সিরিয়ায় আসাদ অনুগতদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ৪৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সিরিয়ায় আসাদ অনুগতদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ৪৮
ছবিসূত্র : এএফপি

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে দেশটির বর্তমান প্রশাসনের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত বিমানঘাঁটির কাছে লাতাকিয়া প্রদেশে সংঘর্ষে তারা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

দামেস্কের নতুন সরকারের প্রতি অনুগত সিরিয়ার বাহিনী দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি উপকূলীয় এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের অবশিষ্টাংশের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।

ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ইসলামপন্থী সরকারের সঙ্গে যুক্ত বাহিনীর ওপর এটি সবচেয়ে সহিংস হামলা। আলাউইত সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র এবং আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ‘বিশাল সামরিক শক্তি জাবলেহ শহরের দিকে যাচ্ছে। নিহতদের সংখ্যা বিবিসি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পরেনি। 

আরো পড়ুন
নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায় ৬০ শতাংশ ইসরায়েলি

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চায় ৬০ শতাংশ ইসরায়েলি

 

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সিরিয়াভিত্তিক স্টেপ সংবাদ সংস্থা প্রতিবেদন করছে, সরকার সমর্থিত বাহিনী প্রায় ৭০ সাবেক শাসকযোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং আরো ২৫ জনেরও বেশি জাবলেহ ও তার আশপাশ থেকে আটক করা হয়েছে। পৃথকভাবে এএফপি সংবাদ সংস্থা একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মোট ৪৮ জন নিহত হয়েছে।

যার মধ্যে ১৬ জন সরকারি নিরাপত্তাকর্মী, ২৮ জন আসাদপন্থী যোদ্ধা এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।

হোমস এবং আলেপ্পো শহরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাচাই না করা ভিডিওগুলোতে হোমসের আবাসিক রাস্তায় প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে লাতাকিয়ায় যুদ্ধরত আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন।

তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আবার কেউ কেউ মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কথা স্পষ্ট, অস্ত্র জমা দাও, নতুবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হও।’

অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার জন্য এই অঞ্চলটি একটি বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলাউইট কর্মীরা বলেছেন, আসাদের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় সহিংসতা এবং আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ হোমস এবং লাতাকিয়ায়।

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ভরসায় না থেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে ইইউ

যুক্তরাষ্ট্রের ভরসায় না থেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে ইইউ

 

দক্ষিণেও প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছেন, যেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ড্রুজ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে বলেছিলেন, নতুন সরকার আসাদের অধীনে উৎপাদিত অবশিষ্ট যেকোনো মজুদ ধ্বংস করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আসাদের সরকার ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের সময় কখনো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেছে, তবে কর্মীরা কয়েক ডজন রাসায়নিক হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিএলএ কারা, কেন পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে

বিবিসি
বিবিসি
শেয়ার
বিএলএ কারা, কেন পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে
পাকিস্তানের কোয়েটার উপকণ্ঠে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর হামলার পর আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা চেকপয়েন্টে গাড়ি তল্লাশি করছেন। ফাইল ছবি : এএফপি

বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলায় নিহতের সংখ্যা সরকারিভাবে এখনো প্রকাশ না করা হলেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানের সময় ৩৩ জন হামলাকারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে। কোয়েটা যাওয়ার পথে বোলান উপত্যকার কাছে চার শতাধিক যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) এটিই সব চাইতে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

বিএলএর গোষ্ঠীর দাবি, তাদের পক্ষ থেকে ওই ট্রেনের যাত্রী বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

জিম্মি ছিলেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কর্মকর্তাদের পরিবর্তে বেলুচিস্তানের যেসব রাজনৈতিক বন্দি রয়েছে, তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছিল বিএলএ। ট্রেনে যাত্রীদের জিম্মির ঘটনার দুই দিন পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করার দাবি জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে এর আগেও হামলা চালিয়েছে বিএলএ।

জাফর এক্সপ্রেসের ওপর তাদের এই হামলা দুই দিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরের শিরোনামে ছিল। এখন প্রশ্ন হলো বিএলএ কারা এবং কেনই বা তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সক্রিয়?

বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকের গোড়ার দিক থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। সেই সময় পাকিস্তানে জুলফিকার আলি ভুট্টোর সরকার ক্ষমতায় ছিল। এরপর যখন সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া-উল-হক ওই দেশে ক্ষমতায় আসেন, তখন বেলুচিস্তানের জাতীয়তাবাদী নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা শুরু হয় এবং সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসানের পর বিএলএর সদস্যরা মূলত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

কিন্তু ২০০০ সালে তারা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই সময় পারভেজ মুশারফ পাকিস্তানে ক্ষমতায় ছিলেন। সেই বছর বেলুচিস্তান হাইকোর্টের বিচারক নওয়াজ মাররিকে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় খায়ের বকশ মাররি নামের এক রাজনীতিবিদ ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই সময় থেকেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সরকারি সংস্থার উপর আক্রমণের ঘটনা বাড়তে থাকে।

এই জাতীয় অনেকগুলো ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল বিএলএ।

বিএলএর নেতা
পাকিস্তানে ২০০৬ সালে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। সেই সময় খায়ের বখশ মাররির ছেলে বালাচ মাররিকে এই গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এরপর হঠাৎ ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে বালাচ মাররির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। পরে বিএলএর পক্ষ থেকে খবরটি নিশ্চিত করে জানানো হয়, ডুরান্ড লাইনের কাছে সংঘর্ষের সময় তাদের এই নেতার মৃত্যু হয়েছে।

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সেই সময় থেকে দাবি জানিয়ে আসছে, বালাচ মাররির ভাই হারবিয়ার মাররিই এখন তার উত্তরসূরি। ব্রিটেনে বসবাস করেন হারবিয়ার মাররি। তবে তিনি পাকিস্তানের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তিনি জোরালোভাবে দাবি করেছেন, পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী তিনি কোনোরকম ‘সন্ত্রাসমূলক’ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নন।

এদিকে আসলাম বালোচের নামও বিএলএর প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যান। সেই সময় বিএলএর অন্যান্য সদস্যর সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। আবার কয়েকটি প্রতিবেদন বলছে, তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবার সক্রিয় হন। ডুরান্ড লাইনের আশপাশের অঞ্চলে তিনি সক্রিয় ছিলেন বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে।

বিভিন্ন সময় বিএলএর আক্রমণ
মাজিদ ব্রিগেডের নাম সেই বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার স্মরণে রাখা হয়, যিনি বিংশ শতাব্দীর সত্তরের দশকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলেন। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বেলুচ রাজি অজয় সাঙ্গার (বিআরএএস) নামের বিচ্ছিন্নতাবাদী জোটে যোগ দিয়েছিল।

এই জোটে বেলুচ লিবারেশন ফ্রন্ট ও বেলুচিস্তান রিপাবলিকান গার্ডও সামিল রয়েছে, যারা সশস্ত্র অভিযান চালায়। এই জোট পাকিস্তানে বহু হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকেও বহুবার নিশানা করেছে বিআরএএস। এই জোট প্রথমবার আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে ২০১৮ সালে। ওই বছর অগস্ট মাসে পাকিস্তানের চাঘি জেলায় সংগঠিত আত্মঘাতী হামলা চালায় তারা। এই হামলাকে বাস্তবায়িত করেছিলেন আসলাম বালোচের ছেলে। সেই ঘটনায় একটি যাত্রীবাহী বাসকে নিশানা করা হয়েছিল। ওই বাসের যাত্রী ছিলেন চীনের কর্মী ও প্রকৌশলীরা।

ওই বছরই আরো একটি অভিযান চালানো হয় এই জোটের পক্ষ থেকে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেটে চালানো হামলার দায় স্বীকার করে বিআরএএস। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে বেলুচিস্তানের গোয়াদরের পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলার দায়ও স্বীকার করেছিল এই জোট।

এরপর ২০২২ সালে শারি বেলুচ নামের এই গোষ্ঠীর এক নারী সদস্য করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চীনা অধ্যাপকের ওপর হামলা চালান। পরের বছর (২০২৩ সালে) সামিয়া কালান্দারানি নামের ওই গোষ্ঠীর আরেক নারী সদস্য তুরবত এলাকায় পাকিস্তান ফ্রন্টিয়ার কর্পসের (এফসি) একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালান। ২০২৪ সালে বেলার একটি এফসি সেন্টারে আত্মঘাতী হামলা চালান মাহুল বালোচ নামের আরেকজন নারী।

এইবার চলতি বছরে বেলুচিস্তানের বোলান প্রদেশে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা এবং ওই ট্রেনটিকে হাইজ্যাক করার দায়ও স্বীকার করেছে বিএলএ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে বিএলএ যে কয়টি হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে এটিকে অন্যতম বড় হামলা বলে মনে করা হয়।

মন্তব্য

ট্রাম্পকে ঘৃণার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাম্পকে ঘৃণার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও (বাঁয়ে) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুল ডোনে)। ছবিসূত্র: এভলিন হকস্টাইন / পুল / এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পকে ‘ঘৃণা’ করার অভিযোগ এনে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রাসুলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অত্যন্ত বিরল পদক্ষেপ।

 সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে আমাদের মহান দেশে আর স্বাগত জানানো হবে না।

হোয়াইট হাউস এক্স অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডেল থেকে ট্রাম্পের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইব্রাহিম রাসুল একজন বর্ণবাদী রাজনীতিবিদ, যিনি আমেরিকাকে ঘৃণা করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ঘৃণা করেন।' 

তিনি আরো বলেন, ‘তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করার কিছু নেই, তাই তাকে পারসোনা নন গ্রাটা (অবাঞ্চিত বা অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি) হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ 

আরো পড়ুন
অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান

অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান

 

ওয়াশিংটন ও প্রিটোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় সর্বশেষ সংযোজন এই পদক্ষেপ। গত ফেব্রুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দেন।

দেশটির একটি আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের কাছ থেকে জমি দখল করার অনুমতি রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার শ্বেতাঙ্গদের জমি ‘বাজেয়াপ্ত’ করছে বলে অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে গত সপ্তাহে ট্রাম্প উত্তেজনাকে আরো উস্কে দেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষকদের যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপনের জন্য স্বাগত জানান।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যেকোন কৃষক (পরিবারসহ) নিরাপত্তার কারণে সেই দেশ থেকে পালাতে চাইলে, দ্রুত নাগরিকত্বের প্রদানের সুযোগ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী ধনকুবের ইলন মাস্ক, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সরকারকে ‘প্রকাশ্যে বর্ণবাদী মালিকানা আইন’ প্রয়োগের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় জমির মালিকানা একটি বিতর্কিত বিষয়। বর্ণবাদের অবসানের তিন দশক পরেও বেশিরভাগ কৃষিজমি এখনো শ্বেতাঙ্গদের মালিকানাধীন এবং দেশটির সরকার সংস্কার বাস্তবায়নে চাপের মধ্যে রয়েছে।

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায়  জি-২০ এর একটি অনুষ্ঠানে রামাফোসা বলেছিলেন, জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তার সঙ্গে ‘চমৎকার’ কথা হয়েছে। কিন্তু পরে সম্পর্ক ‘কিছুটা খারাপ হয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে’ তার।

আরো পড়ুন
পাকিস্তানের অভিযোগের জবাব দিল আফগানিস্তান ও ভারত

পাকিস্তানের অভিযোগের জবাব দিল আফগানিস্তান ও ভারত

 

মার্কো রুবিও তার এক্স পোস্টে রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্টের একটি প্রতিবেদন লিংক করেছেন। এতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈদেশিক নীতি সম্পর্কিত একটি সেমিনারে রাসুলের মন্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

ব্রেইটবার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসুল সেমিনারে বলেছেন, শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ বিশ্বের ‘বর্তমান আধিপত্য ব্যবস্থার’ জন্য ট্রাম্পের ‘অসম্মান’কে অনুপ্রাণিত করছে। ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আন্দোলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাগত বৈচিত্র্যের প্রতি একটি শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী প্রতিক্রিয়া।’

যৌবনে বর্ণবাদ বিরোধী প্রচারক রাসুল গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলি সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে নিউজসাইট জেটিওর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘বর্ণবাদী শাসনামলে দক্ষিণ আফ্রিকানরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড হিসেবে কাজ করেছে।’

সূত্র: এএফপি
 

মন্তব্য

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে : ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে : ট্রাম্প
সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভালো এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে এই কথা জানান। খবর বিবিসির।

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ট্রাম্প লেখেন, ‘এই ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মস্কোতে ভ্লাদিমির পুতিন ও বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে বৈঠকের পর ক্রেমলিন বলেছে, তারা শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলাপ করেছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারাও যুক্তরাষ্ট্রের মতো আশাবাদী, তবে 'সতর্কভাবে'। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে ওই মন্তব্য এলো।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন যে, ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনাকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে খেলতে দেওয়া যাবে না।

আরো পড়ুন
নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক সেই শি‌বির নেতা‌কে বহিষ্কার

নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক সেই শি‌বির নেতা‌কে বহিষ্কার

 

গত সপ্তাহে ইউক্রেন মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, যা রাশিয়া এখনো মেনে নেয়নি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পুতিন বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতির ধারণা সঠিক এবং আমরা এটিকে সমর্থন করি। তবে এর কিছু বিষয়ে রয়েছে।

পুতিন এই শান্তি চুক্তির জন্য বেশ কয়েকটি কঠিন শর্ত আরোপ করেছেন। জেলেনস্কি এই প্রতিক্রিয়াকে ‘কারচুপি’ বলে অভিহিত করেছেন।

মন্তব্য

অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অবশেষে আটকে পড়া মহাকাশচারীদের ফেরাতে রওনা দিল মহাকাশযান
চার মহাকাশচারী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন ক্রু-১০। ইনসেটে আটকা পড়া সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। ছবি : এক্স থেকে নেওয়া

দীর্ঘ ৯ মাস পর অবশেষে মহাকাশে আটকে পড়া সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরকে ফিরিয়ে আনতে পৃথিবী থেকে রওনা দিয়েছে  মহাকাশযান। নাসা এবং স্পেসএক্স আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রকেটটি উৎক্ষেপণ করেছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রওনা দিয়েছে রকেটটি। এই ক্রু-১০ মিশনটি মহাকাশচারী জুটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম পদক্ষেপ।

 

স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটটি সন্ধ্যা ৭টা ০৩ মিনিটে ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চারজন নভোচারীকে নিয়ে উড্ডয়ন করে। উইলমোর এবং উইলিয়ামসের স্থলাভিষিক্ত হবেন তারা। দুইজনেই নাসার অভিজ্ঞ নভোচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন নৌবাহিনীর পরীক্ষামূলক পাইলট এবং বোয়িং (বিএডটিএন)-এর প্রথম বিমান উড়িয়েছিলেন।

আরো পড়ুন
দুই দেশের মাঝখানে বসবাস তাদের, অভিজ্ঞতা কেমন?

দুই দেশের মাঝখানে বসবাস তাদের, অভিজ্ঞতা কেমন?

 

উৎক্ষেপণের পর সাংবাদিকদের নাসার আইএসএস প্রগ্রামের ডেপুটি ম্যানেজার ডিনা কনটেলাম বলেন,  উইলমোর এবং উইলিয়ামস স্টেশনে তাদের দৈনন্দিন সময়সূচিতে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ক্রু-১০ উৎক্ষেপণ হয়েছে।

শনিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ১০ মহাকাশচারীর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস)-এ পৌঁছানোর কথা রয়েছে মহাকাশযানটি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বুধবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেন সুনীতা ও ব্যারি। বুধবার ভোর ৪টায় (০৮০০ জিএমটি) নাসা মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ান মহাকাশচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভের সঙ্গে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তাদের। 

এই মহাকাশযানটিতে এতে আরো চার মহাকাশচারী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন।

তাদের মধ্যে নাসা ছাড়াও জাপান এবং রাশিয়ার প্রতিনিধি রয়েছেন।

আরো পড়ুন
গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ লাগবেই: ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প

গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ লাগবেই : ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প

 

প্রায় ছয় মাস স্টেশনে অবস্থানকারী ক্রু-১০ ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন, নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ।

প্রঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু যে যানে চড়ে তারা গিয়েছিলেন, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে।

ফলে তাতে সুনীতাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নাসার সিদ্ধান্তে তাদের ছাড়াই সেটি খালি অবস্থায়ই পৃথিবীতে ফেরানো হয়। 

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ