ্ন ভারত?

 

ইতিমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ১০৪ জন নথিহীন ভারতীয়কে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব আগাম পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারতের কাছে সুনির্দিষ্ট দাবি জানানো থেকে বিরত রাখা এবং বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা কমানো।

এর পরও অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাণিজ্য ঘাটতি (ট্রেড ডেফিসিট) হ্রাস করতে মোদিকে শুল্ক আরো কমানোর কথা বলতে পারেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি চার হাজার ৬০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে একটা বাধা হলেও সুযোগও হয়ে উঠতে পারে। অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানাতে পারেন নরেন্দ্র মোদি, যার উদ্দেশ্য হবে দুই পক্ষের শুল্কই হ্রাস করা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নয়াদিল্লি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় ট্রাম্প প্রশাসন যে আলোচনায় বেশি আগ্রহী সেটাও প্রমাণিত হতে পারে। জো বাইডেনের আমলে নতুন বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে কঠোর পরিবেশগত ও শ্রম-সম্পর্কিত শর্ত আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার নরেন্দ্র মোদিকে আরো নথিহীন ভারতীয়কে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলতে পারেন। কিছু তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, ভারতীয়রা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নথিপত্রহীন অভিবাসী গোষ্ঠীর তালিকায় তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী এবং এই সংখ্যাটা সাত লাখ ২৫ হাজারের কাছাকাছি। কাজেই এই বিষয়টা নয়াদিল্লির পক্ষে একটা কঠিন ও স্পর্শকাতর ইস্যু হবে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, দেশে ফেরত পাঠানো অবৈধ অধিবাসীদের সঙ্গে যাতে দুর্ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো ভারতীয় নাগরিকদের হাতকড়া ও পায়ে বেড়ি পরানোর ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।

আরো পড়ুন
ভারত-পাকিস্তানের বিরোধ বদলে দিচ্ছে দ. এশিয়ার কূটনৈতিক অবস্থান

ভারত-পাকিস্তানের বিরোধ বদলে দিচ্ছে দ. এশিয়ার কূটনৈতিক অবস্থান

 

জ্বালানি
অন্যদিকে ভারতকে আরো বেশি পরিমাণে মার্কিন তেল কেনার কথাও বলতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ২০২১ সালে মার্কিন তেল রপ্তানির জন্য ভারতই ছিল শীর্ষ গন্তব্যস্থল। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ বিশ্বস্তরে তেলের বাজারে একটা বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং নয়াদিল্লিকে তার ঘনিষ্ঠ অংশীদার রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্ররোচিত করে। তবে ‘প্রাইস পয়েন্ট’ নির্ধারণ করবে, ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কিনতে কতটা ইচ্ছুক।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদি যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতীয় পরমাণু শক্তিতে বিনিয়োগ করার কথা বলতে পারেন। জ্বালানির প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহের কথা মাথায় রেখে নয়াদিল্লি পারমাণবিক দায় সংক্রান্ত আইন সংশোধন করছে এবং নতুন পারমাণবিক শক্তি মিশনও ঘোষণা করেছে। ভারতের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে দেশের অর্ধেক শক্তির চাহিদা পূরণ করা। সে কথা মাথায় রেখে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পারমাণবিক জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে বলার বিষয়টা একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন সৌর ও বায়ু শক্তিতে বিনিয়োগকে তেমন আকর্ষণীয় বলে না-ও মনে করতে পারে।

প্রযুক্তি ও ভিসানীতি

দুজনের মধ্যে প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। জো বাইডেনের আমলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিক থেকে প্রযুক্তি একটা দ্রুতবর্ধনশীল ক্ষেত্র ছিল। ২০২২ সালে ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি) বাস্তবায়ন করা হয়। আইসিইটিকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র—দুই পক্ষই কৌশলগত অংশীদারির দিক থেকে একটা নতুন ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করেছে। আমলাতন্ত্রের ফাঁদে আটকে যাওয়ার মতো বিষয় এড়াতে সরাসরি দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে গঠিত এই ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিস। অর্থাৎ দুই দেশকেই ব্যক্তিগতভাবে এতে নিয়োজিত থাকতে হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের কাছ থেকে নরেন্দ্র মোদি হয়তো আশ্বাস চাইতে পারেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে। চীনকে মোকাবেলা করতে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন ভারতকে বিশ্বস্তরে প্রযুক্তি সরবরাহের দিক থেকে প্রথম সারিতে রাখবে—এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।

এ ছাড়া প্রযুক্তি সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরো একটা বিষয় আলোচনায় থাকতে পারে এবং সেটা হলো এইচওয়ান-বি ভিসা। নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। অত্যন্ত দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার ক্ষেত্রে এই ভিসার প্রয়োজন। বিপুলসংখ্যক ভারতীয় প্রযুক্তি কর্মীদের এইচওয়ান-বি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রভাবশালী সমর্থকদের মধ্যে কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তৃতীয় দেশ
ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথোপকথনের সময় অন্যান্য দেশের প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ইরান। এই দেশ আলোচনার একটা বড় বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারে। চাবাহার শহরে বন্দর নির্মাণ করতে তেহরানের সঙ্গে অংশীদারি  করছে দিল্লি। ইরান ও আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ভারতীয় কৌশলের অংশ হলো এই পরিকল্পনা। কিন্তু গত সপ্তাহে মার্কিন প্রশাসন তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করার বিষয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম জারি করেছে। এই সিদ্ধান্ত দিল্লির জন্য কী বার্তা বয়ে আনতে পারে সেই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর স্পষ্টতা চাইতে পারেন নরেন্দ্র মোদি।

আরো পড়ুন
যে শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইরান

যে শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত ইরান

 

আলোচনার সময় ইউক্রেন ও গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর মতো বৃহৎ পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির অবস্থান আঁচ করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার ব্যাপারে নয়াদিল্লির প্রবল আগ্রহ রয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের বিষয়ে মোদির অবস্থান স্পষ্ট। তিনি ভ্লাদিমির পুতিন বা রাশিয়ার সমালোচনা না করে সংঘাত অবসানের আহ্বান জানিয়ে এসেছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক ও ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই নরেন্দ্র মোদি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চান কিনা সেই বিষয়েও আঁচ করতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নরেন্দ্র মোদি সম্ভবত এই ভূমিকা পালন করতে তখনই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, যদি সব পক্ষই এভাবে মধ্যস্থতা করতে সম্মত হয়।

কোয়াড
তবে চলতি সপ্তাহে বেশ কিছু ‘সূক্ষ্ম’ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও দুই নেতাই একটা ইতিবাচক সুর বজায় রাখতে চাইবেন। সেদিক থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াডের প্রসঙ্গ সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত এই গোষ্ঠীকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন এবং বেইজিংকে মোকাবেলা করার বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে কোয়াডের বার্ষিক বৈঠককে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করেন এবং জো বাইডেন তা সর্বোচ্চস্তরে নিয়ে যান। চলতি বছরের কোয়াড বৈঠক আয়োজন করার কথা ভারতের। এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন নরেন্দ্র মোদি।

আন্তর্জাতিক সফরের খুব একটা বড় ভক্ত নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ভারত সফরের বিষয়ে সম্ভবত তিনি আগ্রহী হবেন। এর নেপথ্যে থাকা কারণগুলোর মধ্যে একটা হলো মোদির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আরো গভীর করা। আর অন্য কারণ হলো চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনে বৈঠকে লেনদেনভিত্তিক আলাপ-আলোচনার বাইরেও ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যে বহুমুখী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারি রয়েছে, তাকে সম্প্রসারিত করা।

(বিবিসিতে বিশ্লেষণটি লিখেছেন পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি ওয়াশিংটনে অবস্থিত উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক।)

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই, বন্ধ হওয়ার পথে ভয়েস অব আমেরিকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই, বন্ধ হওয়ার পথে ভয়েস অব আমেরিকা
সংগৃহীত ছবি

ভয়েস অব আমেরিকার ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি কর্মীকে শনিবার থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বন্ধ হওয়ার পথে মার্কিন অর্থায়নে চলা প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আরো দুটি সংবাদমাধ্যমের তহবিলও বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার সরকারি তহবিলে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার মূল প্রতিষ্ঠান এবং আরো ছয়টি ফেডারেল সংস্থাকে কর্মী হ্রাস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, ইমইেলের মাধ্যমে ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও ফ্রি এশিয়া এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের শত শত সাংবাদিকদের বরখাস্তের খবর জানানো হয়েছে। ওই ইমেইলে অফিসে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া তাদের আইডি কার্ড, হাউসের দেওয়া মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

ক্ষমতায় এসে মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা এবং শিক্ষা বিভাগের কয়েক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করার পর গণমাধ্যম কর্মীদের ছাঁটাই করলেন ট্রাম্প। শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়াকে (ইউএসএজিএম) অপ্রয়োজনীয় ফেডারেল আমলাতন্ত্রের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন তিনি। যার ফলে কয়েক দশক ধরে চলা গণমাধ্যমগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার হুমকিতে পড়েছে। 

ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিচস বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার ৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক ও সহযোগীদের প্রায় সবাইকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

এর মাধ্যমে প্রায় ৫০টি ভাষায় পরিচালিত এই সম্প্রচারমাধ্যমকে প্রায় পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে এক পোস্টে আব্রামোভিচ লেখেন, ‘৮৩ বছরের মধ্যে প্রথমবার বহু ভাষাভাষীর ভয়েস অব আমেরিকা নীরব হয়ে যাচ্ছে, এ জন্য আমি গভীরভাবে ব্যথিত। বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াইয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছিল।’

নাৎসি প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে ১৯৪২ সালে ভয়েস অব আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখনো এক সপ্তাহে ভয়েস অব আমেরিকার গ্রাহক বিশ্বের ৩৬ কোটি মানুষ।

একটি গ্রুপ হিসেবে ইউএসএজিএমের কর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। কংগ্রেসের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে তাদের বাজেট বরাদ্দ ছিল ৮৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার।

আরো পড়ুন
শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ

 

ভয়েস অব আমেরিকার সাবেক উপস্থাপক ক্যারি লেককে প্রতিষ্ঠানটির নতুন পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি ট্রাম্পের অনুগত হিসেবে পরিচিত।

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি, এই কাটছাঁট নিশ্চিত করবে যে করদাতারা আর উগ্রবাদী প্রচারণার শিকার হবেন না।

মন্তব্য

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩১

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩১
ছবি : এএফপি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নারী, শিশুসহ ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া হামলায় অন্তত ১০১ জন আহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গতকাল শনিবার থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী। খবর রয়টার্সের।

রবিবার হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি বলেন, মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০১ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। 

হুথিদের রাজনৈতিক ব্যুরো এই হামলাগুলোকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মার্কিন এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর হুতিদের ওপর চালানো যুক্তরাষ্ট্রের এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।

এমন একসময়ে এই হামলা শুরু হলো, যখন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো তাহলে তোমাদের ওপর নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে। যা আগে কখনো দেখোনি।

লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে ‘ভয়ংকর পরিণতি’ ঘটতে পারে।

ইরান সমর্থিত হুথিরা ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি

 

এর জবাবে ইয়েমেনে ‘চূড়ান্ত ও শক্তিশালী’ হামলা শুরু করেছে মার্কিন বাহিনী।

গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর মধ্যপ্রাচ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে চলমান এই হামলাই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
 

মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। 

মিসৌরি ছাড়াও কানসাসে আটজন, আরকানসাসে তিনজন, মিসিসিপিতে ছয়জন, টেক্সাসে তিনজন এবং ওকলাহোমায় একজনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানে।

 মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। 

গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অ্যামারিলো এলাকায় ধূলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে।

একই সঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।

এদিকে দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য

পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করতে হবে : স্টারমার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করতে হবে : স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দুর্বল করে তাকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করতে হবে। এজন্য নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।

স্টারমার বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আগে বা পরে আলোচনার টেবিলে আসতেই হবে। ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি রক্ষায় ইচ্ছুক জোটের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য গতকাল শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ বিভিন্ন দেশের ২৬ জন নেতা এতে অংশ নেন।

স্টারমার বলেন, ইউক্রেনকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি কিভাবে রক্ষা করা যায় এবং মস্কোর ওপর কিভাবে চাপ অব্যাহত রাখা যায়, সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে ইউক্রেন দেখিয়েছে, তারা শান্তির পক্ষে। অন্যদিকে পুতিন তা বিলম্বের চেষ্টা করছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুতিন যদি শান্তির বিষয়ে আন্তরিক হয়ে থাকেন, তাহলে আমি মনে করি এটি খুবই সহজ—তাঁকে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে এবং যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে।’

বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কিয়ার স্টারমার বলেন, বিশ্ববাসী পদক্ষেপ দেখতে চায়—খালি কথা ও শর্ত নয়।

রাশিয়া সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে যুক্তরাজ্যের মানুষের ক্ষতি হয়েছে, জীবনযাত্রা ও জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে।
‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপানসহ অন্য দেশগুলোকে একত্র করেছে কোয়ালিশন অব উইলিং।

তিনি বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থনকারীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। শান্তিচুক্তির দিকে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় ব্যাবহারিক কাজে গতি বাড়ানোর সময় এসেছে। কার্যকরী পর্যায়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতির সমর্থনে বৈঠক করবে। আমরা যে ফলাফল দেখতে চাই সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। আমরা হত্যাযজ্ঞের অবসান, ইউক্রেনের জন্য ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি এবং সবার জন্য স্থায়ী নিরাপত্তা চাই।

কোয়ালিশন অব উইলিং জোট বিস্তৃত হচ্ছে জানিয়ে স্টারমার বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় এবার আমাদের দল অনেক বড়।

আমাদের একটি শক্তিশালী সম্মিলিত সংকল্প রয়েছে। আজকের আলোচনার টেবিলে নতুন প্রতিশ্রুতি উত্থাপিত হয়েছে। কার্যকর পর্যায়ে ধাবিত হওয়ার বিষয়ে আমরা সম্মত হয়েছি। আমরা রাজনৈতিক ও সামরিক গতি সংগ্রহ করছি। রাশিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এখনই সময়।’

ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে স্টারমার বলেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি রক্ষায় ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে আলোচনায় বসবেন সামরিক প্রধানরা।

আরো পড়ুন
কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারে রাশিয়া

কুরস্ক নিয়ন্ত্রণের দ্বারে রাশিয়া

 

রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি জটিল প্রশ্ন। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জব্দ করা সম্পদের বিষয়ে আলোচনা চলবে।’

এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি গতকাল বলেছেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে না তার দেশ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ