<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় দুটি মানচিত্র দেখিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কে তাঁর দেখানো দুটি মানচিত্রের একটিতেও ঠাঁই হয়নি ফিলিস্তিনের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নেতানিয়াহুর ডান হাতে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে কালো রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনকে। এই দেশগুলোকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন তিনি। অর্থাৎ এসব দেশ ইসরায়েলের জন্য হুমকি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে বাঁ হাতে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে মিসর, সুদান, সৌদি আরব ও ভারতকে। এসব দেশকে আশীর্বাদ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। অর্থাৎ এই দেশগুলো ইসরায়েলের জন্য হুমকি নয়। তবে উভয় মানচিত্রের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট ছিল ফিলিস্তিনের অনুপস্থিতি। সবুজ বা কালো কোনো মানচিত্রেই ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের কোনো উল্লেখ ছিল না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধিবেশনে অভিশপ্ত দেশগুলো এবং ইরানের প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের জন্য ইরান ও এর মিত্ররা দায়ী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে সবুজ রঙে চিহ্নিত দেশগুলো ইসরায়েলের মিত্র বা সম্ভাব্য মিত্র। এসব দেশের কোনোটির সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে, আবার কোনোটি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় আছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে অব্যাহত সহিংসতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন নেতানিয়াহু। লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজার হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদের ইরানের আর্থিক ও সামরিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একাধিক ফ্রন্টে নিজেকে রক্ষা করে চলেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, আপনারা যদি আমাদের আক্রমণ করেন, তাহলে আমরাও আপনাদের আক্রমণ করব। প্রয়োজনে ইসরায়েলের প্রতিরোধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে প্রসারিত হতে পারে। নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার সময় কয়েক শ কূটনীতিক প্রতিবাদ জানিয়ে বাইরে চলে যান। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ইরানের আগ্রাসনের জবাব। যত দিন হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পথ বেছে নেবে, তত দিন ইসরায়েলের এই হুমকি দূর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সূত্র : এনডিটিভি</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>