<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দক্ষিণ লেবাননজুড়ে  হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর অবস্থান লক্ষ্য করে গতকাল রবিবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে  ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহ ব্যাপক ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি  হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল স্থানীয় সময় ভোরের দিকে দাবি করে, তাদের ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর আক্রমণের পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে তারা লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আগেভাগেই হামলা করেছে।  এদিকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ৩২০টি কাতিউশা রকেট আর ড্রোন নিক্ষেপ করে হিজবুল্লাহ বলেছে, ইসরায়েলে তারা প্রথম ধাপের আক্রমণ চালিয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তিনজন নিহতের খবর দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, তারা লেবাননে প্রায় ১০০টির বেশি যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ৪০টি অবস্থানে হাজারো রকেট লঞ্চার ড্রাম ধ্বংস করেছে। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে ১১টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার দাবি করেছে। সর্বশেষ হামলার বিষয়ে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসারুল্লাহর গতকাল লেবাননের টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার কথা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মাসে ইসরায়েলের হামলায় বৈরুতে হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডার নিহতের পর এই পাল্টাপাল্টি হামলা দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা।  সর্বশেষ দুই পক্ষের এই হানাহানি আবারও সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে মোড় নিতে পারে বলে মধ্যপ্রাচ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।  ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ নেতারা বলেছেন, তাঁরা আরো একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ চান না। তবে উভয় পক্ষই বলেছে, এমন যুদ্ধের জন্য তাঁরা প্রস্তুত আছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গতকালের সংঘর্ষের পর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিক মাইকাটি। সর্বশেষ সংঘাতকে  উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে লেবাননের বিশেষ সমন্বয়কারীর কার্যালয় এবং লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী সবাইকে হামলা বন্ধ  এবং আরো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি না করতে আহবান জানিয়েছে। গতকাল এক জরুরি বৈঠকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব তাঁর মন্ত্রীদের জানান, সংঘাত বন্ধ করতে তিনি লেবাননের মিত্রদের সঙ্গে ব্যাপক যোগাযোগ করেছেন।   </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিজবুল্লাহর হামলা ইসরায়েলের সরকারের মুখে চপেটাঘাত : হামাস</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর হামলার প্রশংসা করে হামাস একে শক্তিশালী ও মনোযোগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছে। ইসরায়েলের ভূখণ্ডের গভীরে এই হামলাকে ইসরায়েলি সরকারের মুখে চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেছে হামাস। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর এমন পাল্টাপাল্টি সংঘাতের খবর এলো। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, হামাসের যে প্রতিনিধিদলটি  মিসরের কায়রোয় গিয়েছিল, তারা শহর ছেড়ে গেছে।  ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানিয়েছে, তাদের গোয়েন্দা সংস্থা শেন বেতের প্রধান রোনান বার ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া চলমান যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিতে মিসরে পৌঁছেছেন।  সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, এএফপি</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>