এক সপ্তাহে যেভাবে বিশ্বরাজনীতি বদলে দিলেন ট্রাম্প-পুতিন

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
এক সপ্তাহে যেভাবে বিশ্বরাজনীতি বদলে দিলেন ট্রাম্প-পুতিন
১৮ ফেব্রুয়ারি রিয়াদে দিরিয়াহ প্রাসাদে এক বৈঠকে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মোসাদ বিন মোহাম্মদ আল-আইবান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ছবি : এএফপি

১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মার্কিন সাংবাদিক জন রিড যখন তার বই লেখেন, তিনি এর নাম দেন ‘টেন ডেইজ দ্যাট শুক দ্য ওয়ার্ল্ড’ (বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া ১০ দিন)। কিন্তু এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য ১০ দিন অনেক বেশি। তারা মাত্র এক সপ্তাহেই বিশ্বরাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছেন।

সব কিছু শুরু হয় ১২ ফেব্রুয়ারি, যখন ট্রাম্প ও পুতিন ফোনালাপে সম্পর্ক নতুনভাবে শুরুর প্রতিশ্রুতি দেন।

এরপর মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তির ইঙ্গিত দেখা যায়। এরপর সৌদি আরবে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, যা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর এই দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা।

এই এক সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্বরাজনীতির চিরায়ত মেরুকরণ নাড়িয়ে দিয়েছে। ইউরোপ ও ইউক্রেন নিজেদের অবস্থান পুনর্বিবেচনায় ব্যস্ত, ইউরোপীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, আর রাশিয়া ঠিক যেখানে থাকতে চেয়েছিল—সরাসরি কোনো ছাড় না দিয়েই বিশ্বকূটনীতির শীর্ষ টেবিলে জায়গা করে নিয়েছে।

আরো পড়ুন
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে?

ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপের দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে?

 

রুশ গণমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া
এদিকে বুধবার সকালে রাশিয়ার সংবাদপত্রগুলোর শিরোনাম দখল করেছে এক ছবি—রিয়াদে রুশ ও মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের আলোচনার টেবিলে বসা দৃশ্য।

ক্রেমলিন চায় বিশ্ববাসী ও নিজ দেশের জনগণ দেখুক, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার যে চেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে।

রুশ গণমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানাচ্ছে এবং ইউরোপ ও কিয়েভের প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছে। ক্রেমলিনপন্থী পত্রিকা মস্কোভস্কি কমসোমোলেতস লিখেছে, ‘ট্রাম্প জানেন, তাকে রাশিয়াকে কিছু ছাড় দিতে হবে।

কারণ ইউক্রেনে এখন বিজয়ী পক্ষ রাশিয়া। তিনি ছাড় দেবেন—কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে নয়, বরং ইউরোপ ও ইউক্রেনের স্বার্থে।’

আরেকটি লেখা বলছে, “ইউরোপ এত েদিন নিজেকে সভ্য জগতের ‘স্বর্গ’ বলে ভাবছিল। তারা খেয়ালই করেনি, নিজেদের ‘প্যান্ট’ হারিয়ে ফেলেছে…আর এখন তাদের সেই পুরনো বন্ধু (যুক্তরাষ্ট্র) তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে…’

রাশিয়ার জনগণের প্রতিক্রিয়া
তবে মস্কোর রাস্তায় এতটা উল্লাস দেখা যাচ্ছে না। বরং সাধারণ মানুষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে—ট্রাম্প সত্যিই রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হবেন কি না এবং তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন কি না।

নাদেঝদা বলেন, ‘ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, তিনি শুধু টাকার চিন্তা করেন। আমি মনে করি না, এতে কোনো পরিবর্তন আসবে। কারণ পরিস্থিতি বদলানোর জন্য অনেক কিছু করতে হবে।’ গিওর্গি বলেন, ‘হয়তো সৌদি আরবের এই বৈঠক কিছু কাজে আসবে। শত্রুতা বন্ধ করার সময় হয়েছে।’ ইরিনা সন্দিহান ভাবছেন, ‘ট্রাম্প খুব সক্রিয়, খুব চঞ্চল। কিন্তু তিনি আদৌ কিছু করবেন কি?’

আরেকজন বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখি, এই আলোচনার মাধ্যমে শান্তি আসবে। এটি প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। আমাদের অর্থনীতির জন্যও এটা ভালো হবে। এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে—এর পেছনে বিশেষ সামরিক অভিযান (ইউক্রেন যুদ্ধ) ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি দায়ী।’

ট্রাম্প-পুতিন : বিশ্ব ভাগাভাগির খেলা?
ট্রাম্প ও পুতিন ইতিমধ্যে ফোনে কথা বলেছেন, তাদের প্রতিনিধিদল রিয়াদে বৈঠক করেছে, আর এখন প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে।

কয়েক দিন আগে মস্কোভস্কি কমসোমোলেতস মজা করে এক কাল্পনিক ফোনালাপ লিখেছিল :
ট্রাম্প পুতিনকে ফোন করলেন।
‘ভ্লাদিমির! তোমার দেশ দারুণ, আমার দেশও দারুণ। তাহলে চলো, বিশ্বটাকে ভাগ করে ফেলি?’
‘আমি তো আগেই বলছিলাম! চলো, করে ফেলি!...’
কল্পনা? নাকি বাস্তবের ইঙ্গিত? সময়ই বলে দেবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নিউজিল্যান্ডে ৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিউজিল্যান্ডে ৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
প্রতিকী ছবি : এএফপি

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নিউজিল্যান্ডে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের জেরে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) প্রথমে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.০ নির্ধারণ করলেও পরে তা ৬.৭-এ হ্রাস করে এবং গভীরতা প্রায় ১০ কিলোমিটার বলে জানায়।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, মূল ভূখণ্ড, দ্বীপপুঞ্জ বা অঞ্চলগুলোর জন্য কোনও সুনামি হুমকি নেই। এনইএমএ জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

আরো পড়ুন
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তুরস্কে ১০ সাংবাদিক আটক

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে তুরস্কে ১০ সাংবাদিক আটক

 


 
জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সাউথল্যান্ড এবং ফিউরল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের উপকূল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের পানির গতিবেগে পরিবর্তন আসতে পারে।

 

সরকারিভাবে ভূমিকম্প পরিমাপ কেন্দ্র জিওনেট জানিয়েছে, ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ ভূমিকম্প অনুভব করেছে। নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে ফলে সৃষ্ট ঝাঁকুনিতে অনেক মালামাল পড়ে গেছে এবং ভবনগুলো দুলছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কাঁপুনির ফলে বিভিন্ন স্থানে জিনিসপত্র পড়ে গেছে এবং ভবনগুলো দুলতে দেখা গেছে। জিওনেটের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি ৩৩ কিলোমিটার গভীরতায় স্নেয়ার্স দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে সংঘটিত হয়।

মন্তব্য

ইস্তাম্বুলের মেয়রকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা তুরস্কের বিরোধীদের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইস্তাম্বুলের মেয়রকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা তুরস্কের বিরোধীদের
ছবি : এএফপি

গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও তুরস্কের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি। ২০২৮ সালে ওই নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

গ্রেপ্তার দেখানোর কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে ইমামোলুকে। তবে রবিবার তাকে দুর্নীতির মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এদিকে, সোমবার বিকাল থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ষষ্ঠ দিনের মতো ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রে জড়ো হয়েছেন। রবিবার এখানেই বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। রাজধানী আঙ্কারাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য ঠিকভাবে উপস্থাপন না করায় গণমাধ্যমকে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে বিরোধীরা।

বিক্ষোভকারীদের ‘শয়তান’ বলে বর্ণনা করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তারা ‘সহিংসতার আন্দোলন’ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

গত কয়েকদিনের আন্দোলনে তুরস্কের এগারোশোর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মন্তব্য

ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভেনিজুয়েলার তেল-গ্যাস কিনলেই শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, যেকোনো দেশ ভেনিজুয়েলার কাছ থেকে তেল বা গ্যাস কিনলে, তাদের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি ভেনিজুয়েলীয়দের বিরুদ্ধে নির্বাসন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর শুল্ক আরোপ করছেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী—উভয়ের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং আর্থিকব্যবস্থা ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ট্রাম্প এদিন তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের লালিত স্বাধীনতার প্রতি ভেনিজুয়েলা অত্যন্ত শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করেছে।

তাই কোনো দেশ যদি ভেনিজুয়েলা থেকে তেল ও/অথবা গ্যাস ক্রয় করে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের করা যেকোনো বাণিজ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে বাধ্য হবে।’

এর আগে গত মাসে ট্রাম্প দাবি করেন, কারাকাস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, যেখানে দ্রুত ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের গ্রহণ করার কথা ছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনিজুয়েলায় নির্বাসিতদের পাঠানোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং ভেনিজুয়েলাও জানায়, তারা আর এসব ফ্লাইট গ্রহণ করবে না।

তবে কারাকাস শনিবার ঘোষণা দেয়, তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি নতুন চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২০০ ভেনিজুয়েলীয় নাগরিককে নির্বাসিত করেছে, যারা হন্ডুরাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে গেছেন।

এই চুক্তি হয় তখন, যখন ১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র দুই শতাধিক ভেনিজুয়েলীয়কে এল সালভাদরের একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগার ও শ্রম শিবিরে পাঠায়। ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছিল, তারা সবাই কুখ্যাত অপরাধী গোষ্ঠী ট্রেন ডি আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্য। ট্রাম্প তখন কথিত গ্যাং সদস্যদের বিতাড়িত করতে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপ করছে ‘বিভিন্ন কারণের জন্য, যার মধ্যে একটি হলো ভেনিজুয়েলা কৌশলে ও প্রতারণার মাধ্যমে হাজার হাজার উচ্চ পর্যায়ের অপরাধী ও অন্যান্য অপরাধীদের গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে।

তিনি আরো জানান, সব নথিপত্র স্বাক্ষরিত ও নিবন্ধিত হবে এবং এই শুল্ক আগামী ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্তি দিবসে’ কার্যকর হবে। ট্রাম্প এই দিনটিকে বিশেষ উপাধি দিয়ে উল্লেখ করেন। কারণ তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সেদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ওয়াশিংটনের মতে, অন্যায্য বাণিজ্য চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া। এরই মধ্যে তিনি চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক ফেন্টানিল প্রবাহ বন্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে এবং বাণিজ্য ভারসাম্যের অসঙ্গতির যুক্তি দেখিয়ে।

এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জ্বালানি কম্পানি শেভরনকে ভেনিজুয়েলায় তাদের কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়, যা দেশটির অর্থনৈতিকভাবে চাপে থাকা কর্তৃপক্ষের জন্য বড় আঘাত।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক : স্টেটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক : স্টেটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি : এএফপি

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি এ আর মাসুদি ও অজয়কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে আট সপ্তাহ সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

তবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে ওই দিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।

প্রতিবেদন অনুসারে, রাহুলের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে প্রথম অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ২০১৯ সাল থেকে রাহুলের এই নাগরিকত্ব বিতর্ক চলে আসছে।

ওই সময়ে সুব্রহ্মণ্যম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান রাহুলের বিরুদ্ধে। তার দাবি, ব্রিটেনের প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া কিছু নথিপত্রে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। পরে এই নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিঘ্নেশ শিশির নামের এক বিজেপিকর্মী।

আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট লাইভ ল অনুসারে, হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাহুলের নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে।

এই বিষয়ে অবস্থান জানানোর জন্য আদালতের কাছে আরো দুই মাস সময় চান ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল সূর্যভান পাণ্ডে। তবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত।

আনন্দবাজার বলছে, এর আগে নাগরিকত্ব বিতর্কে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার আবেদন জানিয়েও জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যমও দিল্লির একটি আদালতের কাছে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের আরজি জানিয়েছিলেন।

তার দাবি ছিল, ব্রিটেনের এক সরকারি কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুলই নিজেকে ‘ব্রিটিশ নাগরিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন একটি নথিতে। ভারতের আইন দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি দেয় না। সে কথা উল্লেখ করে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ