<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে ৯০ জন রোহিঙ্গা যাত্রীবাহী একটি নৌকা ভিড়েছে। উপকূলে ভেড়ার পর তাদের মধ্য থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে নৌকাটি আচেহ প্রদেশের উপকূলে নোঙর করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আচেহর ওই এলাকার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিফতাহ তিজুত আদেক সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে উপকূলের কাছাকাছি নৌকাটিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। তারপর তাঁরা সেটিকে উপকূলের দিকে নিয়ে আসেন। নৌকা থেকে ৪৬ জন নারী, ৩৭ জন পুরুষ এবং সাত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গার মধ্যে তীরে দুজনের মরদেহ এবং উপকূলে ভাসমান আরো চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিফতাহ আরো জানান, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তারা গতকাল সাগরতীরেই ছিল। তবে তাদের মধ্যে অসুস্থ আটজনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ এবং উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের উপকূলে এসে নেমেছিল ২৯০ জন রোহিঙ্গা। সে সময় জাতিসংঘের শরণার্থী সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রোহিঙ্গা মুসলিমরা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটির সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে তারা মায়ানমার ছেড়ে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মায়ানমারের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। এখনো বাংলাদেশের টেকনাফ জেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে আছে তারা। ইউএনএইচসিআর থেকে তাদের অর্থ ও খাদ্য সহায়াতা দেওয়া হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া রোহিঙ্গাদের প্রিয় গন্তব্য। ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন উপকূলে পৌঁছেছে দুই হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। ইন্দোনেশিয়ার সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, আশ্রয়প্রার্থী এই রোহিঙ্গাদের জন্য দেশটির সরকারকে তহবিল দিচ্ছে ইউএনএইচসিআর। সূত্র : এএফপি</span></span></span></span></p>