যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প। আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সরাসরি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করবেন ট্রাম্প।

ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটন এলাকায় ফিরে আসার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলব।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই যে আমরা এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি কি না। হয়তো আমরা পারব, হয়তো আমরা পারব না, তবে আমার মনে হয় আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে।’

আরো পড়ুন
ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হুতি-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি

ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হুতি-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি

 

ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইউক্রেন কর্তৃক গৃহীত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জন্য পুতিনের সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু উভয় পক্ষ এ সাপ্তাহের শেষে ভারি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং রাশিয়া পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে তাদের মাসব্যাপী অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বিতাড়িত করার কাছাকাছি চলে গেছে।

ছাড় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ভূমি নিয়ে কথা বলব। আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলব। আমি মনে করি ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয় পক্ষই ইতিমধ্যেই এর অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করেছে। নির্দিষ্ট সম্পদ ভাগ করে নেওয়া নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই এটি নিয়ে কথা বলছি।

’ 

সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তসলিমা নাসরিনকে ফেরাতে আরজি বিজেপি এমপির, ধর্মীয় মেরুকরণের খেলা?

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
তসলিমা নাসরিনকে ফেরাতে আরজি বিজেপি এমপির, ধর্মীয় মেরুকরণের খেলা?
দিল্লির বাড়িতে তসলিমা নাসরিন। ফাইল ছবি : এএফপি

২০০৭ সালে কলকাতায় তাকে নিয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শহর ছাড়তে হয় সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনকে। তারপর কেটে গেছে ১৮ বছর। প্রায় দুই দশক পর কি ফের কলকাতায় যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো তার? বিজেপি সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যসভায় তসলিমার পশ্চিমবঙ্গে ফেরার আবেদন করেন। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তসলিমাও।

সংসদ সদস্যের বক্তব্য
রাজ্যসভায় সোমবার জিরো আওয়ারে বক্তৃতা করার সময় বিজেপির সংসদ সদস্য শমীক ভট্টাচার্য তসলিমাকে কলকাতায় ফেরানোর আবেদন করেন। তিনি বলেন, সাহিত্যিককে কলকাতা শহরে থাকার অনুমতি দিক সরকার। তিনি আরো বলেন, তৎকালীন কিছু কংগ্রেস নেতার প্ররোচনায় কলকাতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তসলিমা। সেই নেতারা এখন পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের মাথা।

নিজের বক্তব্যে তৎকালীন বাম সরকারেরও সমালোচনা করতে ছাড়েননি শমীক। অন্যান্য নারীবাদী বিষয়ে সোচ্চার হলেও তসলিমার ক্ষেত্রে তারা মৌন কেন সে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

রাজ্যসভায় শমীকের এই বক্তব্যে স্বভাবতই খুশি তসলিমা নাসরিন । মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য নিজের ফেসবুকে শমীককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

বাম সংসদ সদস্য গুরুদাস দাশগুপ্তের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, তারপর আর কেউ তার হয়ে কথা বলেননি। বর্তমান রাজ্য সরকার তার লেখা মেগা সিরিয়াল বন্ধ করে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘জানি না, কলকাতায় শেষ পর্যন্ত আমার ফেরা হবে কি না, তবে তিনি যে আমার কথা মনে করেছেন, মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর অপরাধে নিজের জন্মভূমি থেকে নির্বাসিত আমাকে বাংলায় লেখালেখি চালিয়ে যেতে হলে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি-পরিবেশে বাস করা আমার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ, তা তিনি উপলব্ধি করেছেন বলে তাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

তৃণমূলের সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। তারপর সব কিছু।

‘ধর্মীয় মেরুকরণের খেলা’
সিপিএম অবশ্য শমীকের এই বক্তব্যে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে ধর্মীয় মেরুকরণের ইঙ্গিত দেখছে। সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ডিডব্লিউকে বলেছেন, ‘বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি ও তৃণমূল একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি ২০১৪ সাল থেকে সরকার চালাচ্ছে। এত দিনেও কেন তসলিমাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়া হলো না?’

এ ছাড়া তসলিমাকে ফেরত আনার পক্ষে যুক্তি পারতপক্ষে ভোটের আগে তৈরি করা একটা ইস্যু বলে মনে করছেন তিনি। তার কথায়, ‘বিজেপি ও তৃণমূল যে সাংঘাতিক ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে, তসলিমা প্রসঙ্গ তারই একটি অংশ।’   

১৯৯৪ সালে উপন্যাস ‘লজ্জা’ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই স্বভূমি থেকে বিতাড়িত তসলিমা নাসরিন। দীর্ঘদিন কলকাতায় থাকলেও ২০০৭ সালে তার বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিয়ে শহরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার সুরক্ষার জন্য তাকে শহর ছাড়তে বলা হয়। এরপর পুলিশি নিরাপত্তায় দিল্লি ও জয়পুরে কাটিয়ে ভারত ছেড়ে ইউরোপে থাকতে শুরু করেন তিনি। পরে দিল্লিতে ফিরে আসেন তিনি। এখন সেখানেই বসবাস করেন তসলিমা নাসরিন।

মন্তব্য

গাজায় ব্যাপক হামলা চলছেই, ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৩০

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় ব্যাপক হামলা চলছেই, ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৩০
ছবিসূত্র : এএফপি

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৩০ জনে পৌঁছেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা হামলা চালাচ্ছে। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। গাজা শহরের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘তারা গাজায় আবারও নরকের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস বলছে, ইসরায়েল এখন থেকে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি দিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। হামাস আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের বারবার অস্বীকৃতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জবাবে এই হামলা চালানো হচ্ছে।

হামাস ইসরায়েলকে নিরাপত্তাহীন বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণ করার অভিযোগ করে বলেছে, মধ্যস্থতাকারীদের উচিত যুদ্ধবিরতি ‘লঙ্ঘন এবং বাতিল’ করার জন্য ইসরায়েলকে সম্পূর্ণ দায়ি করা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ মঙ্গলবার সকালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

সামরিক কর্মকর্তারা জানান, হামাসের নেতৃবৃন্দ ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।

অভিযানের নামে গাজায় রীতিমত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে এমন কোনও স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবনসহ বেশির ভাগ স্থাপনাই ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গাজা থেকে আল জাজিরার আরবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো খান ইউনিসের আবাসান শহরের পূর্বাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করছে, একই সাথে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। আল জাজিরার লাইভে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে আধা ঘণ্টায় গাজায় ৩৫টিরও বেশি ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা মৃত ও আহতদের সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছে। 

সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি
 

মন্তব্য

উদ্বেগজনক অবস্থায় চাঁদাবাজি, নিয়ন্ত্রণে পেরুতে জুরুরি অবস্থা ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উদ্বেগজনক অবস্থায় চাঁদাবাজি, নিয়ন্ত্রণে পেরুতে জুরুরি অবস্থা ঘোষণা
ছবিসূত্র : এএফপি

পেরুর রাজধানী লিমায় এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। স্থানীয় সময় সোমবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হত্যাকাণ্ডের পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়। লিমা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

 

রোববার ৩৯ বছর বয়সী গায়ক পল ফ্লোরেসকে লিমার বাইরে একটি কনসার্ট থেকে বেরিয়ে আসার সময় হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করে। তাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সঙ্গীতশিল্পীদের একটি অপরাধী চক্র তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করার হুমকি দিয়েছিল। এরপরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
চীনে সন্তান জন্মদান উৎসাহে নেওয়া হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা

চীনে সন্তান জন্মদান উৎসাহে নেওয়া হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা

 

ফ্লোরেসের হত্যার পর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে ঘোষণা করেন, ’আমরা আর একটি মৃত্যুও হতে দেব না’।

তিনি আরো বলেন, তিনি খুনি এবং চাঁদাবাজদের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করার বিষয়টি ’গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা’ করছেন।

ল্যাটিন আমেরিকাজুড়ে চাঁদাবাজি একটি সমস্যা হলেও, পেরুতে এটি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ৪৫০টিরও বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাটির জন্য আংশিকভাবে দায়ী ভেনেজুয়েলার ট্রেন ডি আরাগুয়ার মতো অপরাধী চক্র।

যারা বেশ কয়েকটি ল্যাটিন আমেরিকার দেশে কাজ করে। 

আরো পড়ুন
ইইউ-এর নতুন নিষেধাজ্ঞা, শান্তি বৈঠক থেকে সরে গেল এম-২৩ বিদ্রোহীরা

ইইউ-এর নতুন নিষেধাজ্ঞা, শান্তি বৈঠক থেকে সরে গেল এম-২৩ বিদ্রোহীরা

 

লিমা এবং এর বন্দর কালাওতে কার্যকর জরুরি অবস্থার অধীনে রয়েছে। সরকার নাগরিক স্বাধীনতা যেমন সমাবেশের অধিকার স্থগিত করতে পারে এবং বাড়ি তল্লাশি চালানো যেতে পারে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

ইইউ-এর নতুন নিষেধাজ্ঞা, শান্তি বৈঠক থেকে সরে গেল এম-২৩ বিদ্রোহীরা

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
ইইউ-এর নতুন নিষেধাজ্ঞা, শান্তি বৈঠক থেকে সরে গেল এম-২৩ বিদ্রোহীরা
ছবিসূত্র : এএফপি

ডিআর কঙ্গোর সঙ্গে মঙ্গলবারই শান্তি বৈঠকে বসার কথা ছিল এম-২৩ বিদ্রোহীদের। কিন্তু ইইউ-র নতুন নিষেধাজ্ঞার জেরে তারা তা বাতিল করেছে। ডিআর কঙ্গোর সঙ্গে মঙ্গলবারই বৈঠকে বসার কথা ছিল এম-২৩ বিদ্রোহীদের। কিন্তু ইইউ-র নতুন নিষেধাজ্ঞার জেরে তারা তা বাতিল করেছে।

দীর্ঘদিন ধরে এই বৈঠকের আয়োজনের চেষ্টা হলেও এতদিন তা সম্ভব হয়নি। দুই পক্ষই এই আলোচনায় রাজি ছিল না। শেষপর্যন্ত তারা আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছিল। অভিযোগ, এম-২৩ বিদ্রোহীদের রুয়ান্ডা সাহায্য করে।

ডিআর কঙ্গোয় তারা অস্থির পরিবেশ তৈরি করে। দীর্ঘদিন ধরেই এই পরিস্থিতি চলছে।

সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এম-২৩ এবং কিছু রুয়ান্ডার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার পরেই এম-২৩ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষে এই বৈঠকে বসা আর সম্ভব নয়।

ইইউ-এর এই পদক্ষেপের জন্যই তারা বৈঠকে বসছে না বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে রুয়ান্ডার প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বেলজিয়ামের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। কিগালির দাবি, বেলজিয়াম নতুন করে সাম্রাজ্যবাদী আচরণ করছে। উল্লেখ্য, একসময় রুয়ান্ডা বেলজিয়ামের উপনিবেশ ছিল।

কঙ্গোর অবস্থান

ডিআর কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি এতদিন এম-২৩ বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি ছিলেন না।

গত সপ্তাহে তিনি জানান, এবার বৈঠকে বসতে তার আপত্তি নেই। অ্যাঙ্গোলা এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছিল। কঙ্গোর তরফে জানানো হয়েছে, এম-২৩ বিদ্রোহীরা না এলেও তাদের প্রতিনিধিরা অ্যাঙ্গোলা যাবেন।

গত বছরে কঙ্গোর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করেছিল এম-২৩। রুয়ান্ডা অবশ্য দাবি করেছিল, তারা এম-২৩ বিদ্রোহীদের সাহায্য করে না। উল্লেখ্য, পূর্ব কঙ্গোতে নিজেদের জমি শক্ত করতে চায় এম-২৩। ওই অঞ্চল প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থে ভর্তি। অন্তত ২০টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই অঞ্চল দখলে নিতে চায়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ