<p>মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শিগগিরই চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। সামরিক জান্তা বাহিনী ও জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাতে জর্জরিত এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল রাখাইন রাজ্য আগে থেকেই নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার ইউএনডিপির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিম রাখাইনকে বড় ধরনের বিপর্যয়ে ফেলতে পারে এটি।</p> <p>ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের নানা প্রান্ত এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে পণ্য প্রবাহে সীমাবদ্ধতা, নাগরিকদের রোজগারের অভাব, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাব রয়েছে রাখাইনে।</p> <p>রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে বিবেচনা করে রাখাইনের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। অথচ বহু প্রজন্ম ধরে মায়ানমারে বসবাস করে আসছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু ১৯৮২ সাল থেকে তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে।</p> <p>২০২৩ ও ২০২৪ সালের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ইউএনডিপি জানায়, রাখাইনের অর্থনীতি কার্যত অচল  হয়ে পড়েছে। সেখানে বাণিজ্য, কৃষি ও নির্মাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো প্রায় স্থবির অবস্থায় রয়েছে। মানুষের আয় কমে গেছে এবং কৃষি খাতে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। সূত্র : এএফপি</p> <p> </p> <p> </p>