যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প। আগামীকাল মঙ্গলবার তিনি পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সরাসরি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনা করবেন ট্রাম্প।

ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটন এলাকায় ফিরে আসার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলব।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই যে আমরা এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি কি না। হয়তো আমরা পারব, হয়তো আমরা পারব না, তবে আমার মনে হয় আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে।’

আরো পড়ুন
ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হুতি-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি

ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হুতি-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি

 

ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইউক্রেন কর্তৃক গৃহীত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের জন্য পুতিনের সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু উভয় পক্ষ এ সাপ্তাহের শেষে ভারি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং রাশিয়া পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে তাদের মাসব্যাপী অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে বিতাড়িত করার কাছাকাছি চলে গেছে।

ছাড় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ভূমি নিয়ে কথা বলব। আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কথা বলব। আমি মনে করি ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয় পক্ষই ইতিমধ্যেই এর অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করেছে। নির্দিষ্ট সম্পদ ভাগ করে নেওয়া নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই এটি নিয়ে কথা বলছি।

’ 

সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারতের নাগপুরে হিন্দু-মুসলমান সহিংসতা, কারফিউ জারি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের নাগপুরে হিন্দু-মুসলমান সহিংসতা, কারফিউ জারি
সংগৃহীত ছবি

ভারতের মহারাষ্ট্রে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতার এই ঘটনার জেরে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটির নাগপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাগপুর শহরের মহাল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের দিকেও ব্যাপক পাথর ছোঁড়া হয়।

প্রাথমিকভাবে ছয় জন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন পুলিশ অফিসার আহত হন।

এরপরে কোতোয়ালি আর গণেশপেঠ এলাকাতেও সংঘর্ষ ছড়ায়। হাজার খানেক মানুষ ব্যাপকভাবে পাথর ছোঁড়া, ভাঙচুর চালায়। দোকানপাট আর গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার প্রায় ভোররাত পর্যন্ত পুলিশ নানা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছিল।

বেলা দশটা নাগাদ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্র মন্ত্রী যোগেশ কদম সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, সহিংসতার কারণ এখনও খুঁজে বার করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

যদিও কারফিউ জারি আছে সেখানে।

যে অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়েছিল, সেই মহাল অঞ্চল ছাড়া শহরের অন্যান্য এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিকই আছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন। তবে পুলিশ নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানিয়েছে যাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে না বের হন।

যেসব এলাকায় সোমবার রাত থেকে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে, সেটি হিন্দু পুণরুত্থানবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসের মূল কার্যালয়ের একেবারেই কাছে। আবার মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের বাড়িও নাগপুরেই।

এর আগে সোমবার দুপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল নাগপুরের মহাল এলাকায় একটি বিক্ষোভ জমায়েত করে। ওই বিক্ষোভে আওরঙ্গজেবের একটি ছবি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলায় অবস্থিত খুলদাবাদ থেকে আওরঙ্গজেবের কবর সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজ্যের নানা জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভ চলাকালে কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়, যাতে মুসলমান সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। পরে এই এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগও পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন মুখপাত্র

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন মুখপাত্র

 

নাগপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অর্চিত চন্দক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, একটি গুজবের ফলেই সোমবারের ঘটনার সূত্রপাত। কিছু ভুল তথ্যের ফলেই এই ঘটনা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সবার কাছেই আবেদন যে ঘর থেকে বের হবেন না, পাথর ছুঁড়বেন না। গুজবে বিশ্বাস করবেন না।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

মন্তব্য

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন মুখপাত্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন মুখপাত্র
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন কী— এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টিকে কূটনৈতিক আলোচনার অংশ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। খবর ফক্স নিউজের।

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময়ে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

ওই সাংবাদিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

এখন নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় ৬০ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন কী? তিনি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

এ প্রশ্নের জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, আপনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলছেন, যিনি অন্য দেশের ঘটনাবলি কীভাবে দেখেন তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এই বিষয়ে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন। কূটনৈতিক আলোচনা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে কথোপকথনের বিষয়ে আমি কোনো পূর্বানুমান করতে চাই না।

এসব বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

সাংবাদিক পুনরায় একই প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাইলে ব্রুস তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে কূটনৈতিক আলোচনা বা কোনো নির্দিষ্ট দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। আমি কোনো পূর্বানুমানও করতে চাই না।

এর আগে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড।

তাই এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সরকার গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘নিপীড়ন ও হত্যা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থী খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।’

তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, ‘বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

আরো পড়ুন
খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

 

গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি বলে বাংলাদেশ সরকার ওই বিবৃতিতে দাবি করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিবৃতিতে উল্লেখ করে, তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যে পুরো বাংলাদেশকে অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
 

মন্তব্য

উসকানির অভিযোগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উসকানির অভিযোগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল
জেরুজালেমে ছেলের সঙ্গে আবদেল্লাতিফ। সূত্র: সিএনএন (পারিবারিক ছবি)।

ইসরায়েলি বিচারক মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিলেও, ইসরায়েলি পুলিশ একজন সুপরিচিত ফিলিস্তিনি নারী সাংবাদিককে জেরুজালেমে আটক রাখার চেষ্টা করছে। যদিও তাকে ‘উসকানি’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদের সমর্থন’ সম্পর্কিত অভিযোগে সোমবার আটক রাখা হয়েছে। আবদেল্লাতিফ এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গতকাল সোমবার জেরুজালেমের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আবদেল্লাতিফকে হাজির করা হয়।

যেখানে একজন বিচারক জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে আরো পাঁচ দিনের জন্য আটক রাখার পুলিশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। 

তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অনুসারে লতিফেহ আবদেল্লাতিফ একজন ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক। যার কাজ রয়টার্স, এবিসি নিউজ, বিবিসি, আল জাজিরা এবং টিআরটিতে প্রকাশিত হয়েছে।

আরো পড়ুন
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, ভারতে কারফিউ জারি

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, ভারতে কারফিউ জারি

 

 

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার জেরুজালেম জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য উসকানি এবং সমর্থনের সন্দেহে’ পুরাতন শহরে তার বাড়িতে গ্রেপ্তার করেছিলেন।

আবদেল্লাতিফের আইনজীবী এবং তার মা বলেছেন, বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অফিসাররা চিহ্নহীন যানবাহনে করে এসেছিল।

এক বিবৃতিতে পুলিশ আবদেল্লাতিফের প্রয়াত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একটি ভিডিও পোস্ট করার দিকে ইঙ্গিত করেছে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি শহীদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে চান।

’ 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের এবং অন্যান্য পোস্টগুলোতে স্পষ্ট যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি (আবদেল্লাতিফ) সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডের প্রশংসা এবং মহিমান্বিত করছেন।’

আদালতে শুনানির পর আবদেল্লাতিফের আইনজীবী নাসের ওদেহ সিএনএনকে বলেন, ‘আদালত দেখেছেন, সাংবাদিক হিসেবে তার কাজের ভিত্তিতে এবং প্রতিরক্ষার ভিত্তিতে এই পোস্টগুলো তার পেশাগত কাজের অংশ। পোস্টগুলো ছয় মাসেরও বেশি পুরনো। তাকে আটকে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি জনসাধারণের জন্য বিপদ নয়।

’ তবে ইসরায়েলি পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তার মুক্তি স্থগিত করার জন্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে।

আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশ কেন্দ্রীয় আদালতে আপিল জমা না দেওয়া পর্যন্ত মুক্তির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছে। বর্তমানে, আপিল প্রক্রিয়া কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।’

গত রবিবার আবদেল্লাতিফকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট সম্পর্কে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। 
আবদেল্লাতিফ এর আগেও ইসরায়েলি বাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। 

আরো পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

 

২০২১ সালের মে মাসে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে একটি ছোট ছেলেকে আটকের ভিডিও করার কারণে ইসরায়েলি সেনারা তাকে মারধর করেন, মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেন এবং তার মাথার স্কার্ফ জোর করে খুলে ফেলেন। 

ঘটনার সময় আবদেল্লাতিফ ইসরায়েলি বাহিনীকে একটি শিশুকে আটক করতে দেখেন বলে জানান। শিশুটির বাবা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনিরা এতে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আবদেল্লাতিফ তখন ঘটনাটি ভিডিও করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা তাকে ধাক্কা দেন, যদিও তিনি তাদের স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি একজন রিপোর্টার।

সেনারা তাকে উপেক্ষা করে পিছনে ঠেলে দিতে থাকে। তারপর তার হিজাব খুলে ফেলে এবং হাঁটুতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফিলিস্তিনিরা আবদেল্লাতিফকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে, ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এরপর তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র : সিএনএন, মিডল ইস্ট আই

মন্তব্য

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, ভারতে কারফিউ জারি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, ভারতে কারফিউ জারি
ছবিসূত্র : পিটিআই

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পরে ভারতের নাগপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। ১৭ শতকের সম্রাটের সমাধি আওরঙ্গবাদে অবস্থিত, যা বর্তমানে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলা নামে পরিচিত। 

নাগপুরের পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র কুমার সিঙ্গাল ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারার অধীনে একটি নোটিশ জারি করেছেন।

এতে বলা হয়েছে, কোতোয়ালি, গণেশপেঠ, তহসিল, লাকাদগঞ্জ, পাচপাওলি, শান্তিনগর, সক্করদারা, নন্দনবন, ইমামওয়াদা, যশোধরানগর এবং কপিলনগর থানা এলাকায় কারফিউ প্রযোজ্য। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

আরো পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

 

আওরঙ্গজেব সমাধি ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলা থেকে সরিয়ে ফেলার দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে বিক্ষোভ শুরু করে বজরং দল। পরবর্তীতে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এর পাশাপাশি ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে।

পুলিশ কমিশনারের নোটিশ অনুসারে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সমর্থকরা গতকাল সোমবার নাগপুরের  শিবাজি মহারাজের মূর্তির কাছে জড়ো হয়ে মহারাষ্ট্র থেকে আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা স্লোগান দেওয়া শুরু করে। আওরঙ্গজেবের ছবি এবং সবুজ কাপড়ে মোড়ানো একটি প্রতীকী সমাধি পুড়িয়ে দেয় বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, সবুজ কাপড় পোড়ানোর ফলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে দাবি করে, এতে পবিত্র শ্লোক লেখা ছিল, যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

নোটিশে বলা হয়েছে, গত সন্ধ্যায় একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জন হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদন অনুসারে, চারজন আহত হয়েছেন। এক ডজনেরও বেশি পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন
উড্ডয়নের পরপরই হন্ডুরাস উপকূলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত ৬

উড্ডয়নের পরপরই হন্ডুরাস উপকূলে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত ৬

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং নাগপুরের সংসদ সদস্য নীতিন গড়করি শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন এবং গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেছেন। 

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে আশ্বস্ত করছি যারা ভুল করেছে অথবা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই এই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে, তাই আমি সকলকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নাগরিকদের গুজবে বিশ্বাস না করার এবং আইন নিজের হাতে না নেওয়ার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন
৯৫ দিন ধরে ভাসছিলেন সাগরে, বেঁচে ছিলেন কচ্ছপ খেয়ে

৯৫ দিন ধরে ভাসছিলেন সাগরে, বেঁচে ছিলেন কচ্ছপ খেয়ে

 

 

এদিকে বিরোধীরা এই সহিংসতার জন্য রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শিবসেনা ইউবিটি বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে এক্স-এ পোস্ট করে বলেছেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা আগের চেয়ে অনেক বেশি ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শহর নাগপুর এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।’

কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেছেন, ‘নাগপুর তার অস্তিত্বের ৩০০ বছরে দাঙ্গার সম্মুখীন হয়নি। গত বেশ কয়েকদিন ধরে, ৩০০ বছরের পুরনো ইতিহাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন, বিভ্রান্তি এবং অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সংঘর্ষগুলো কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় ক্ষেত্রেই শাসকগোষ্ঠীর আদর্শের আসল চেহারা উন্মোচিত করছে।’

সূত্র: এনডিটিভি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ