<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেবাননের</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সশস্ত্র</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোষ্ঠী</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেও</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোষ্ঠীটিকে</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দমাতে পারবে না ইসরায়েল। বিকেন্দ্রীভূত কাঠামো</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবং</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মতবাদের কারণে</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফের</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুনর্গঠনের</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষমতা</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাখে ইরান সমর্থিত</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোষ্ঠীটি।</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দলটির ঘনিষ্ঠ</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিডল</span></span> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইস্ট</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইকে</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তথ্য</span></span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব ও শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি গুপ্তহত্যা এবং এর নিরাপদ যোগাযোগ নেটওয়ার্কে হামলা দলটির সামরিক ও নিরাপত্তাকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে দিয়েছে। তবে হিজবুল্লাহর অন্যতম শক্তি হচ্ছে এর বিকেন্দ্রীভূত কাঠামো। লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে হিজুল্লাহর নেতৃত্ব আলাদাভাবে এখনো সক্রিয় রয়েছে। তাই সংগঠনের প্রধানকে হত্যা করেই হিজবুল্লাহকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে না। লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে সংগঠনটি ঠিকই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। এমনকি কেন্দ্রীয়ভাবেও তারা খুব দ্রুত গুছিয়ে নিতে পারবে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই সূত্র আরো জানায়, ইসরায়েল শুধু একজন নেতাকে হত্যা করতে পেরেছে। কিন্তু সংগঠনের স্তরবিন্যাস, গঠনতন্ত্র ও মতাদর্শের ওপর চুল পরিমাণ আঘাতও করতে পারেনি। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ইসরায়েল গতকাল স্থল অভিযান শুরু করার পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে টহলরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"> </p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন</span></span></strong></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণ করার পর ১৯৭৮ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে থাকা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন করা হয়। এই শান্তিরক্ষী বাহিনীটি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউএন ইন্টেরিম ফোর্স ইন  লেবানন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বা ইউএনআইএফআইএল নামে পরিচিত। প্রতিবছর জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ বাহিনীটির দায়িত্ব পুনর্নির্ধারণ করে দেয়।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে লেবাননের হিজবুল্লাহ বাহিনীর মাসব্যাপী যুদ্ধের পর নিরাপত্তা পরিষদ ১৭০১ প্রস্তাব গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে ইউএনআইএফআইএল দায়িত্ব বিস্তৃত করে। তবে কোনো পক্ষ ব্লু লাইন নামে পরিচিত জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া লেবাননকে ইসরায়েল ও ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমি থেকে পৃথক করা সীমানা অনুমোদনবিহীনভাবে স্থলপথে বা আকাশপথে লঙ্ঘন করলে তাকে নিরাপত্তা পরিষদের ১৭০১ প্রস্তাবের লঙ্ঘন বলে ধরা হয়।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৭০১ প্রস্তাবনায় শান্তিরক্ষীদের তাদের দায়িত্বের অধীনে থাকা এলাকাটি লেবাননের রাষ্ট্রীয় বাহিনী বাদে অন্য অস্ত্রশস্ত্র ও সশস্ত্র ব্যক্তিদের থেকে মুক্ত রাখতে লেবাননের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করার কথা বলা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এতে লেবাননের ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর উপস্থিতির পরও লেবাননের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তি হিজবুল্লাহই কার্যকরভাবে অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শান্তিরক্ষা মিশনটিকে সব ধরনের লঙ্ঘনের বিষয়টি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতি চার মাসে একবার ১৭০১ প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে প্রতিবেদনগুলো তুলে ধরেন। তবে তিনি প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় প্রতিবেদনগুলো নিরাপত্তা পরিষদের নজরে আনতে পারেন। জাতিসংঘের মহাসচিব নিয়মিতভাবে উভয় পক্ষের মাধ্যমে সংঘটিত ১৭০১ প্রস্তাব লঙ্ঘনের প্রতিবেদন দিচ্ছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের জুলাইয়ে মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদের কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তাতেও উভয় পক্ষের ১৭০১ প্রস্তাব লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র : মিডল ইস্ট আই, রয়টার্স</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"> </p>