রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের উদ্দেশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন বছর আগে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ফোনে কথা বলার পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই নেতা এই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি। তবে এই যুদ্ধবিরতি হবে শক্তি ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে।
শুধু জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে রাজি পুতিন, যুদ্ধবিরতিতে নয়
অনলাইন ডেস্ক

তবে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, শুধুমাত্র জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর আক্রমণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন। সম্প্রতি সৌদি আরবে ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে ট্রাম্পের দল যে মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করেছে তাতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন রাশিয়ার এই নেতা।
পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে বিদেশি সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ হলেই কেবল একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। অন্যদিকে ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এর আগে এই ধরনের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন আলোচনা রবিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় অব্যাহত থাকার কথা রয়েছে। তিন বছরের এই যুদ্ধে রাশিয়া সম্প্রতি তার কুরস্ক অঞ্চলের কিছু অঞ্চল পুনরুদ্ধার করছে।
মঙ্গলবারের ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপের ফলাফল এক সপ্তাহ আগে মার্কিন অবস্থান থেকে পিছু হটার সামিল, যদিও দুই নেতা মধ্যপ্রাচ্যে অবিলম্বে আরো শান্তি আলোচনার জন্য একমত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার জেদ্দায় একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে দেখা করে। তখন তারা কিয়েভ স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে অবিলম্বে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল।
এদিকে মঙ্গলবার ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে সরকারি সফরে পৌঁছান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত সেপ্টেম্বরে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর প্রায় ৮০ শতাংশ রাশিয়ান বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে কিয়েভও রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে, তেল ও গ্যাস সুবিধাগুলোতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
জেদ্দায় গত সপ্তাহের আলোচনার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, ‘বল এখন রাশিয়ার কোর্টে। তখন ইউক্রেনীয়রা পূর্ণ যুদ্ধবিরতির জন্য ওয়াশিংটনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প-পুতিনের আহ্বানের পর হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে কিয়েভের সঙ্গে সেই চুক্তির কোনো উল্লেখ করা হয়নি। পরিবর্তে বলা হয়েছে, শান্তি চুক্তি একটি জ্বালানি ও অবকাঠামো যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হবে, তারপরে কৃষ্ণ সাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তি নিয়ে আলোচনা হবে। দুই নেতা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে খুব দ্রুত আলোচনা শুরু হবে। পাশাপাশি বুধবার (১৯ মার্চ) রাশিয়া এবং ইউক্রেন ১৭৫ জন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করবে এবং রাশিয়ায় চিকিৎসা নেওয়া ২৩ জন গুরুতর আহত ইউক্রেনীয় সৈন্যকে স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু ক্রেমলিনের নিজস্ব বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য বিদেশি সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্যের অবসান রাশিয়ার মূল শর্ত।
ক্রেমলিন এর আগে জানিয়েছিল, তারা ইউক্রেনে বিদেশি সামরিক সহায়তা বন্ধ দেখতে চায়। যুদ্ধের তীব্রতা থামানো এবং কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধের অবসানের জন্য বিদেশি সামরিক সহায়তা বন্ধ করা সবচেয়ে জরুরি বলে মন্তব্য করেছিল রাশিয়া।
রাশিয়ার নেতা ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার বিষয়ে স্বাদ পেয়েছেন। এই মাসের শুরুতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে ঝগড়া হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করে। এদিকে ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যুক্তরাজ্যের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সূত্র : বিবিসি
সম্পর্কিত খবর

পাকিস্তানে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ পোস্টের অভিযোগে সাংবাদিক আটক
ডয়চে ভেলে

পাকিস্তানের অনলাইন মিডিয়া চ্যানেল ‘রাফতার’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক ফারহান মল্লিককে রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্ট ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগে শুক্রবার (২১ মার্চ) আদালতে তোলা হয়েছে।
সংশোধিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ফারহান মল্লিক ইচ্ছাকৃতভাবে এমন তথ্য প্রচার করেছেন, যা ‘মিথ্যা বা আতঙ্ক সৃষ্টিকারী’ হতে পারে।
রাফতার চ্যানেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি, যা মল্লিক বা তার চ্যানেলের বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগকে সমর্থন করে।’
বিগত কয়েক বছরে রাফতার চ্যানেলের বেশ কয়েকটি ভিডিও মিলিয়নের বেশিবার দেখা হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এই গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানের মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে পাকিস্তান বর্তমানে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫২তম অবস্থানে রয়েছে।
সংশোধিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী ইমান মাজারি বলেছেন, ‘এই আইনের পরিবর্তনগুলো মূলত মতপ্রকাশ দমন, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও সরকারের সমালোচনাকে বন্ধ করার জন্য আনা হয়েছে।
পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। দেশটিতে একাধিকবার ইউটিউব, টিকটক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’ নিষিদ্ধ রয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ক্যান্সার হাসপাতাল বিধ্বস্ত
অনলাইন ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ক্যান্সার রোগীদের জন্য পরিচালিত ‘তার্কিস-প্যালেস্টিনিয়ান ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ ধ্বংস হয়েছে।
হাসপাতালটি নেতজারিম করিডরের সালাহ আল দীন স্ট্রিটের কাছে অবস্থিত। এটি এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনীর কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
২০১৭ সালে তুরস্ক ৩৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানে দিয়ে হাসপাতালটি পুনর্নির্মাণ করা হয়।
এ হাসপাতালে প্রতি বছর ১০,০০০ রোগীকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ইসরায়েল নেতজারিম করিডর সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে। এরপরই হাসপাতালটি ধ্বংস করে দেওয়া হলো।
গাজার উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আল-রশিদ স্ট্রিট ব্যবহার করতে হবে, যা ইসরায়েলি আক্রমণের কারণে ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

তুরস্কে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চলছেই
অনলাইন ডেস্ক

তুরস্কে ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সরকারের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। তুরস্কে বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর চার দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
দেশটির রাজনীতিতে সেক্যুলার দল হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পিপলস পার্টির-সিএইচপি নেতা একরেম ইমামোগলু।
এর মধ্যেই গত বুধবার দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তার অভিযোগে আরো ১০৫ জনের সঙ্গে ইমামোগুলোকেও আটক করা হয়।
এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে আরো অনেককে আটক করে সরকার। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ-সমাবেশ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এরদোয়ান বলেন, ‘তারা এতটাই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে যে, পুলিশকে আক্রমণ এবং বিচারক ও আইনজীবীদের হুমকি দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছে।’
এদিকে, সিএইচপি পার্টির নেতা ওজগুর ওজেল অভিযোগ করেছেন, ১০৫ জনকে আটক করে বিরোধীদের দমনের কৌশল নিয়েছে সরকার।
ইস্তাম্বুলের সিটি হলের বাইরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের সেই চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার জনগণের রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া ঘোষণা করেছেন অনলাইনে ২৬১ জন ‘সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজারকে’ শনাক্ত করেছে পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে ‘মানুষকে ঘৃণা ও শত্রুতার দিকে ঠেলে দেওয়া’ এবং ‘অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার’ অভিযোগ রয়েছে।
ইয়েরলিকায়া বলেন, ‘৩৭ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’
বৃহস্পতিবার ইমামোগলুর এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায়, ‘এই অন্যায় রুখে দাঁড়াতে’ তুরস্কের জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পরিস্থিতির জন্য এরদোয়ানের দলকে দায়ী করে বিচার বিভাগকেও সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয় ওই পোস্টে।
এতে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি শুধু রাজনৈতিক দল ও আদর্শের প্রশ্নে আটকে নেই আর। এখন সাধারণ মানুষ ও তাদের পরিবার পরিজনের ওপরও এর প্রভাব পড়ছে। এখনই সময় আওয়াজ তোলার।’
শহরের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে লাউডস্পিকারে ইমামোগলুর একটি বক্তৃতার রেকর্ড বাজছে। যাত্রীরা যখন ট্রেনে উঠতে উঠতে শুনছেন, ‘আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি অঙ্গীকার করছি, এই লড়াইয়ে জিতব।’
রাস্তায় মিছিল করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। তুরস্কের বিরোধীদের স্লোগান হিসেবে পরিচিত সেই কথাগুলোতে বলা হচ্ছে, ‘আমরা ভীত নই, চুপ করিয়ে রাখা যাবে না আমাদের, আমরা মানব না।’
তবে, এক কোটি ৬০ লাখের বেশি জনসংখ্যার এই শহরে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা এখনও তুলনামূলকভাবে কম। আপাতত, ইমামোগলুকে মুক্তি দিতে এরদোগানের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর সম্ভাবনাও কম তাদের।
গত কয়েক মাসে দেশব্যাপী বড় ধরণের অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক সরকার। বিরোধী রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বরা ছিল সেইসব অভিযানের লক্ষ্যবস্তু। তারই ধারাবাহিকতায় ইমামোগলু এবং অন্যদের গ্রেপ্তার করা হলো।
আগামীতে এমন অভিযানের অংশ হিসেবে আরও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। ভয় দেখাতেই তাদের আটক করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অবশ্য গ্রেপ্তারের জন্য এরদোয়ানকে দায়ী করার সমালোচনা করেছে বিচার মন্ত্রণালয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছে তারা।
গত বছর দ্বিতীয় মেয়াদে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন একরেম ইমামোগলু। সেই স্থানীয় নির্বাচনে ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারায় জয়ী হয় তার দল সিএইচপি।
এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর ওই নির্বাচনেই প্রথমবারের মতো তার দল সারা দেশে ব্যালট বাক্সের হিসাব-নিকাশে পরাজিত হয়েছিল। ব্যক্তিগতভাবে এরদোয়ানের জন্যও ধাক্কা ছিল এটি। তার রাজনৈতিক বেড়ে ওঠা বিশেষ করে ক্ষমতায় আসার পথে একসময় ইস্তাম্বুলের মেয়রও ছিলেন তিনি।
২২ বছর ধরে তুরস্কের ক্ষমতার শীর্ষে আছেন এরদোয়ান। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি উভয় পদেই দায়িত্ব পালন করেছেন এরদোয়ান।
মেয়াদের বাধ্যবাধকতার কারণে, সংবিধান পরিবর্তন না করলে তিনি ২০২৮ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। অন্যদিকে, আগামী রবিবার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন সিএইচপির ১৫ লাখ সদস্য। যেখানে, ইমামোগলুই একমাত্র প্রার্থী।
এ ছাড়াও দলটি একটি প্রতীকী নির্বাচনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। তুরস্কের বিভিন্ন জেলায় ব্যালট বাক্স রাখার পরিকল্পনা করেছে তারা। আটক মেয়রের প্রতি সমর্থন জানাতে ওই ব্যালট বাক্সগুলোতে নাগরিকদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
সূত্র : বিবিসি

ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ইলন মাস্কের এক্সের মামলা
অনলাইন ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণ করতে বেআইনি আদেশের অভিযোগে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম এক্স। মুম্বাই থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে একটি, যারা সরকারিভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট অপসারণের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অনুরোধ জানায়।
মামলাটি ভারত সরকারের সেন্সরশিপ ক্ষমতার বিরুদ্ধে এক্সের সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ।
মামলাটি ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইনের একটি বিধানকে কেন্দ্র করা হয়েছে, যার অপব্যবহার করে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কন্টেন্ট ব্লক করার আদেশ দিয়ে থাকে।
আইনি সংবাদ সম্পর্কিত ভারতীয় ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ‘এক্সের মতে এই বিধানটি তথ্য ব্লক করার ক্ষেত্রে একটি বেআইনি সমান্তরাল কৌশল হিসেবে অপব্যবহার করা হচ্ছে।’
এই সপ্তাহের শুরুতে মামলাটির সংক্ষিপ্ত শুনানিতে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
ভারতে কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে মাস্কের এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন নয়। ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনাকারী টুইট ও অ্যাকাউন্টগুলো অপসারণের আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে টুইটার (এক্স-এর আগের নাম)। তখন ভারতীয় আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্ল্যাটফর্মটিকে ৬১ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করে।
প্রায় এক বছর পর এক্স জানায়, নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট ও পোস্টগুলোতে সরকারের ব্লক করার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল বিচারাধীন রয়েছে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি এক পোস্টে বলেছিল, ‘আমাদের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারত সরকারের ব্লকিং আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আপিল এখনো বিচারাধীন রয়েছে। আমরা আমাদের নীতি অনুসারে প্রভাবিত ব্যবহারকারীদের এই পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে নোটিশও দিয়েছি।’
পোস্টে আরো বলা হয়, আইনি বিধিনিষেধের কারণে আমরা নির্বাহী আদেশগুলো প্রকাশ করতে পারছি না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, স্বচ্ছতার জন্য সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা অপরিহার্য।