<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞান বিশ্বাস করে জীবন বিবর্তিত হয়। খনিজ পদার্থও কি একই ধারা অনুসরণ করে? এরই সূত্র ধরে প্রশ্ন জেগেছে, পৃথিবীর সব কিছুই কি বিবর্তিত হতে পারে? উত্তরটি ওয়াশিংটনের কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্স প্রতিষ্ঠানের খনিজবিদ রবার্ট হেজেনর মুখ থেকে শুনুন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিবর্তন নিয়ে চার্লস ডারউইন খুব বড় মাপের কিছু ভাবেননি। ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে চোখ বুলিয়ে নিন। আপনার চোখে পড়তে পারে ফুল, বৃক্ষলতা অথবা একসারি ভবন। এগুলো কে বানিয়েছে? উত্তর হবে : কেন আমরাই। ভাষা কে বানিয়েছে? তার উত্তরও একই হতে বাধ্য। কিন্তু যদি বলা হয়, বিশ্বের সব কিছু কে বানিয়েছে, তার উত্তর কি এক কথায় দেওয়া সম্ভব? উত্তরটি অবশ্যই কঠিন এবং রীতিমতো জটিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই প্রতিষ্ঠানের জ্যোতির্জীববিজ্ঞানী মাইকেল ওঙ মিলে হেজেন ঠিক এক বছর আগে একটি বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রশ্নটির প্রস্তাবিত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাদের উত্তরগুলো বিজ্ঞানমহলে ব্যাপক আবেদন সৃষ্টি করায় প্রসঙ্গটি নতুন রূপে আলোচিত হচ্ছে। তাঁরা তাতে দাবি করেছিলেন, বিবর্তনবাদকে বিস্তারিতভাবে জানার পথ খুলে দেয় প্রাকৃতিক আইন। অথচ বিবর্তনে শেষতক প্রাকৃতিক আইনটিই থাকতে পারেনি। তাঁরা মনে করেন, প্রাকৃতিক আইন শুধু বিবর্তনবাদকে প্রণাম করেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারে না। বরং প্রাকৃতিক আইন শুধু জীবনের জটিলতা ব্যাখ্যা করেই থেমে থাকতে পারে না; এটা খনিজবিদ্যা, রসায়ন ও তারকাগুলোর গঠন পদ্ধতিও ব্যাখ্যা করতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত সপ্তাহে এই দুই বিজ্ঞানী মাইক্রোবায়োলজি থেকে নিউরোসায়েন্সের প্রায় শ খানেক বিজ্ঞানীকে নিয়ে একটি কর্মশালা করেন। তাঁদের বিষয় ছিল জীবনে কতটা জটিল প্রক্রিয়ায় প্রাণের সঞ্চার ঘটে এবং জীবন বিবর্তিত হয়, সে সম্পর্কে মতামত তুলে ধরা। হেজেন কর্মশালায় জানান, বিবর্তনের ভৌতপ্রক্রিয়া অতি ব্যাপক, জীববিজ্ঞানে তা মোটেও সীমাবদ্ধ কিছু নয়। এক সময়ের ব্যবধানে প্রথাগত পদ্ধতিও বেশ জটিল হয়ে যেতে পারে। তখন প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রক্রিয়াটিকে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্মশালায় একজন বিজ্ঞানী দাবি করেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই কর্মশালা এটাই পরিষ্কার করে দিয়েছে, জীববিজ্ঞানের বাইরেও বিবর্তন রয়ে গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি পলিপেপটাইড (অ্যামিনো এসিডের ছোট শিকল, যা পেপটাইড বন্ধন দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে) ব্যাকবোনের কথাই ভাবুন। জৈবিক বিবর্তনে বিষয়টির উত্তর আপনি পাবেন না। অথচ বিশ্বের কিছুতে একটি নীরব বিবর্তন চলছে। এই বিবর্তন আগেও ছিল। আমি মানছি, এটা বিবর্তনের একটি প্রডাক্ট। আসলে জীবন শুরুর আগেই বিবর্তনপ্রক্রিয়ার যাত্রা শুরু করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খনিজ পদার্থের বিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞানী হেজেন দুই দশক ধরে যে গবেষণা করেছেন, তারই নির্যাস উগরে দেন এই কর্মশালায়। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একসময় বিবর্তনের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। এখন তো অগণিত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তাঁর ধারণাটি বিজ্ঞানীদের বেশ ভাবাচ্ছে। সূত্র : সায়েন্সডটঅর্গ</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>