<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের জন্য শোক পালন করছে হামাস। গত শুক্রবার গোষ্ঠীটি অঙ্গীকার করেছে যে তাদের কাছে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণঘাতী হামলার মাস্টারমাইন্ড সিনওয়ারকে হত্যার পর গাজা যুদ্ধে পটপরিবতর্নের আশা জেগেছিল। বিশেষ করে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকটের সমাপ্তি হওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে হামাসের কাতারভিত্তিক কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়া এক ভিডিও বার্তায় সেই সম্ভাবনার ইতি টেনেছেন। হামাস নেতা সিনওয়ারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ভিডিও বার্তায় বলা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না হলে কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিনওয়ার ছিলেন ইসরায়েলের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোস্ট ওয়ান্টেড</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ব্যক্তি। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে হত্যার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। তাঁর মৃত্যু এরই মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়া হামাসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডকে হামাসের দুষ্ট শাসনের পতনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন আখ্যা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যদিও এটি গাজা যুদ্ধের শেষ নয়, এটি যুদ্ধ শেষের শুরু। সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডকে অনেকেই স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরায়েলের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী ও অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সিনওয়ারের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গাজায় শান্তির পথ এবং উন্নত ভবিষ্যৎ খোঁজার সুযোগ তৈরি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক যৌথ বিবৃতিতে বাইডেন ও জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নেতারা গাজা যুদ্ধের অবসান, ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনা এবং বেসামরিক লোকজনের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিনওয়ারের মৃত্যুর ফলে শান্তি অর্জন আরো সহজ হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিম্মিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য এই বড় অর্জনকে (সিনওয়ার হত্যা) কাজে লাগাতে ইসরায়েল সরকার ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রচারণা গোষ্ঠী হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত আগস্টে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে সবচেয়ে বড় বাধা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। নিহত জিম্মি ইয়োরাম মেত্জগারের পুত্রবধূ আয়ালা মেত্জগার বলেন, সিনওয়ারের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জিম্মিদের আরো এক দিন বন্দি অবস্থায় থাকা সত্যিই অগ্রহণযোগ্য। তবে তিনি এও বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা আশঙ্কা করছি যে যুদ্ধ বন্ধ করার কিংবা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার কোনো ইচ্ছা নেই নেতানিয়াহুর।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু সত্ত্বেও হামাস টিকে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গতকাল শনিবার তিনি বলেন, সিনওয়ারের মৃত্যু ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধ ফ্রন্টের জন্য সত্যিই বেদনাদায়ক। তবে তাঁর মৃত্যু সঙ্গে এটি শেষ হবে না। ফিলিস্তিনি ইসলামী আন্দোলন হামাস বেঁচে আছে এবং থাকবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খামেনি বলেন, নিষ্ঠুর ও আগ্রাসী শত্রুকে অটল দৃঢ়তায় মোকাবেলা করেছেন এবং কৌশলী ও সাহসী কায়দায় আঘাত করেছেন সিনওয়ার।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত</span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে উত্তর গাজায় ইসরায়েলি প্রাণঘাতী আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে গত এক দিনে গাজাজুড়ে অন্তত ৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ৫১৯ হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাগাজি শরণার্থীশিবিরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ছাড়া শাতি শরণার্থীশিবিরের জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউয়ের স্কুলে বিমান হামলায় অন্তত সাতজন মারা গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের আবু হুসেইন স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় আগুন ধরে যায়। আল-আওদা হাসপাতালে বোমা ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুজন প্রাণ হারিয়েছে।      সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা</span></span></span></span></p>