<p>ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে গতকাল শুক্রবারও ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওড়িশা। তবে সেখানে দানার দাপটে কোনো মৃত্যুর খবর মেলেনি। এদিকে   প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুতের তার মেরামতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে চব্বিশ পরগনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, গতকাল সকালে ওড়িশার বালেশ্বরের থেকেও বেশি বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার  স্থানীয় সময় রাত ১১টার পরে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে  ঘূর্ণিঝড় দানা। <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">প্রবল</span> বৃষ্টিপাত আর <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">ঝোড়ো</span> হাওয়ায় ওড়িশার বহু <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">গাছপালা</span> উপড়ে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">হয়ে</span> <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">গেছে।</span> রাজ্যটির ভদ্রক <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">এলাকায়</span> ব্যাপক <span dir="ltr" lang="BN" style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষয়ক্ষতি</span> হয়েছে।</p> <p>এদিকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ বিভিন্ন জেলায় গতকাল তুমুল বৃষ্টিপাত হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে বহু ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তাঁরা বলছেন, অতি বৃষ্টির কারণে ধান ও শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মেদেনীপুর ও চব্বিশ পরগনায় চাষের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা বেশি। অন্যদিকে, নবান্নে বসে রাতভর দুর্যোগ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগের কারণে  বন্ধ করা হয়েছে দিঘার মেরিন ড্রাইভ। এদিকে  কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম গতকাল জানিয়েছেন, শহরের বেশির ভাগ অংশেই পানি নেমে গেছে। শুধু নিচু অংশগুলোয় পানি জমে রয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার, এনডিটিভি</p>