যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে ৩৩ জনের প্রাণহানি
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো ও ভয়াবহ ঝড়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। 

মিসৌরি ছাড়াও কানসাসে আটজন, আরকানসাসে তিনজন, মিসিসিপিতে ছয়জন, টেক্সাসে তিনজন এবং ওকলাহোমায় একজনের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানে।

 মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। 

গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অ্যামারিলো এলাকায় ধূলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে।

একই সঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।

এদিকে দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ট্রামে স্ত্রীর গায়ে আগুন, পলাতক স্বামীকে খুঁজছে জার্মান পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রামে স্ত্রীর গায়ে আগুন, পলাতক স্বামীকে খুঁজছে জার্মান পুলিশ
জার্মানিতে ১৬ মার্চ একটি ট্রামের কাছে অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের অবস্থান। ছবি : এএফপি

জার্মানিতে রবিবার এক ব্যক্তি ট্রামে তার স্ত্রীর ওপর দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে ওই নারী গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয় পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

থুরিঞ্জিয়া রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সী ওই নারী যখন জার্মানির গেরা শহরের ট্রামে ছিলেন, তখন তাকে লক্ষ্য করে এই হামলা করা হয়।

হামলাকারী ছিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী। যখন অন্য যাত্রীরা জরুরি স্টপ বোতাম টিপে দেন, তখন হামলাকারী ট্রামের দরজা খোলার সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যান।

ট্রামের চালক অগ্নিনির্বাপক ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে ওই নারী মারাত্মকভাবে আহত হওয়ায় তাকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, তারা এখন হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে ও তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্রিয়ভাবে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। হামলাকারী এখনো শনাক্ত হয়নি। তবে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে খোঁজা হচ্ছে। তারা ৪৬ বছর বয়সী জর্জিয়ান বংশোদ্ভূত ওই হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছে এবং তিনি হামলার সময় যে পোশাক পরে ছিলেন তার বর্ণনা দিয়েছে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

‘একাধিক’ হুতি নেতা নিহত, ইরানকে সতর্কবার্তা যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘একাধিক’ হুতি নেতা নিহত, ইরানকে সতর্কবার্তা যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতীকী ছবি : এএফপি

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় হুতি বিদ্রোহীদের একাধিক নেতা নিহত হয়েছেন বলে হোয়াইট হাউস রবিবার জানিয়েছে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে তারা এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়া ও লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে গোষ্ঠীটির হামলা বন্ধ করে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ শনিবারের বিমান হামলা নিয়ে এবিসি নিউজকে বলেন, ‘হামলায় একাধিক হুতি নেতাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছিল এবং তারা নিহত হয়েছেন।’

এ ছাড়া ফক্স নিউজকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক শক্তি প্রয়োগ করেছি এবং ইরানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, এবার যথেষ্ট হয়েছে।

ওয়াল্টজ আরো জানান, ‘ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপের সম্ভাবনা খোলা রয়েছে।’

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ ইরানের

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ ইরানের

 

শনিবারের মার্কিন হামলা ছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় আসার পর হুতির ওপর প্রথম আঘাত। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত ও ১০১ জন আহত হয়েছে বলে হুতির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে। তেহরান সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করা এই গোষ্ঠী বলছে, গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে তারা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।  

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে হুতি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে অসংখ্য ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৭৪ বার মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও ১৪৫ বার বাণিজ্যিক জাহাজ আক্রান্ত হয়েছে, যা বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পরিবহনকারী এই গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুটে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে।  

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে এক পোস্টে শনিবার এই হামলার ঘোষণা দিয়ে হুতি নেতাদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, ‘তোমাদের হামলা আজ থেকেই বন্ধ করতে হবে। যদি না করো, তবে এমন বিধ্বংসী আঘাত আসবে, যা আগে কখনো দেখোনি!’

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্র ইরানিদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করছে : পেজেশকিয়ান

যুক্তরাষ্ট্র ইরানিদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করছে : পেজেশকিয়ান

 

গত মাসে ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে এক চিঠিতে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, চুক্তি না হলে বিষয়টি ‘সামরিকভাবে’ সমাধান করা হবে। তেহরান সেই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ‘হুমকির’ মধ্যে তারা কোনো আলোচনা করবে না।  

ওয়াল্টজ এবিসিকে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘ইরান কখনো পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।

এটি নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ বিবেচনায় রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা হয় স্বেচ্ছায় এটি পরিত্যাগ করবে এবং স্বচ্ছভাবে তা প্রমাণ করবে, অথবা অন্য যেকোনো পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা এমন এক বিশ্ব চাই না, যেখানে আয়াতুল্লাহদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্রের বোতাম থাকবে।’

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করেছিলাম আমিও : নরেন্দ্র মোদি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সম্পর্ক মসৃণ করার চেষ্টা করেছিলাম আমিও : নরেন্দ্র মোদি
মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান তার পরিবর্তে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গেছে—মার্কিন পডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নিয়ে এমনটাই বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগও তোলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এই সাক্ষাৎকারটি নেন লেক্স ফ্রিডম্যান।

প্রায় তিন ঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারটি রবিবার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে মোদি জানান, ক্ষমতায় আসার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। লক্ষ্য ছিল, যাতে নতুনভাবে সম্পর্ক শুরু করা যায়।
কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে ‘বিরোধিতা’ ও ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ মিলেছে বলে জানান মোদি।

তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, পাকিস্তানের জনগণও শান্তির পক্ষে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আশা করি তাদের (পাকিস্তানের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও শান্তি চায়।

কারণ তারাও এই বিবাদ ও অস্থিরতার মধ্যে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তারা নিশ্চয়ই অবিরাম চলতে থাকা সন্ত্রাসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, এমনকি নিরীহ শিশুরাও মারা যাচ্ছে।’

মোদি আরো জানান, ইসলামাবাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মসৃণ করতে তার প্রথম উদ্যোগ ছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময়। ওই সময় তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার কথায়, ‘এটি ছিল (সম্পর্ক মসৃণ করার) সদিচ্ছার একটি ইঙ্গিত।

’ কূটনৈতিক স্তরে এমন ইঙ্গিত গত কয়েক দশকের মধ্যে আর দেখা যায়নি বলে দাবি তার। শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করলেও ভারত ‘কাঙ্ক্ষিত ফল’ পায়নি বলেও ওই সাক্ষাৎকারে জানান মোদি।

ফ্রিডম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সময়ে উঠে আসে ১৯৪৭ সালের দেশভাগের প্রসঙ্গও। মোদির বক্তব্য, দেশভাগ একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক পর্ব ছিল। তবে ভারত দেশভাগকে মেনে নিয়ে এগোতে শুরু করে। কিন্তু পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ বেছে নেয়নি বলে অভিযোগ তার।

নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, তারা (পাকিস্তান) নিজেদের মতো থাকবে এবং আমাদেরও নিজেদের মতো থাকতে দেবে। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে এগোয়নি। বারবার তারা ভারতের বিরুদ্ধে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে।’

মন্তব্য

পানির সঙ্গে লড়ছে যেসব বড় শহর

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
পানির সঙ্গে লড়ছে যেসব বড় শহর
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দূষিত পানি সংগ্রহ করছেন একজন নারী। ফাইল ছবি : এএফপি

বিশ্বের বেশ কিছু বড় শহর খুব বেশি পানি অথবা পানির অভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। তবে পানির কারণে সৃষ্ট সংকট নিরসনে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ধীরে ধীরে সুফল বয়ে আনছে।

৮০০ কোটি মানুষের পৃথিবীতে প্রায় অর্ধেক মানুষ বসবাসের জন্য বেছে নেয় শহরকে। এ কারণে গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় নগরাঞ্চল দ্রুত ‘উত্তপ্ত’ হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ওয়াটারএইডের নতুন গবেষণা অনুসারে, অনেক নগরাঞ্চল পানি-সম্পর্কিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গবেষণায় ১০০টিরও বেশি প্রধান শহর পরীক্ষা করা হয়েছে, যেখানে চার দশক ধরে জলবায়ুর ধরন নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। কায়রো, মাদ্রিদ, হংকং, রিয়াদ ও জেদ্দার মতো অনেক শহর একসময় বন্যার ঝুঁকিতে ছিল। এখন তারাই খরার সঙ্গে লড়াই করছে।

অন্যদিকে ভারত, কলম্বিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের শুষ্ক শহরগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ওয়াটারএইডের বৈশ্বিক আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক ক্যাথেরিন নাইটিঙ্গেল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এখনকার অবকাঠামো এমন এক সময়ে নকশা ও নির্মাণ করা হয়েছিল, যখন এই শহরগুলো শুষ্ক ছিল। কিন্তু এখন এগুলো বন্যাপ্রবণ শহর।’

ক্রমবর্ধমান বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি শহরের মধ্যে দুটি ছাড়া বাকি সবই এশিয়ায়।

সে শহরগুলোর অর্ধেকই ভারতে। ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য সবচেয়ে বেশি শুষ্কতার প্রবণতা অনুভব করছে। এ ছাড়া চীন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পূর্ব আফ্রিকার শহরগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

নাইটিঙ্গেল বলেন, ‘খরা পানির উৎস শুকিয়ে দেয়, অন্যদিকে বন্যা শৌচাগার ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং  সুপেয় পানিকে দূষিত করে।’

পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি শহরের মধ্যে রেখেছে ওয়াটারএইড।

করাচির দুই কোটি মানুষের অর্ধেকই বস্তিতে বাস করে। পাকিস্তান বন্যার মুখোমুখি হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া খরার সঙ্গে লড়াই করছে। এ কারণে দেশটিতে পানি, স্যানিটেশন ও বিদ্যুতের সংকট রয়েছে। স্বল্প আয়ের মানুষজনের ওপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ